জন্মদিন পালন করতে গিয়ে করোনার নিয়ম ভাঙায় নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী অ্যারনা সোলব্যার্গকে শুক্রবার ২০ হাজার ক্রোনা (প্রায় দুই লাখ টাকা) জরিমানা করেছে পুলিশ৷
বিজ্ঞাপন
করোনা নিয়ন্ত্রণে চালু হওয়া নিয়মনীতির প্রতি যেন মানুষের আস্থা থাকে, তা নিশ্চিত করতে এই জরিমানা করা হয়৷
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিয়ে নিজের ৬০তম জন্মদিন পালন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ১০ জনের বেশি মানুষ একসঙ্গে জড়ো হওয়ার কথা নয়৷
এমন অপরাধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ জরিমানা না করলেও এক্ষেত্রে ব্যক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান ওলে সেভারুড৷ তিনি বলেন, ‘‘সোলব্যার্গ দেশের নেতা এবং করোনার প্রসার ঠেকাতে কড়াকড়ি আরোপে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷''
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘‘করোনা নিয়ন্ত্রণে চালু নিয়মনীতির প্রতি মানুষের বিশ্বাস নিশ্চিত করতে (প্রধানমন্ত্রীকে) জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷''
পুলিশ বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও তার স্বামী সিন্ড্রে ফিনস দুজনে মিলে জন্মদিন উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ আয়োজনের কাজটি ফিনস করলেও তাকে জরিমানা করা হয়নি৷ যে রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠান হয়েছে সেটিরও জরিমানা হয়নি৷
আগামী সেপ্টেম্বরে নরওয়েতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷ এতে অংশ নেবেন সোলব্যার্গ৷
সোলব্যার্গের নেয়া পদক্ষেপের কারণে নরওয়েতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম৷ তবে চলতি বছরের প্রথম কোয়ার্টারে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মার্চের শেষে আরো বেশি কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)
মানুষকে বাঁচাতে ভাইরাস শিকারিদের বাদুর ধরা
ফিলিপাইন্সের গবেষকরা রাতের আঁধারে বেরিয়ে পড়েন বাদুর ধরতে৷ গবেষণা শেষে আবার তাদের ফিরিয়ে দেন প্রকৃতির বুকে৷ গবেষকদের আশা, তিন বছরের মধ্যে মহামারির কবল থেকে মানুষকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করা যাবে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
ভাইরাস শিকারি
ফিলিপাইন্সের একদল গবেষককে অনেকেই এখন ‘ভাইরাস শিকারি’ নামে চেনেন৷ অনেক ধরনের ভাইরাসের বাহক বাদুরদের ধরে ধরে তাদের নিয়ে গবেষণা করেন বলে এমন নামকরণ হয়েছে তাদের৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
বাদুরের ঝোলা
অনেক কষ্ট করে ধরা বাদুরগুলোকে এসব ব্যাগে পোরেন গবেষকরা৷ তারপর সব বাদুর গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
জাপানের ভূমিকা
করোনা সংক্রমণে সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত ২৮ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ফলে এই মহামারি এবং ভবিষ্যতের সব মহামারি মোকাবেলার প্রস্তুতি এখন সারা বিশ্বেরই ভাবনা৷ ফিলিপাইন্সের ইউনিভার্সিটি অব দ্য ফিলিপাইন্স লোস বানোস-এর বিজ্ঞানীরা শুরু করেছেন তিন বছরের গবেষণা৷ এর যাবতীয় খরচ বহন করছে জাপান৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
গবেষণার উদ্দেশ্য
গবেষক দলের প্রধান ফিলিপ আলভিয়োলা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাদুরের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন৷ অভিজ্ঞ এই ইকোলজিস্ট বলেন, ‘‘মানুষের দেহে বাসা বাঁধতে পারে করোনা ভাইরাসের এমন সব স্ট্রেইন নিয়ে কাজ করছি আমরা৷ ভাইরাসটাকে যদি চিনি আর তা কোত্থেকে এসেছে তা-ও যদি জানতে পারি, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না, কারণ ভাইরাসটিকে ভৌগলিকভাবে কিভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হয় তা আমরা জানি৷’’
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
যেভাবে বাদুর ধরছেন
বাদুরের সন্ধানে ফিলিপাইন্সের লাগুনা প্রদেশ চষে বেড়াচ্ছেন গবেষকেরা৷ রাতের আঁধারে পিপিই, হ্যান্ডগ্লাভস, মাস্ক পরে টর্চ নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন জঙ্গলে৷ পাহাড় বেয়ে নানা স্থানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাদুর৷ বিভিন্ন বাড়ির ছাদে উঠেও পেতে রাখছেন বাদুর-ধরা জাল৷ ওপরের ছবিতে জালে ধরা পড়া বাদুর ধরছেন এক গবেষক৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
মানবকল্যাণে ঝুঁকির কাজ
বাদুরের ১৩ হাজার প্রজাতির মধ্যে হাতে গোণা যে কয়েকটা করোনা ভাইরাস বহন করে, হর্সহেড বাদুর তাদের মধ্যে অন্যতম৷ গবেষকরা মূলত এ ধরনের বাদুর ধরে তাদের পাখার দৈর্ঘ মাপা, মুখের লালা পরীক্ষার কাজ সারেন৷ তারপর আবার তাদের ফিরিয়ে দেন প্রকৃতির বুকে৷ সামান্য অসতর্কতার কারণে গবেষকরাও সংক্রমিত হতে পারেন৷ তবুও সারা বিশ্বের মানুষকে মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ করছেন তারা৷