1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায় ‘শিক্ষা বিপর্যয়': ক্ষতিপূরণ কোন পথে?

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
২১ মে ২০২১

‘‘পরীক্ষা না নিয়ে পরীক্ষার ফল-সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়া-এগুলো কি আমরা কখনো কল্পনা করেছিলাম?''-এমন প্রশ্ন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করা একজন অভিভাবকের। তার ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।

Bangladesch Parlamentswahlen
ছবি: DW/M. Mamun

কেবল পরীক্ষা ছাড়া সার্টিফিকেট নয়, করোনাকালে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন আরো অনেক কিছু ঘটেছে, যা কেউ আগে কল্পনাও করেনি। জরুরিভিত্তিতে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিতে হলেও সেসবের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন শিক্ষাবিদ, সিভিল সোসাইটির সদস্য, অভিভাবকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শ্যামলী আকবর বলেন, ‘‘কী করে আমি বলবো যে, কোভিডের ফল ভয়াবহ নয়! ভয়াবহ থেকে ভয়াবহতম। আমরা যখন অনলাইনে পড়াতে যাই, তখন না আমার মজা লাগছে, না তাদের মজা লাগছে। শুয়ে-বসে ভিডিও অফ করে (শিক্ষার্থীরা) ক্লাস করছে। এটা কোনো আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা হতে পারে না।''

দেশসেরা শিক্ষাবিদদের একজন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অবশ্য মনে করছেন, করোনাকালে বাধ্য হয়েই আমাদেরকে অনেক কিছু করতে হয়েছে। এর কোনো বিকল্প ছিল না। এখন এই ক্ষতিপূরণ এবং এটা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে

বিপর্যয়ের শুরু

এই গল্পের শুরু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ওই সময় নোভেল করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর হয়ত এর সুদূরপ্রসারী ফল কত ব্যাপক হতে পারে তা অনেকে কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু সেই ভাইরাসই বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে।

বাংলাদেশে এই ভাইরাস প্রথম চিহ্নিত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ওইদিন যে তিনজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, তাদের দুইজনই ছিলেন ইতালি-ফেরত। আরেকজন তাদের আত্মীয়।

সেদিন ভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিও জানাতে থাকে।

তবে ওই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে বলে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। এই বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।”

২০২০ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ। ততদিনে বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাস। সতর্কতার অংশ হিসাবে এ রকম অনেক দেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেইদিনও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

এর দুইদিন পর অনেকটা হঠাৎ করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পরও স্কুলে যে ঢিলেঢালা ভাব ছিল, ছুটি ঘোষণার পর সেটা ১৮০ডিগ্রি বিপরীতে চলে যায়। এর মাঝে কেটে গেছে ১৪মাস। প্রথম দিকের কঠোর নিষেধাজ্ঞা নানা খাতে এক সময় শিথিল হয়। শিথিলতায় কেবল বাইরে থেকে যায় শিক্ষাখাত। এই দীর্ঘ সময়ে শিক্ষাখাত চলছে অনলাইনে।

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শিক্ষায় কী ক্ষতি হয়েছে, সেটা একজন শিক্ষক হিসাবে আমি বুঝতে পারি। বলা যায় যে, অপূরণীয় ক্ষতিই হয়ে যাচ্ছে আমাদের।''

তার মতে, তখন স্কুল খোলা রাখার কারণে ব্যাপক প্রাণহানি হলে আবার বন্ধই করে দিতে হতো।

তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এর কোনো বিকল্প ছিল না।''

অধ্যাপক শ্যামলী আকবর

This browser does not support the audio element.

বান্দরবানের এক শিক্ষককে উদ্বৃত করে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার কাছে ক্লাস নাইনের ছেলেরা আসছে। নাইনের অর্ধেক বছর পার হতে চললো। কিন্তু নাইনের কিছুই তারা জানে না। যেহেতু তারা প্রমোশন নিয়ে নাইনে এসেছে, তারা এইটেও কিছু শেখেনি বা খুবই কম শিখেছে। সেভেনে তারা যা শিখেছে, সেগুলোও তারা ভুলতে বসেছে।''

অটোপাসের গল্প

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো। বাংলাদেশে সংক্রমণ শুরু না হওয়ায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হলেও আটকে যায় এইচএসসি।

