করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সীমান্তও বন্ধ
১৯ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের নাগরিক ছাড়া বাকি সবার জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ৭০৯ জন এবং নিউজিল্যান্ডে ২৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিপদ আরো বাড়ার আগে তাই পর্যটক এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া-না পাওয়া সব অভিবাসীর জন্য সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে দেশ দুটি৷
অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা প্রতি তিন দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে। তারপরও এতদিন সবকিছু আগের মতো রাখার চেষ্টা করেছে সরকার।
কিন্তু সে দেশের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন্স কোয়ানটাস জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যাত্রী খুব কমে যাওয়ায় তারা সব ফ্লাইট বাতিল করতে চলেছে। কোয়ান্টাস আরো জানায়, আর্থিক ক্ষতি সীমিত রাখতে ৩০ হাজারের মধ্যে ২০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করবে তারা ৷
করোনা আতঙ্ক: জার্মানিও বন্ধ করেছে দুয়ার
করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার এখন ইউরোপ৷ বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নেওয়া করোনার বিস্তার ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবার ৩০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের বুধবার সকাল থেকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
একদিনেই ১২০ ফ্লাইট
ইইউর এ সিদ্ধান্তের কারণে একদিনেই শুধু ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ১২০টি ফ্লাইটের প্রায় নয় হাজার যাত্রীকে বাড়তি পর্যবেক্ষণের মধ্যদিয়ে যেতে হবে৷
ছবি: Reuters/R. Orlowski
ঢুকতে না পারা যাত্রীদের দায়িত্ব নিচ্ছে এয়ারলাইন
নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে যারা ফ্রাঙ্কফুর্টে আটকে গেছেন তাদের যেখান থেকে যাত্রা করেছেন সেই বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে নিজ নিজ এয়ারলাইন৷
ছবি: picture-alliance/empics/The Canadian Press/D. Dyck
কারা ঢুকতে পারছেন?
জার্মান নাগরিক ও তাদের পরিবার এখনো বিনাবাধায় দেশে ফিরতে পারবেন৷ এছাড়া জার্মানিতে যাদের বসবাসের অনুমতি (রেসিডেন্স পারমিট) আছে তারা ছাড়াও ইইউ সদস্যরাষ্ট্রের নাগরিক, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন ও সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ও তাদের পরিবার৷ যাদের দীর্ঘমেয়াদী জার্মান ভিসা আছে (যেমন ছাত্ররা) তারাও ঢুকতে পারবেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
কারা পারছেন না?
মূলত পর্যটক বা ব্যবসার কাজে স্বল্প সময়ের ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ তবে ট্রানজিট যাত্রীদের বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে৷ তবে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করতে হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Schreiber
জরুরি প্রমাণে বিশেষ ছাড়
সব কিছুর পরও যদি কেউ জরুরি প্রয়োজন প্রমাণ করতে পারেন তাকে বিশেষ বিবেচনায় প্রবেশ করে দেওয়া হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
6 ছবি1 | 6
কোয়ান্টাসের এ সিদ্ধান্তের পরই এলো অস্ট্রেলীয় নাগরিক ছাড়া বাকি সবার জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, শুক্রবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত যাদের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাদের শতকরা ৮০ ভাগই হয় বিদেশে গিয়ে, নয়তো বিদেশ থেকে আসা কারো সংস্পর্শে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন।
নিজের দেশের নাগরিক ছাড়া বাকি সবার জন্য সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন বলেন, " পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে আগে কখনো এমন ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি।"