1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার প্রভাব: লোকালয়ে বানরের মারামারি

২২ মার্চ ২০২০

থাইল্যান্ডের লপবুরি প্রদেশে খাবারের জন্য দুইদল বানের লড়াইয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ বানরগুলো পর্যটকদের দেওয়া খাবারের উপর নির্ভরশীল ছিল৷

ছবি: Reuters/S. Zeya TUn

করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে পর্যটন থমকে গেছে৷ মারাত্মক সংক্রামক এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে৷ আক্রান্ত বেশিরভাগ দেশ পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অন্য সব দেশের মতো থাইল্যান্ডেও পর্যটক নেই বললেই চলে৷

এ কারণে বানরের দল খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে৷ যদিও ওই প্রদেশের লোকজনের দাবি, তারা বানরের খেয়াল রাখছেন৷

স্থানীয় প্রশাসন থেকে সেগুলোকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ব্যক্তি উদ্যোগেও বানরের দলকে খাবার দেয়া হচ্ছে৷ ফলে সেগুলোর অনাহারে মরার আশঙ্কা নেই৷

কিন্তু পর্যটক না থাকায় স্থানীয়দের জীবন যাপন দিন দিন কষ্টকর হয়ে উঠছে৷

 ৪১ বছর বয়সি পাকাওয়ান কুন্তাওয়ে সবজি বিক্রি করেন৷ কিন্তু পর্যটক না থাকায় তার বেচাবিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বলে জানান এই নারী৷

বলেন, ‘‘বানরের দল অনাহারে থাকবে না৷ কর্মকর্তারা তাদের খোঁজ-খবর রাখছে, দেখাভাল করছে৷ প্রতিদিন সকালে বাজার থেকে সবজি কিনে সেগুলোকে খেতে দেওয়া হচ্ছে৷

''তাই এগুলো অনাহারে থাকবে না, কিন্তু আমাদের থাকতে হবে৷''

মানুষ বাস্তবতা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে

দক্ষিণ লন্ডনের বাসিন্দা টম কেনেডি তার ১৫ মাসের মেয়েকে নিয়ে একটি পার্কে ব্যায়াম করছেন৷ মেয়েকে নিয়েই তিনি স্কোয়াট দিচ্ছেন৷

করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার এখন ইউরোপ৷ ইটালি, স্পেন ও ফ্রান্সে ভাইরাসটি মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে গেছে৷

করোনার বিস্তার ঠেকাতে ইটালি ও স্পেন পুরো লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে৷ ফ্রান্সেও প্রায় একই অবস্থা৷

জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এখনো অতটা মারাত্মক রূপ না নিলেও অবস্থা সেদিকেই যাচ্ছে৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, লোকজনকে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে৷ এমনকি সম্ভব হলে বাসা থেকে অফিস করার নির্দেশও এসেছে৷

কেনেডি বলেন, ‘‘একই সময়ে বাড়ি থেকে কাজ করা এবং সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি৷ আমরা বাস্তবতা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি এবং বাইরে এসে কিছু ব্যায়াম করে নিজেদের সুস্থ রাখতে চাইছি৷''

মেয়ের নার্সারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অফিসের কাজের পাশপাশি মেয়ের যত্ন নিচ্ছেন কেনেডি৷ তার স্ত্রী-ও বাসা থেকে কাজ করা শুরু করেছেন৷

তিনি বলেন, '‘কত দিন এ অবস্থা থাকবে কেউ জানে না৷ এই অনিশ্চয়তাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের৷'‘

এসএনএল/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