পরে অক্টোবরে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন তারা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ছাড়াই সনদ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফল ঘোষণার এই সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তিনটি আইন। সেগুলো সংশোধন করে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় ফল।

আগের দুই বছরে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ পাস করলেও এ বছর অটোপাসে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ে তিনগুণের বেশি।

শিক্ষাক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া ক্ষতিগুলোর মধ্যে তালিকায় একেবারে উপরের দিকে অটোপাসকে রাখতে চান একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করা অভিভাবক নাহিদা আরেফিন নিতু।

তিনি বলেন, ‘‘গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে যেভাবে অটো পাস দিয়ে দেয়া হয়েছে, এটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা গেছে। অন্যান্য ক্লাসেও সারা বছর লেখাপড়া না করেই অনেকে পরের ক্লাসে উঠে গেছে। এখন এরা কেন লেখাপড়া করবে?''

"লেখাপড়ার একটা বড় মোটিভেশন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাই যেখানে নাই। সেখানে মোটিভেশনটাও নাই হয়ে যায়।”

"এখন এদের ভিত্তি দুর্‌বল থেকে যাবে। যার জন্য তাদেরকে সারা জীবন ভুগতে হতে পারে। এদের অনেকে পরিশ্রম ছাড়া এমন অনেক কিছু পেতে চাইতে পারে, যেটার যোগ্য সে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের সাংবাদিকতা বিভাগের ক্লাস শুরু হয় ২০০৭ সালের এপ্রিলে। অথচ এই শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালের জুলাই মাসে। অর্থাৎ ভর্তিতেই প্রায় ১০ মাস পিছিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরতদের ৫ বছরের স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করতে জট আরো দুই-এক বছর বাড়তো।

গত এক যুগে এই সেশন জট থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে উচ্চশিক্ষায় থাকা অধিকাংশ শিক্ষার্থী। কিন্তু এক করোনাভাইরাস যেন সবকিছুই ওলটপালট করে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ জুলাই থেকে। অর্থাৎ, ততদিনে শেষ হয়ে যাবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ। ভর্তি পরীক্ষাইতো শেষ কথা নয়। ক্লাস শুরুর আগে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে লেগে যাবে আরো কয়েক মাস সময়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগের ভর্তি কার্যক্রমটি চলেছে প্রায় দুই বছর আগে।

বুয়েটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও কাছাকাছি। এক-দুই মাস আগে-পরে ভর্তি পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এই ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখবে, তাদের পূর্ববর্তী ব্যাচগুলো নানাভাবে সেশন জটে রয়েছে এবং সেটার প্রভাবও তাদের উপর পড়বে।

এ বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষাই ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রমদের ভর্তি পরীক্ষাও হয়েছে তাদের নিয়মিত সময়ের অনেক পরে।

বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঝরে পড়া,বাল্যবিয়ে

কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠন/মঞ্চের দাবি, দেশে কিন্ডারগার্টেন, প্রি-প্রাইমারি, প্রি-ক্যাডেট ও প্রিপারেটরি পর্যায়ে ৪০ থেকে ৬০ হাজারের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনাভাইরাসের এই সময়ে এরকম অনেক স্কুল বিক্রির বিজ্ঞাপন ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া কোনো কোনো স্কুল টিকে থাকতে সাময়িক কিছু সহায়তা পেলেও সংশ্লিষ্টদের দাবি,দেশে কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ের অর্ধেক স্কুল করোনাভাইরাসের এই সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অনেকে গেছে মূলধারায়। কিন্তু সেখানেও রয়েছে ঝরে পড়ার প্রবণতা।

কোভিডের এই সময়ে বাংলাদেশে ঝরে পড়ার হার কেমন-সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। ব্র্যাকের এ সংক্রান্ত একটি কাজ চলমান রয়েছে। তবে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের আশঙ্কা, ৪০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

অবশ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, গত বছর ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে। তাই ঝরে পড়ার হার বেশি হবে না।

ঝরে পড়াদের মধ্যে বাল্যবিয়ে এবং কন্যাশিশুদের নিয়ে উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি নানামহলে।

ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, অনেক উন্নতির পরও বাংলাদেশ বাল্যবিয়েতে চতুর্থ স্থানে ছিল। করোনাভাইরাস লাখ লাখ কন্যাশিশুকে নতুন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। স্কুল বন্ধ, বন্ধু ও সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্নতা, ক্রমবর্ধমান অভাব এই মেয়েদেরকে বিয়ের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘‘দরিদ্র পরিবারের অনেক বাবা-মা চিন্তা করছেন, স্কুল তো খুলবে না। তাহলে আমার মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দেই।''

"৯০'র দশকে বাংলাদেশের সরকার ও এনজিওরা ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েদেরকে যে স্কুলে এনেছিল, যেটার ফল আমরা ভোগ করেছি যে, স্কুলে ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিল। মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে এটা সব রিজিয়নের জন্যই একটা বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। সেই ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি।”

সমাধান কোন পথে

শিক্ষবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সমাধান দেখছেন মিশ্র পদ্ধতিতে। তার মতে, পরীক্ষাসহ নানা কারণে আমাদেরকে ক্লাসরুমে ফিরতে হবে। এরজন্য নিতে হবে প্রস্তুতি।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

ক্লাসে ফিরতে স্কুলগুলো পরিচ্ছন্ন করা, স্বাস্থ্যবিধি মানার সব উপকরণ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মতো কাজ করতে হবে। আর যেহেতু অনলাইনেও শিক্ষা কার্যক্রমের একটি অংশ রাখতে হবে, তাই সব দরিদ্র শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে এবং একটু স্বচ্ছলদের কিস্তিতে ইন্টারনেটসহ ল্যাপটপ পৌঁছে দিতে হবে বলে মত তার।

তিনি বলেন, ‘‘অনলাইনে গতানুগতিক সিলেবাসের পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ রাখতে পারে না। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে সব সাবজেক্টের সব টপিকের স্লাইড তৈরি করে দিতে হবে।''

তবে ব্যাপক পরিকল্পনা, অর্থ বরাদ্দ এবং স্বচ্ছতার সাথে তা খরচ করতে না পারলে এ সবের কিছুই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঝরে পড়া ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ বৃত্তি প্রদানেরও দাবি করেন তিনি।

এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার একটি পরিকল্পনাও তুলে ধরেন সৈয়দ মনজুরুল। তার মতে, ‘‘২০-৩০ সেট প্রশ্ন করে এলাকাভিত্তিক পরীক্ষা নিলাম। ২০টা স্কুলে পরীক্ষা হবে, এত শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। পরের সপ্তাহে হয়ত আরো এত শতাংশ পরীক্ষা দেবে। এভাবে পরীক্ষা নিলে পরীক্ষার সমস্যা থাকবে না। এই সমস্যাটাই বড় সমস্যা, বুকে লাগে।''

এসব খাতে অর্থ জোগানোর জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে বড় কয়েকটি প্রকল্প কয়েক বছর বন্ধ রাখার আহ্বান জানান তিনি।

অনলাইন ক্লাসের ফলে শিক্ষার্থীদের ভিত্তি যে দুর্বল থেকে যাচ্ছে, সেই সমস্যা সমাধানে অনেক দিন ধরেই কাজ করছে ব্র্যাক।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ জানান, যে ক্লাসের যে টপিকগুলো বাদ দেয়ার সুযোগ নেই, মূল সিলেবাস থেকে সেগুলোকে চিহ্নিত করে প্রাথমিকের একটা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করেছে ব্র্যাক।

তার মতে, এটা সব ক্লাসের জন্য করতে হবে।

ব্যক্তিগত মত হিসাবে উল্লেখ করে আসিফ সালেহ বলেন, ‘‘আরো কয়েক মাস যদি এভাবে ঘরে বসে থাকতে হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের আর অটোপ্রমোশন না দিয়ে যদি একটা বছর রিপিট করাই, তাহলে সেটা তাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। একটা বছর নষ্ট হবে। কিন্তু সেটাকে নষ্ট না বলে যদি কোভিডের জন্য সেক্রিফাইস করি, তাহলে তাদের ভবিষ্যতের জন্য, তাদের ফাউন্ডেশনের জায়গাটা শক্ত হবে। ''

"সেটা সরকারের জন্য একটা কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে এ ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। মানুষ সেটা বুঝবে।”

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