ওষুধের নাম ইন্টারফেরন আলফা-টুবি৷ সাধারণত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়া ডেঙ্গু, ক্যানসার, হেপাটাইটিস বি ও সি-র রোগীদেরও এই ওষুধ দেয়া হয়৷
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি ইন্টারফেরন আলফা-টুবিও দেয়া হয়েছে এবং এতে আশাপ্রদ ফল পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে৷
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলেন ইয়াফে সম্প্রতি এক প্রবন্ধে করোনার চিকিৎসায় এই ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ কাজে লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন৷ ‘ইয়েল ইউনিভার্সিটি প্রেস ব্লগ’-এ তাঁর লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে৷
কিউবার ওষুধ কোম্পানি বায়োকিউবাফার্মা এই ওষুধ উৎপাদন করে৷
এখনও করোনার টিকা আবিস্কৃত না হওয়ায় জার্মান ব্য়বসায়ী গেওর্গ শেফার জার্মানিতে ইন্টারফেরন আলফা-টুবি আমদানি করতে চান৷ অনুমতি পেতে মধ্য মার্চ থেকে তিনি জার্মানির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ তবে এখনও সফল হননি৷
জার্মানির ফেডারেল ইন্সটিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস-এর একজন মুখপাত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, জার্মানিতে কোনো ওষুধ আমদানির অনুমতি পেতে আমদানিকারক ওষুধ কোম্পানিকে ঐ ওষুধের কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং গুণ সম্পর্কিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়৷
জার্মানিতে ওষুধটি আমদানি করা সম্ভব না হলে স্পেনের জন্য় সেটি নিয়ে আসতে চান শেফার৷ সে বিষয়ে সন্তোষজনক আলোচনা চলছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন তিনি৷
‘প্রোফিউমড’ নামে মাঝারি আকারের একটি প্রতিষ্ঠান চালান শেফার৷ তাঁর কোম্পানি সেলুলজভিত্তিক নানান মেডিকেল পণ্য তৈরি করে থাকে৷
আন্দ্রেয়াস নবলখ/জেডএইচ
কিউবায় মাত্র ১০ ডলারে পেনশন!
কিউবায় পুরুষদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর, আর নারীদের ৬০ বছর৷ কম বেতনের কারণে সেখানে মাসিক পেনশন ১০ ডলারেরও কম৷ এ কারণে অনেক কিউবানের জীবন তাই দুর্ষিবহ৷
ছবি: DW/S. Derks
মানবেতর জীবন
স্যান লাজারোতে নিজের বাড়ি সামনে ৮৯ বছর বয়সি অ্যাঞ্জেল ইউলিও সুজা ক্যাতিলো৷ দক্ষিণ কিউবার দরিদ্র এই এলাকায় পুরো জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ ৪০ বছর তিনি নির্মাণ শিল্পে কাজ করেছেন৷ এখন মাসে মাত্র ২০০ পেসো (৬ দশমিক ৬৬ ডলার) পেনশন ক্যাতিলো৷ তাঁর কিসের অভাব? জানতে চাইলে উত্তর আসে, ‘‘সুন্দরিদের দেখার জন্য একটি টেলিভিশন৷’’
ছবি: DW/S. Derks
রেশনে দিনাতিপাত
