করোনার টিকা নেওয়া না থাকলে জার্মানিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নেগেটিভ সনদ অথবা করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ দেখাতে হবে৷ রোববার থেকে এই নিয়ম কার্যকর করেছে দেশটি৷
বিজ্ঞাপন
বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় ও ডেলটা ভেরিয়েন্টের বিষয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে ১ আগস্ট থেকে নতুন এ নিয়ম চালু করেছে জার্মানি৷ ১২ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য করোনার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ তবে টিকা নেওয়ার অথবা করোনা থেকে সেরে উঠার প্রমাণ দেখালে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না৷ সেই সঙ্গে ট্রানজিট বা আন্তঃসীমান্ত যাতায়তকারীরাও এই বাধ্যবাধকতার বাইরে থাকবেন৷
পরীক্ষার ক্ষেত্রে জার্মানিতে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা রেপিড টেস্ট অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্ট বিবেচনায় নেয়া হবে৷ তবে ‘ভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট'-এর তালিকায় থাকা দেশ থেকে আগতদের রেপিড টেস্ট হতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে৷ এর আগে বিমানে করে জার্মানিতে আসাদের ক্ষেত্রে এমন বাধ্যবাধকতা থাকলেও সড়ক বা সমুদ্রপথে আগতদের ক্ষেত্রে বর্তমান নিয়মটি কার্যকর করা হয়েছে৷
করোনা কমায় প্রকাশ্য উৎসবে প্রবাসীদের ঢল
জার্মানিতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করায় প্রকাশ্য স্থানে অনেক মানুষ আবার সমবেত হতে পারছেন৷ সেই সুযোগে মানহাইমে বসবাসরত প্রবাসীরা আয়োজন করেন ঈদ পূর্ণমিলনী৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
করোনা কমায় কমেছে বিধিনিষেধ
জার্মানিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম থাকায় অনেক বিধিনিষিধ শিথিল রয়েছে৷ মানহাইম শহরে তিনশ’ জন পর্যন্ত প্রকাশ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে একত্রে অনুষ্ঠান করতে পারছেন৷ সেই সুযোগে শনিবার সেখানে এক অনুষ্ঠানে হাজির হন শতাধিক মানুষ৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
প্রবাসীদের আয়োজনে যুক্ত নানা দেশের মানুষ
মানহাইমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পূর্ণমিলনীতে হাজির ছিলেন ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের নানা দেশের মানুষ৷ ছবিতে পাকিস্তানি কয়েকজন তরুণীকে ঘাসের উপর মাদুর বিছিয়ে গল্প করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
করোনা কমায় স্বস্তি, রয়েছে উদ্বেগও
পুরো করোনার সময়টা ছোট তিন সন্তানকে নিয়ে কাটিয়েছেন সোনালী৷ ২০০৬ সাল থেকে জার্মানিতে বসবাসরত এই নারী জানান, করোনার সময় কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকায় সন্তানদের ২৪ ঘণ্টাই নিজের সঙ্গে রাখতে হয়েছে৷ কাজটি কঠিন হলেও, সামলাতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি৷ এখন করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল থাকায় আবারও ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন সোনালী৷ তবে ভবিষ্যতে আবার কী হয় তা নিয়ে উদ্বেগ আছে তার৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
খোলা ছিল স্কুল, তবে...
