করোনার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় জার্মানি আপাতত শরণার্থী নেয়া বন্ধ রেখেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
বিজ্ঞাপন
ফলে তুরস্ক ও জার্মানির মধ্যে চালু থাকা পুনর্বাসন চুক্তির বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত থাকবে৷ এই চুক্তির আওতায় ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জার্মানি প্রায় পাঁচ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করেছে৷ এর মধ্যে লেবাননে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থী এবং সুদানের মতো সংকটপূর্ণ অঞ্চলের শরণার্থীরা রয়েছেন৷
‘যখন সম্ভব' হবে তখন আবার এই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছে জার্মানি৷
অবশ্য সীমান্ত বন্ধ থাকলেও শরণার্থী শিশুদের গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে৷
এদিকে, জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য বিষয়ক মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার আউগসবুর্গার আলগেমাইনে পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এবং সিরিয়ার আশেপাশের সংকটময় অঞ্চলে স্বাস্থ্য অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
এনএস/জেডএইচ (কেএনএ, ইপিডি, ডিপিএ, এএফপি)
করোনা আতঙ্ক: জার্মানিও বন্ধ করেছে দুয়ার
করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার এখন ইউরোপ৷ বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নেওয়া করোনার বিস্তার ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবার ৩০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের বুধবার সকাল থেকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
একদিনেই ১২০ ফ্লাইট
ইইউর এ সিদ্ধান্তের কারণে একদিনেই শুধু ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ১২০টি ফ্লাইটের প্রায় নয় হাজার যাত্রীকে বাড়তি পর্যবেক্ষণের মধ্যদিয়ে যেতে হবে৷
ছবি: Reuters/R. Orlowski
ঢুকতে না পারা যাত্রীদের দায়িত্ব নিচ্ছে এয়ারলাইন
নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে যারা ফ্রাঙ্কফুর্টে আটকে গেছেন তাদের যেখান থেকে যাত্রা করেছেন সেই বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে নিজ নিজ এয়ারলাইন৷
ছবি: picture-alliance/empics/The Canadian Press/D. Dyck
কারা ঢুকতে পারছেন?
জার্মান নাগরিক ও তাদের পরিবার এখনো বিনাবাধায় দেশে ফিরতে পারবেন৷ এছাড়া জার্মানিতে যাদের বসবাসের অনুমতি (রেসিডেন্স পারমিট) আছে তারা ছাড়াও ইইউ সদস্যরাষ্ট্রের নাগরিক, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন ও সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ও তাদের পরিবার৷ যাদের দীর্ঘমেয়াদী জার্মান ভিসা আছে (যেমন ছাত্ররা) তারাও ঢুকতে পারবেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Silz
কারা পারছেন না?
মূলত পর্যটক বা ব্যবসার কাজে স্বল্প সময়ের ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ তবে ট্রানজিট যাত্রীদের বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে৷ তবে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করতে হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Schreiber
জরুরি প্রমাণে বিশেষ ছাড়
সব কিছুর পরও যদি কেউ জরুরি প্রয়োজন প্রমাণ করতে পারেন তাকে বিশেষ বিবেচনায় প্রবেশ করে দেওয়া হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে৷