করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। সোমবার অ্যামেরিকায় তেলের দাম শূন্যের নীচে নেমে যায়। মঙ্গলবার অবশ্য তা সামান্য বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন তেল। গত কয়েক দশকে তেলের দখল নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জলঘোলা হয়েছে অনেক। হয়েছে যুদ্ধ। অ্যামেরিকায় সেই তেলের দামই সোমবার শূন্যের নীচে নেমে যায়। তবে মঙ্গলবার তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ০ দশমিক ৫৪ ডলার প্রতি ব্যারেল। ইতিহাসে এমন বিরল ঘটনা এই প্রথম। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে একবারই শূন্যের নীচে নেমেছিল তেলের দাম। এ দিকে, করোনা সংক্রমণে বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
লকডাউন তুলুন লকডাউন রাখুন
03:28
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বিশ্ব জুড়ে যাতায়াত কার্যত বন্ধ। লকডাউনে বন্ধ কলকারাখানা। ফলে তেলেরব্যবহার কমেছে। কিন্তু তেলের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি। গত দেড় মাসে বিশ্ব জুড়ে তেলের দাম কমেছে। কিন্তু সোমবার অ্যামেরিকায় যা ঘটলো তা অভূতপূর্ব। ২১ এপ্রিল সেখানে মে মাসের তেল কিনে নেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তেল কিনতে রাজি নয় সংস্থাগুলি। কারণ, তেলের বিক্রি নেই। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব চেয়ে উন্নত অপরিশোধিত তেল রপ্তানি কেন্দ্র ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বুঝতে পারে, বিক্রি করতে না পারলে অপরিশোধিত তেল উপচে পড়বে। ফলে তেল কেনার জন্য ক্রেতাদের অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। অর্থাৎ, তেল কেনার জন্য ক্রেতাদের অর্থ খরচ করতে হবে না, উল্টে তাঁরা টাকা আয় করবেন। যার জেরে মুহূর্তে তেলের দাম শূন্যের নীচে চলে যায়। ২০ এপ্রিল এক সময় তেলের দাম ব্যারেল প্রতি মাইনাস ৪০ ডলারেরও নীচে চলে গিয়েছিল। পরে তা মাইনাস ৩৭ ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। মঙ্গলবার সকালে তা বেড়ে হয়েছে ০ দশমিক ৫৪ ডলার প্রতি ব্যারেল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরিস্থিতি এমনই থাকলে মে মাসে অ্যামেরিকায় তেলের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হতে পারে। কারণ, অপরিশোধিত তেল রাখার আর জায়গা থাকবে না।
কড়াকড়ি উঠে গেলেও জার্মানিতে কী কী বন্ধ থাকবে?
করোনা সংকটের কারণে জার্মানিতে কড়াকড়ির মেয়াদ আপাতত ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ এই সময়ে বা তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে বাধানিষেধ তুলতে চাইছে না সরকার৷ এমনই কিছু দৃষ্টান্তের দিকে নজর দেওয়া যাক৷
ছবি: JACQUES COLLET/AFP/Getty Images
কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ একা, দুইজন অথবা পরিবার বা বাসার অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে বার হওয়ার অনুমতি রয়েছে৷ সব ক্ষেত্রেই কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে৷ করোনায় আক্রান্ত কোনো মানুষ যাতে বড়জোর একজনের বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Sommer
বন্ধ থাকবে কিন্ডারগার্টেন
স্কুলের নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্লাস আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও সরকার এখনো কিন্ডারগার্টেন খুলতে সাহস পাচ্ছে না৷ শিশুদের কাছে সামাজিক দূরত্ব ও কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রত্যাশা করা কঠিন বলেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষ যাতে কাজে যেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে তাদের শিশুদের দেখাশোনার জন্য জরুরি ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Fassbender
বার, রেস্তোঁরা খুলছে না
বার বা রেস্তোরাঁর বদ্ধ ঘরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বলে এই সব স্থাপনাও আপাতত বন্ধ রাখছে জার্মানির সরকার৷ তবে কিছু রেস্তোঁরা রান্না করা খাবার কেনার ব্যবস্থা শুরু করেছে৷ বাইরে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অর্ডার দিয়ে মোড়কবন্দি খাবার কিনছেন অনেক মানুষ৷ বাসায় খাবার পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করলেও বাধা নেই৷
ছবি: picture-alliance/D. Kubirski
বড় আকারের অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা
কনসার্ট, উৎসব, খেলার ম্যাচ ইত্যাদি যে সব অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের সমাবেশ হয়, সেগুলি আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত বন্ধ রাখছে জার্মানির সরকার৷ ভিড় যেখানে অনিবার্য, সেখানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কার্যত অসম্ভব৷ আয়োজকদের পক্ষেও এমন গ্যারেন্টি দেওয়া সম্ভব নয়৷ একই কারণে বন্ধ থাকছে মিউজিয়াম, গ্যালারির মত স্থাপনাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রার্থনা করা যাবে না উপাসনালয়ে
গির্জা, মসজিদ, সিনাগগ, মন্দির – কোনো ধর্মের মানুষই আপাতত সমবেত হয়ে প্রার্থনা করতে পারবেন না৷ সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের পর ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ উপাসনালয়ে কড়া বিধিনিয়ম নিশ্চিৎ করে প্রার্থনার ব্যবস্থা করতে পারলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা চিন্তা করবে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
ভ্রমণ, পর্যটনের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে
ভ্রমণেও বহাল থাকছে নিষেধাজ্ঞা৷ এমনকি দেশের মধ্যে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের কাছে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিচ্ছে না সরকার৷ খুব জরুরি ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ পর্যটকের অভাবে বেশিরভাগ হোটেলও বন্ধ থাকছে৷ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিত্যযাত্রীদের জন্য শুধু কয়েকটি হোটেল খোলা রাখা হচ্ছে৷ তবে ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনের নিয়ম মেনে বেশি মানুষ সেই সুযোগ গ্রহণ করছেন না৷
ছবি: JACQUES COLLET/AFP/Getty Images
6 ছবি1 | 6
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তেলের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি। কিন্তু ক্রেতারা তা কিনতে চাইছেন না। বিক্রি নেই। ফলে তেল উপচে পড়ছে। রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতেই ক্রেতাদের বলা হয়, তেল কিনলে অর্থ সাহায্য করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। তেল যাতে নষ্ট না হয় এবং যথেষ্ট জমিয়ে রাখা যায়, সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারেও তেলের দাম চোখে পড়ার মতো কমেছে। এক সময় ব্যারেল প্রতি যে তেলের দাম ১০০ ডলারেরও বেশি ছিল, কমে তা ২০ ডলারের নীচে চলে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। বিভিন্ন দেশ থেকে লকডাউন উঠে গেলে এবং বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হলেই তেলের দাম আবার উঠতে শুরু করবে। যদিও গত কয়েক মাসে তেলের দামের এই পতন আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলেও তাঁরা আগাম সতর্ক করেছেন।
তেলের দামের এই পতন নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। তার চেয়েও উদ্বেগজনক অ্যামেরিকার করোনা পরিস্থিতি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিব্যক্তিতে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। সোমবারেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নরদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিতর্ক জারি রেখেছেন প্রেসিডেন্ট। বস্তুত, গভর্নরদের সঙ্গে ট্রাম্পের বিতর্ক অনেক দিন ধরেই চলছিল। নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ডের গভর্নররা অভিযোগ করছিলেন, যথেষ্ট টেস্ট কিট তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রকে ভরসা করতে না পেরে তাঁদের নিজেদেরই কিটের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, লকডাউন তোলা নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক চলছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ট্রাম্প বলেছেন, মেরিল্যান্ডের রিপাবলিকান গভর্নর বাস্তব পরিস্থিতি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আর ইলিনয়ের গভর্নর নিজের সীমার বাইরে কথা বলছেন। শুধু ডেমোক্র্যাট নয়, রিপাবলিকান গভর্নরদের বিরুদ্ধেও এ ভাবে মুখ খোলায় দলের ভিতরেও সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প।
করোনায় সাংবাদিকতা
বাংলাদেশে সাংবাদিকরাও করোনায় আক্রান্ত। ঝুঁকির মুখে আছে অনেক সংবাদমাধ্যম। এই পরিস্থিতিতেও কীভাবে চলছে বাংলাদেশের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকতা?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
মাঠে যারা কাজ করেন
প্রধানত ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ক্যামেরাম্যানদের সীমিত আকারে হলেও বাইরে যেতে হয় অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে। তারা চেষ্টা করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সবাই কি যথেষ্ট সচেতন?