মানহাইমের ঈদ আয়োজনে কথা হয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আনিকা সিদ্দিকা ইসলামের সাথে৷ সে জানায় যে করোনার সময় তাদের স্কুল বন্ধ হয়নি৷ বরং যখন সংক্রমণ বেশি ছিল তখন অনলাইনে ক্লাস চলেছে৷ সংক্রমণ কমে গেলে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের৷ পরীক্ষাও নেয়া হয়েছে শ্রেণীকক্ষে৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
করোনায় দুই বছর বন্ধ ছিল আয়োজন
মানহাইমে প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ উৎসব আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী দেওয়ান শফিকুল ইসলাম৷ তিনি জানান, করোনার কারণে গত দুই বছর বাঙালিদের নিয়ে ঈদ উৎসব করা যায়নি৷ তবে, এবার বিধিনিষেধ শিথিল থাকায় আয়োজনটি করা গেছে৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
আসছেন শিক্ষার্থীরাও
বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য মাত্র দুই মাস আগে জার্মানিতে এসেছেন শায়লা৷ হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী জানান, করোনার কারণে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের আসার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বটে তবে থেমে যায়নি৷ যেসব শিক্ষার্থী এখনো জার্মানিতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের ধৈর্য ধরে সব প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ তার৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
বারবিকিউ
ঈদ পূর্ণমিলনীতে প্রধান আকর্ষণ ছিল বারবিকিউ৷ চিকেন উইংস, গরুর মাংসের সসেজ, খাসির মাংসসহ নানা কিছু পুড়িয়ে উৎসবে আগতদের পরিবেশন করা হয়েছে৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
বাড়তি আকর্ষণ চা
তবে, ঈদ পূর্ণমিলনীতে চা এবং মিষ্টান্ন সরবরাহ করেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত অভিবাসীদের কয়েকজন৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
ছবি তোলার হিড়িক
মানহাইমের একটি পার্কে এবার এই উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে সবুজ পরিবেশের মাঝে অনেককেই দেশীয় পোশাকে ছবি তুলতে দেখা গেছে৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
সাময়িক মুক্তি
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ গত কয়েকসপ্তাহ কম থাকলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে৷ যদিও সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে গ্রীষ্মের ছুটির পর পরিস্থিতি আবারো বদলে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা৷ তবে আপাতত বিধিনিষেধের বাইরের সময়টাই উপভোগ করছেন সবাই৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
তরুণদের সামনে আনার প্রয়াস
ঈদ উৎসবে জার্মানিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে৷ এই আয়োজনে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী দেওয়ান শফিকুল ইসলাম৷
ছবি: Arafatful Islam/DW
11 ছবি1 | 11
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে নজরদারি চালানো ও অমান্যকারীদের বড় ধরনের জরিমানার করা হবে বলে সতর্ক করেছেন৷ দেশটির ট্যাবলয়েড সংবাদমাধ্যম ‘বিল্ড আম সনটাগ'-কে তিনি বলেন, যিনিই জার্মানিতে আসেন না কেন তাকে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে৷
কারোনা নেগেটিভ সনদ না থাকলে তাকে থাকতে হবে বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে৷ ইউরোপের বাইরে থেকে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে বলে জানান সেহোফার৷ অন্যদিকে সীমান্ত সড়কে জট এড়াতে যাত্রী অনিয়মিতভাবে পরীক্ষা করবে কর্তৃপক্ষ৷
বর্তমানে জার্মানিতে ৬১ শতাংশ মানুষ করোনার অন্তত একটি টিকা পেয়েছেন৷ পুরোপুরি টিকা নিয়েছেন ৫১ শতাংশ৷ সম্প্রতি দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমূখী৷ রোববার ২০৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭১০ জন বেশি৷ সেই সঙ্গে সপ্তাহের হিসাবে প্রতি লাখ জনগোষ্ঠীর বিপরীতে গড় সংক্রমণ ১৬ দশমিক নয়জন থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক পাঁচজন হয়েছে৷ তবে আক্রান্তের এই সংখ্যা এখনও প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডসের চেয়ে অনেক কম৷ যদিও ডেলটা ভেরিয়েন্ট ও গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷
এফএস/আরআর (ডিপিএ, রয়টার্স)
জার্মানির যে বন্যা বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়
জার্মানিতে হঠাৎ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮০ জন মানুষ, এখনো নিখোঁজ দেড় শতাধিক৷ ১৪ জুলাইয়ের সেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির কিছু ছবি তুলে এনেছেন ডয়চে ভেলের আরাফাতুল ইসলাম৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ক্ষতচিহ্ন সর্বত্র
জার্মানির বাডনয়নার-আরভাইলার অঞ্চলে গেলেই ছোট্ট একটি খাল চোখে পড়বে৷ ‘আর’ নামের সেই নদী বাংলাদেশের বিবেচনায় অবশ্য খাল বলাই শ্রেয়৷ সাধারণত ষাট বা সত্তর সেন্টিমিটারের বেশি পানি থাকে না৷ কিন্তু টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে হঠাৎ করে সেই নদীর পানি বেড়ে কয়েক মিটার৷ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ছুটে আসে সেই পানিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আশেপাশের এলাকা৷ ছবিতে ‘আর’ নদীর উপরে একটি ভাঙা সেতু দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ি, বিশেষ করে নীচের তলা
বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চলের অনেক বাড়ি কয়েকশত বছরের পুরনো৷ সাধারণ সময়ে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় এই অঞ্চলের সেসব বাড়িঘর পানির তোড় সামলাতে পারেনি৷ সেখানকার অনেক পুরনো বাড়ি পানির ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে, কিংবা নীচের তলার সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে৷ ছবিতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ির ভেতরের চিত্র দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
উপড়ে গেছে ট্রেন লাইন, ভেঙ্গে গেছে রাস্তা
বাড নয়নার-আরভাইলারের মূল ট্রেনলাইনটি পানির চাপে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে৷ কোথাও কোথাও রেল লাইনের চিহ্নও নেই৷ এমনকি রাস্তাও আর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে৷ ছোট্ট নদীটিকে এখন বেশ বড় মনে হয়, যদিও পানি নেমে গেছে আগের মতোই অনেক নীচে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
রাস্তায় পড়ে আছে দামি গাড়ি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাটে এখনো পড়ে আছে অনেক গাড়ি৷ হঠাৎ বন্যায় সেসব গাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
নেই বিদ্যুৎ কিংবা পানির সংযোগ
১৪ জুলাই বন্যার পর এখনো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা যায়নি৷ বরং যেভাবে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা পুনরায় কবে চালু করা যাবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে৷ তবে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে সব বাড়ির সামনে সাময়িক পানি কন্টেইনার বসানো হয়েছে৷ গাড়িতে করে পানিভর্তি সেসব কন্টেইনার নিয়ে যাওয়া হয়৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বিকল্প ব্যবস্থা জেনারেটর
বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু না থাকলেও অনেক বাড়িতেই জেনারেটর চালু করা হয়েছে৷ এসব জেনারেটর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে ঘরবাড়ির ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারসহ অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বড় চ্যালেঞ্চ আবর্জনা পরিষ্কার
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হাজার হাজার টন ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি হয়েছে যা না সরালে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন৷ আপাতত তাই বড় বড় ট্রাকে করে ময়লা আবর্জনা সরাতেই ব্যস্ত অনেকে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
সহায়তায় সেনাবাহিনী
আরভাইলার অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনীও নিয়োগ করা হয়েছে৷ সেনা সদস্যরা এলাকাটি পরিষ্কারে সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়িতে তেলও ভরে দিচ্ছে বিনামূল্যে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
সময় লাগবে অনেক
বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এরকম বন্যার সঙ্গে পরিচিত হলেও জার্মানিতে গত অর্ধশতকে এরকম বন্যা দেখা যায়নি৷ শীতপ্রধান এই দেশটিতে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ জার্মানিতে এখন ঘনঘন দীর্ঘ সময় ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা অতীতে দেখা যায়নি৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বড় ক্ষতির মুখে ওয়াইন উৎপাদকরা
জার্মানির বাড নয়নার-আরভাইলার এলাকা ওয়াইনের জন্য বিখ্যাত৷ সেখানকার পাহাড়ে আঙ্গুর চাষ করা হয়৷ বন্যার কারণে ওয়াইন উৎপাদকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷ যেসব ওয়াইনের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো বিক্রি করে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছেন অনেকে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মানুষ মানুষের জন্য
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন৷ কেউ কাজ করছেন সংগঠনের ব্যানারে, কেউবা একান্তই ব্যক্তি উদ্যোগে৷ তারা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি খাবার এবং পানীয়ও পৌঁছে দিচ্ছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
গরম খাবারের আয়োজন
বাড নয়নারে গরম খাবারের আয়োজন করেছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী৷ সেখানে কাজ করা প্রীতি জানান, প্রতিদিন ছয়হাজারের মতো মানুষকে গরম খাবার সরবরাহ করছেন তারা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
যার যা প্রয়োজন নিয়ে যাচ্ছেন
রাস্তার পাশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়েছে৷ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা সেখান থেকে নিজেদের প্রয়োজনমত জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
চালক, আরোহীদের জন্য পানীয়
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এভাবে পানীয় সরবরাহ করছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মানুষ মানুষের জন্য
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে দ্রুত দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য এলাকার মানুষেরা৷ এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের এই সহযোগিতায় কৃতজ্ঞ বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চলের বাসিন্দারা৷ বিভিন্ন বাড়ির সামনে তাই তারা ধন্যবাদ সূচক বিভিন্ন ব্যানার টাঙ্গিয়েছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
পর্যটকরা ফিরবেন কবে?
বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চল অনেকটাই পর্যটন নির্ভর৷ প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ সেখানে হাইকিং করতে কিংবা ওয়াইন পরখ করতে যান৷ তবে, পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলে পর্যটকরা আবার কবে যেতে পারবেন তা নিশ্চিত নয়৷ কেননা, বন্যার ক্ষতি মেরামতে আপাতত সেখানে স্বেচ্ছাসেবী, সাংবাদিক ও জরুরি সেবা প্রদানকারী ছাড়া অন্য কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
আরো দেখুন
জার্মানিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড নয়নার-আরভাইলার অঞ্চল থেকে শুক্রবার ফেসবুকে একাধিক লাইভ করেছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম৷ সেসব লাইভে সেখানকার পরিস্থিতি আরো বিস্তারিত দেখতে চাইলে ‘‘আরো+’’ লিংকে ক্লিক করুন৷