প্রত্যেক কিউবানের আছে একটি করে ‘লিব্রেতা’ বা রেশনের বই৷ যা দিয়ে তাদেরকে চড়া মূল্যেরই খাবার কিনতে হয়৷ মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ ও ভেনেজুয়েলা থেকে সাহায্য কমে যাওয়ায় রেশনিং ব্যবস্থা আরো খারাপ হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Derks
ফুটপাতের দোকানি
হাভানার নিজের বাড়ির সামনে রাউল রোসা৷ তিন বছরে আগে হারিকেনে বাড়িটি ভেঙে গিয়েছিল৷ তাঁর পেনশন ২৪০ পেসো৷ অথচ রাস্তায় পাশের এই ব্যাটারি ও বাল্বের দোকান চালানোর জন্য তাঁকে ৫০০ পেসো লাইসেন্স ফি দিতে হয়৷ অবশ্য মায়ামিতে থাকা ভাইয়ের কাছ থেকে প্রতি তিন মাসে ১০০ ডলার করে পান তিনি৷
ছবি: DW/S. Derks
জীবন সংগ্রাম
ছেলের সঙ্গে থাকেন ৮৬ বছর বয়সি অ্যান্তোনিও লরেনো লোজানা৷ ভিনিয়ালেস এলাকায় ছোট একটি খামার পরিচালনা করেন তারা৷ প্রতি মাসে ২০০ পেসো পেনশনের বাইরে কৃষি থেকে তাঁদের ১৫০ ডলার আসে৷ তাঁরা সরকারের কাছে কৃষিপণ্য এবং পর্যটকদের কাছে কফি বিক্রি করে থাকেন৷
ছবি: DW/S. Derks
সমাজের অংশ হওয়ার যুদ্ধ
হাভানার একটি প্রিন্টিংয়ের দোকানে কাজ করেন ৮৫ বছর বয়সি এবারিস্তো দিয়া দিয়া৷ সেখানে প্যাকেট ভাঁজ করে পেনশনের বাইরে ৩০০ পেসো আয় করেন তিনি৷ দুপুরের খাবার মালিকই দেয়৷ এবারিস্তো বলছেন, এই কাজ করেও তিনি অনেক খুশী৷ কারণ এটা তাঁকে কর্মক্ষম এবং সমাজের অংশীদার ভাবার সুযোগ করে দিচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Derks
পর্যটকদের পানে চেয়ে
৯২ বছর বয়সি আইদা গেরেরোস ব্লাংকো-কে মাত্র ১২০ পেসোতে জীবন নির্বাহ করতে হয়৷ পূর্ব কিউবার বায়ামো এলাকায় বাস করেন তিনি৷ কিছু অনুদান পাওয়ার আশায় ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে পর্যটকদের পথনির্দেশ করেন তিনি৷
ছবি: DW/S. Derks
টক-মিষ্টি
মধ্য কিউবার ত্রিনিদাদ এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে ৯০ বছর বয়সি মিকেল কালাজাদা৷ পেনশনের ১০ ডলার পূর্ণ করার জন্য মিষ্টি আর কুকিজ বিক্রি করেন তিনি৷
ছবি: DW/S. Derks
খরচ মেটাতে দালালির কাজ
হাভানার একটি আবাসন মার্কেটে দালালির কাজ করেন ৮০ বছর বয়সি মারিও দিয়া৷ একটি বাড়ি বিক্রি করতে পারলে চলমান দামের ১০ শতাংশ পান তিনি৷ ২০১৮ সালে দুটি বাড়ি বিক্রি করে দেড় হাজার ডলার অতিরিক্ত আয় করেছিলেন তিনি৷
ছবি: DW/S. Derks
পরিবারের সহায়
লিদিয়া হেরেডিয়া গ্রিনোম (৮৬) থাকেন অসুস্থ সৎমেয়ের সঙ্গে, যাকে নিয়মিত দেখভাল করতে হয়৷ তার স্বামী মারা গিয়েছে ১৫ বছর আগে৷ খরচ চালাতে প্রতি বিকালে সান্তিয়াগো দে কিউবার ব্যস্ত সড়কে সিগারেট ও প্লাস্টিক ব্যাগ বিক্রি করেন তিনি৷
ছবি: DW/S. Derks
অবসরের পরও কাজে
অবসরের বয়সসীমা পার হলেও কম কষ্টসাধ্য কাজ করা যেতে পারে৷ কিন্তু চাকরি না পাওয়ার শঙ্কায় পূর্বের পানি পরিদর্শকের কাজই চালিয়ে যাচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সি রোদোলফো আগুইলার গনজালেস৷