মাস্ক তারা ঠিকই পড়েছেন। কিন্তু সতর্কতার জন্য আরো যা ব্যবহার করা প্রয়োজন তা কি করছেন?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সামজিক দূরত্ব কতটা মানছেন?
এই সম্প্রচার সাংবাদিকরা পিপিই পড়েছেন। তারপরও তারা কতটা নিরাপদ?
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
যাদের বাইরে না গিয়ে উপায় নেই
ফটো সাংবাদিক আর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের তো বাইরে যেতেই হবে। তাই তাদের অনেকেই নিরাপদ থাকতে সচেষ্ট।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অনলাইন আর প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সুরক্ষা
যারা সরেজমিন প্রতিবেদন করেন তাদের বাইরে যেতেই হয়। তাই তারা যতটুকু সম্ভব সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
ঘরে বসে কাজ
এই করোনায় সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ, বিশেষ করে যারা ডেস্কে কাজ করেন এখন তারা বাড়িতে বসেই কাজ করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অফিসে সামাজিক দূরত্ব
যারা অফিসে কাজ করেন, তারা চেষ্টা করছেন সামাজিক দূরত্ব মানতে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
অফিসে বসেই সংবাদ সংগ্রহ
এখন নানা ধরনের ব্রিফিং অনলাইনেই হয়। অফিসে বসেই করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিং শুনছেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
নিয়মিত স্প্রে করা হয়
নিউজরুমে নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
আছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা
এখন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রবেশ পথেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে। আছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও শরীরের তাপ মাপার যন্ত্র।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
কেউ আর ঝুঁকি নিতে চান না
চেয়ারে বসে প্রথমেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
টকশো চলে স্টুডিও ছাড়া
টকশোর অতিথিরা বাসা থেকেই যুক্ত হচ্ছেন জুম বা স্কাইপে। উপস্থাপকও অনেক সময় বাসা থেকে কাজ করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
সাংবাদিকদের গাড়ি
করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সংবাদিকদের গাড়িটিও হতে হয় জীবানুমুক্ত।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
বাড়তি সতর্কতা
টেলিভিশন সাংবাদিকদের কেউ কেউ বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে এখন লম্বা বুম ব্যবহার করেন।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
তারপরও ঘটে দুঃখজনক ঘটনা
সাংবাদিকরা তারপরও করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকির মুখে আছে। কয়েকজন কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভির খবর প্রচার ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ছবি: DW/Harun-ur-Rashid Swapan
গৃহিনী এবং সাংবাদিক
রিপোর্টারদের বড় একটা অংশও এখন বাড়ি থেকে কাজ করছেন। সংসার আর অফিসের কাজ একসঙ্গেই করছেন তারা।
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
সাংবাদিকরা কতটা মানেন?
করোনা প্রতিরোধে মসজিদে ৫ জনের বেশি নামাজ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়মতি দেখতে হয় সাংবাদিকদের। তাই প্রায় প্রতিদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে যেতে হয় তাদের। অনেকেই কিন্তু ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখেন না৷
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
17 ছবি1 | 17
করোনা ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ছে। তবে মৃত্যু বন্ধ হচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জাতি সংঘে সাধারণ সভা বসেছিল। ১৯৩ টি দেশের সম্মতিতে সেখানে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। বলা হয়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত দেশ এক হয়ে লড়াই করবে। করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হলে সব দেশ তা একই রকম ভাবে নিতে পারবে। কোনও দেশ পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের প্রশংসা করে তাদের আরও সাহায্য করার প্রস্তাবও নেওয়া হয়। প্রস্তাবে সই করেছে অ্যামেরিকাও। যদিও সোমবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়িয়েছেন ট্রাম্প। এক মাস আগে জার্মানির একটি সংস্থার কাছ থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিনের পেটেন্ট কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।
সূত্র জানিয়েছে, জাতি সংঘের প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছিল মেক্সিকো। করোনা পরিস্থিতিতেও ড্রাগ মাফিয়াদের নিয়ে বিপর্যস্ত অ্যামেরিকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। দেশের কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া এল চ্যাপো। আপাতত তিনি জেলে। রোববার তার মেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে খাবার বিলি করেছেন বলে শোনা গিয়েছে। খাবারের বাক্সে বাবার ছবি ছাপা ছিলো। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী।