1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার কারণে ফসল তোলা বন্ধ থাকবে?

২২ মার্চ ২০২০

জার্মানির খামারগুলি মৌসুমি ফসল তোলার জন্য বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভর করে৷ এদের বেশিরভাগই আসেন পূর্ব ইউরোপ থেকে৷ তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷

ছবি: picture-alliance/blickwinkel/D. u. M. Sheldon

করোনার কারণে জার্মানিতে মানুষ টিনজাত খাবার, টয়লেট পেপার ইত্যাদি কিনে ঘরে মজুদ করছে৷ রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে৷ তারপরও এই সংকটকালীন সময়ে মানুষের আলোচনায় স্থান পাচ্ছে অ্যাসপারাগাসের মতো মৌসুমি ফসল পাওয়া, না-পাওয়ার বিষয়টি৷

জার্মান কৃষক সমিতির সভাপতি ইওয়াখিম রুকভিড অবশ্য সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘‘আমরা কৃষকরা, করোনা ভাইরাসের সময়েও জনগণকে নিরাপদ এবং উচ্চমানের খাবার সরবরাহ করতে সক্ষম হবো৷ আলু, শস্য, ফলমূল এবং শাকসবজির মতো মৌলিক খাবারগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে৷''

তবে কৃষকরা এটাও বলছেন যে, করোনার কারণে জার্মানিতে শ্রমিক স্বল্পতা দেখা দিবে৷

প্রতিবছর জার্মানিতে মৌসুমি ফসল তোলার কাজে প্রায় তিন লাখ মৌসুমী কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়৷

মৌসুমি ফসল তোলার জন্য শ্রমিকরা আসেন পূর্ব ইউরোপ, বিশেষ করে রোমানিয়া থেকে৷ তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার তাদের অনেককেই সম্ভবত এবছর তাদের নিজেদের দেশেই থাকতে হবে৷

রাইনালান্ড-প্যালাটিনেটের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক এবং মদ উৎপাদনকারী সমিতির মুখপাত্র আন্ড্রেয়াস ক্যোর বলেছেন, জার্মানদের মৌসুমি সবজি অ্যাসপারাগাস তোলার সমস্যাটি ইতিমধ্যে তীব্র হয়ে উঠেছে এবং তাঁরা সেজন্য শ্রমিক খুঁজছেন৷

ফ্রাংকফুর্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে রাইনহেসেন অঞ্চলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাসপারাগাস কাটা শুরু করতে হবে৷ ঐতিহ্যবাহী এই মৌসুমি সবজি কাটার সময়কাল ২৪ জুন পর্যন্ত৷

অনেক বিদেশি শ্রমিকই করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কারণে এখন আর জার্মানিতে আসতে আগ্রহী নন৷

জার্মানির কৃষক সমিতিগুলো মৌসুমি শ্রমিকদের আগমন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে৷

আন্দ্রেয়াস বেকার/এনএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