জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ ছয় বিশ্বনেতা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে লড়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, এই মহামারি সাম্প্রতিক অনেক অগ্রগতিকে সংকটে ফেলছে৷
বিজ্ঞাপন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেলের স্বাক্ষর করা এক যৌথ বিবৃতি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বেশ কয়েকটি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিবৃতিতে তারা বলেন, করোনা সংকটকে জয় করতে চাই বহুপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক, এ সংকট কারো একার পক্ষে জয় করা সম্ভব নয়৷ তাদের মতে, সবার সামনে ‘সুদক্ষ সহযোগিতা, সংহতি এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে বহুপাক্ষিকতা এবং আইনের শাসনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত' নতুন করে গড়ে তোলার অবারিত সুযোগও এনে দিয়েছে কোভিড-১৯৷
গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি সংকট হিসেবে করোনার প্রাদূর্ভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে বিশ্বনেতারা আরো বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দুর্যোগের ক্ষতি সামলানোর সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান করেছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যকে কঠিনও করেছে চলমান সংকট৷
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেল মনে করেন, করোনা সংকট এক বিশাল সত্যকে সামনে নিয়ে এসেছে, ‘‘এটি আমাদের অনিবার্য এক সত্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে আর তা হলো, মহামারির মুখোমুখি হলে আমাদের নিরাপত্তা বলয় সবচেয়ে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতোই শক্তিশালী৷ কোভিড-১৯ সব জায়গার জনগণ এবং অর্থনীতির জন্যই হুমকি৷’’
এ হুমকি মোকাবেলার জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে এবং সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন তারা৷
ধারভি ভ্যায়েদ/ এসিবি
করোনা সংকট: বন্ধ হলো বিখ্যাত কাওয়াই মনস্টার ক্যাফে
জাপানের টোকিওতে কাওয়াই পপ সংস্কৃতির ধারক হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল মনস্টার ক্যাফে৷ কিন্তু করোনার কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পাঁচ বছরের যাত্রা শেষ হলো ক্যাফেটির৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
শেষ হলো পাঁচ বছরের যাত্রা
করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছিল ক্যাফেটি৷ ফলে পাঁচ বছর পর বন্ধ করে দিতে হলো এটি৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
পপ সংস্কৃতি
জাপানের বিখ্যাত পপ সংস্কৃতি ‘কাওয়াই’ এর ধারক হয়ে উঠেছিল ক্যাফেটি৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল মনস্টার ক্যাফে৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
মনস্টার গার্লদের সঙ্গে ছবি
শেষ দিনে মনস্টার গার্লদের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি অতিথিরা৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
লোকসান
ক্যাফের ম্যানেজার রয়টার্সকে জানান, এই মহামারি কবে নাগাদ শেষ হবে তার কোনো ঠিক নেই৷ রেস্তোরাঁয় অতিথি সমাগম খুবই কম৷ ফলে দীর্ঘ সময় ধরে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের৷ এ কারণে পাঁচ বছর পর আর লিজ বাড়াননি তারা৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
বর্ণিল ক্যাফে
ক্যাফের বর্ণিল সজ্জা আর সংগীতের কারণে তরুণদের সমবেত হওয়ার হটস্পটে পরিণত হয়েছিল এটি৷ এমনকি কিম কার্দেশিয়ানের মতো বিখ্যাত তারকারাও এখানে এসেছিলেন৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
মজার খাবার
কেবল নাচ-গানের জন্য নয়, সুস্বাদু খাবারের জন্যও সুনাম আছে এই ক্যাফের৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
হারাজুকু নারী
মনস্টার ক্যাফের মনস্টার গার্লদের ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে৷ এই নারী হারাজুকু গার্ল হিসেবে পরিচিত৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
করোনা বিধি নিষেধ
করোনার সময় সব বিধি নিষেধ মেনেই খোলা রাখা হয়েছিল ক্যাফেটি৷ পত্যেক অতিথি চলে যাওয়ার পর জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হত আসন ও ব্যবহৃত সব জিনিস৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
ব্যথিত ডিজাইনার
হারাজুকুর অর্থ হলো যুগে যুগে বদলে যাওয়া সংস্কৃতি৷ অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন উদ্ভাবন হলো এই সংস্কৃতির মোটো৷ এই ক্যাথে বন্ধ হওয়ায় বেশ দুঃখ পেয়েছেন এই ক্যাফের ডিজাইনার সেবাস্টিয়ান মাসুদা৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
শেষ আয়োজন
৩১ তারিখে মনস্টার গার্লদের শেষ সংগীত আয়োজন দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক অতিথি৷
ছবি: Issei Kato/REUTERS
কান্না
পারফর্মেন্স শেষে এভাবেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এক ‘মনস্টার গার্ল৷’
ছবি: Issei Kato/REUTERS
বিদায়
বন্ধ করা হচ্ছে ক্যাফের সাটার৷ একপাশে অতিথি, অন্যপাশে মনস্টার গার্ল সহ ক্যাফের কর্মীরা৷ তারা হাসিমুখেই হাত নেড়ে বিদায় জানান অতিথিদের৷