বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগল এবার এক হয়ে করোনা ঠেকাতে কাজ করবে৷ তারা একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী অন্য কোন মোবাইল ফোনের কাছাকাছি ছিলেন তা তালিকাভুক্ত করবে৷
ছবি: imago images/Frank Sorge
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় শীর্ষ দুই প্রযুক্তি কোম্পানি৷ তারা জানায়, নতুন করোনা ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার হার কমাতে তারা ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং টেকনোলজি' ব্যবহার করে সেবাটি দেবে৷ সেক্ষেত্রে দুই কোম্পানি নিজেদের মধ্যে একরকমের সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে৷
পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী অ্যাপল ও গুগলের সেবা নিয়ে থাকেন৷ কনট্যাক্ট ট্রেসিং টুলটি এটা জানতে সহযোগিতা করবে যে নির্দিষ্ট স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তি ভাইরাস বহনকারী কারো সংস্পর্শে বা কাছাকাছি এসেছেন কি না৷
‘‘এটা খুবই দারুণ৷ তবে অনেকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জায়গা থেকে ব্যাপারটা নিয়ে শঙ্কিত৷ আমরা বিষয়টি দেখব, ভালোভাবেই দেখব,'' এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷
বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত ও পরীক্ষা করা এবং কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে পারবেন৷
এই প্রযুক্তি চালু রাখলে ব্যবহারকারীর ফোন থেকে ব্লুটুথ সিগন্যাল দেবে৷ কেউ যদি তার ছয় ফুটের ভেতরে আসেন তাহলে অপরপক্ষের তথ্য সংরক্ষিত হবে৷ দুই কোম্পানিই বলেছে, তারা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য বা জিপিএস লোকেশন নিজেরা ট্র্যাক করবে না৷
এ বিষয়ে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও গুগলের সাবেক পরামর্শক আল গিদারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এটা পরীক্ষার বিকল্প নয়, আপনার জানতে হবে কে আক্রান্ত৷ তবে এসব তথ্য ব্যক্তিকে আরো সতর্ক, নিজেকে সরিয়ে রাখা এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে৷''
মে মাস নাগাদ নতুন এই সফটওয়্যরটি বাজারে আসার কথা৷ তবে প্রযুক্তিটি সারাবিশ্বের জন্য প্রযোজ্য হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ গুগল তার প্লে স্টোরে দেবে সফটওয়্যারটি আর অ্যাপল দেবে সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে৷
গোপনীয়তা রক্ষা
এ ধরনের অ্যাপ নিয়ে সবচেয়ে বড় শঙ্কা হল ব্যক্তির গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ৷ তবে ওয়ার্ল্ড প্রাইভেসি ফোরামের নির্বাহী পরিচালক প্যাম ডিক্সন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন যে, অ্যাপল বিষয়টি তাঁকে আশ্বস্ত করেছে৷
‘‘আমি মনে করি তারা অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে,'' ডিক্সন বলেন৷ ‘‘যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে না৷''
এপি জানাচ্ছে, অন্যের কোন সংবেদনশীল তথ্য অপর কোন ব্যক্তির ফোনে ‘এনক্রিপ্টেড' আকারে জমা হবে৷ কোন ব্যক্তিগত তথ্য সেখান থেকে জানা যাবে না এবং সতর্কতার সংকেতগুলো স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নয়৷
জেডএ/এআই (রয়টার্স, এপি)
যেখানে করোনা, সেখানেই রোবট আর ড্রোন
জানালায় এসে কথা বলছে ড্রোন। পুলিশের নির্দেশে উড়ে যাচ্ছে যেখানে দরকার। রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, সুপার মার্কেটসহ অনেক জায়গায় করোনা ভাইরাসকে রুখতে রোবটও কাজ করে চলেছে বিরামহীনভাবে। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/China Daily
ড্রোন বলছে, সাবধান!
মালয়েশিয়ার পুলিশ করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার কথা বলতে পাঠিয়েছে তাকে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের এই ঘরটির সামনে এসে সে কথাই বলছে ড্রোন। মন দিয়ে ড্রোনের কথা শুনছেন এক গৃহিণী।
ছবি: Reuters/Lim Huey Teng
শিক্ষার্থীর বেশে রোবট
করোনা ভইরাস থেকে বাঁচতে ঘরে থাকতে হচ্ছে সবাইকে। জাপানের রাজধানী টোকিওর এক অনুষ্ঠানে তাই সদ্য স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা আসতে পারেননি। তাদের জায়গায় গাউন পরে দাঁড়িয়েছে রোবট।
ছবি: Reuters/BBT UNIVERSITY
রোবট যখন ফটোগ্রাফার
ইটালির ভারেসে শহরের এক হাসপাতলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের ছবি তুলে বেড়াচ্ছে রোবট। রোগীদের চিকিৎসায় খুব কাজে লাগছে সেই ছবি। কম্পিউটারের স্ক্রিনে রোবটের তোলা ছবি দেখছেন এক স্বাস্থকর্মী।
ছবি: Reuters/F. Lo Scalzo
সচেতন রোবট
করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে একজন সচেতন মানুষের যা যা করা উচিত, সবাই মিলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়া উচিত, সুপার মার্কেটে সেই কথাগুলো বলছে মানুষের আদলে গড়া এক রোবট। জার্মানির লিন্ডিয়ার শহরের এক সুপার মার্কেট থেকে তোলা ছবি।
ছবি: Reuters/W. Rattay
সংবাদ সম্মেলনে রোবট
বেজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে সাংবাদিকদের দেখানো হচ্ছে হাসপাতলে রোবট কিভাবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহায়তা করে। 'নকল মানুষ' সামনে রেখে রোবটই তা দেখাচ্ছে।
ছবি: Reuters/C. Garcia Rawlins
শহর জীবাণুমুক্ত করছে ড্রোন
চিলির তালকাহুয়ানা শহরে জীবাণুনাশক ছিটাতে আর মানুষের দরকার হয় না। লকডাউন মেনে মানুষ থাকছে ঘরে আর শহরময় উড়ে উড়ে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে ড্রোন।
ছবি: Reuters/J. Luis Saavedra
খাবার পরিবেশনে
চীনের সাংহাই শহরের এক রেস্তোরাঁয় চাহিদামতো খাবার পরিবেশন করছে রোবট।
ছবি: Reuters/Aly Song
সিঁড়ি বেয়ে ওঠে স্প্রেয়ার!
চীনের লুসিয়াং হেনান প্রদেশের এক ভবনে জীবাণুনাশক ছিটাতে সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে এগিয়ে চলেছে স্প্রেয়ার।
ছবি: Reuters/China Daily
রংমিস্ত্রি রোবট
করোনা ভাইরাসের কারণে ফ্রান্সও এখন বিপর্যস্ত। সব মানুষকে বলা হয়েছে ঘরে থাকতে। অনেক কাজেই নামতে হয়েছে রোবটকে। করোনায় মৃতদের জন্য বানাতে হচ্ছে নতুন নতুন কফিন। কফিনে রং করছে এক রোবট।
ছবি: Reuters/G. Fuentes
মাস্ক লাগবে?
ভারতের কোচি শহরে ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে আছে রোবট। ট্রে-তে আছে মাছ আর স্যানিটাইজার। যার দরকার নিয়ে নিন!
ছবি: Reuters/Sivaram V
বিকল্প স্বাস্থ্যকর্মী
ইতালির ভারেসে শহরের এক হাসপাতলে করোনায় সংক্রমিতদের চিকিৎসায় সহায়তা করছে রোবট।
ছবি: Reuters/F. Lo Scalzo
পরম বন্ধু
করোনা-সংকটে সবচেয়ে বিপদে আছেন প্রবীণরা। রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, একাকিত্বের যন্ত্রণাও তাদের জন্য বেশি অসহনীয়। বেলজিয়ামে এমন মানুষদের জন্য ঘরে ঘরে বিনামূল্যে রোবট পাঠাচ্ছে একটি কোম্পানি। রোবটগুলোর কাজই হলো ভিডিও কলের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলানো।
ছবি: Reuters/Y. Herman
পুলিশ এবং ড্রোন
ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ প্রদেশের পেকানবাউ শহরে
জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজও করতে হচ্ছে পুলিশকে। অবশ্য পুলিশ কাজটা নিজে করছে না। রিমোট হাতে নিয়ে শুধু নির্দেশ দিচ্ছে আর সেই নির্দেশ মেনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে যাচ্ছে ড্রোন।
ছবি: Reuters/R. Muharrman
'বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক'
বেজিংয়ের করোনায় সংক্রমিত রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতো নানা উপদেশ দেবে এই রোবট। কিভাবে, কোন ইশারায় কী বোঝাতে হবে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন ফাইভ জি প্রযুক্তির রোবটটি তৈরি করা কোম্পানির কর্মীরা।