বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউনের মধ্যেও কিছু মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যেতে হচ্ছে৷ এরকম একজন কেটি গ্রিগস৷ শরণার্থী শিবিরে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির বার্লিনের একটি শরণার্থী শিবিরের পরিচালক গ্রিগস৷ তার শিবিরে দুই শতাধিক মানুষ রান্নাঘর ও শৌচাগার ভাগ করে ব্যবহার করে৷ কিভাবে তারা সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন- এই চিন্তায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গ্রিগস রাতে ঘুমাতে পারছেন না৷
ভ্রমণের পথে বাধা সৃষ্টি করছে করোনা সংকট
করোনা সংকটের কারণে গোটা বিশ্বে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ বিশেষ করে ভ্রমণ ও পর্যটন ক্ষেত্র অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ অদূর ভবিষ্যতেও অনিশ্চয়তা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
ছবি: picture-alliance/nordphoto/Bratic
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত বন্ধ
১৭ই মার্চ থেকে এক মাসের জন্য ইইউ-র বহির্সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইইউ-র বাইরের কয়েকটি দেশসহ শেঙেন এলাকার বহির্সীমানাও বন্ধ রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/E. Cegarra
জার্মানিতে সতর্কতার মেয়াদ বাড়লো
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, বিদেশ ভ্রমণে সতর্কতার মেয়াদ কমপক্ষে এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷ তিনি টুইট বার্তায় জার্মানির মানুষকে বাসায় থেকে নিজের ও অন্যান্য মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন৷ অনেক ভ্রমণ সংস্থাও এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত কার্যকলাপ বন্ধ রেখেছে৷ জার্মান সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে সীমান্ত ৪ঠা মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে৷
ছবি: picture-alliance/nordphoto/Bratic
আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ
করোনা সংকট শুরু হবার পর থেকে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে আটকে পড়া দেড় লাখেরও বেশি জার্মান নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে৷ টিইউআই ভ্রমণ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ দেশে ফিরে এসেছেন৷ বিশেষ করে মিশর, স্পেন, পর্তুগাল ও কেপ ভ্যার্দ দ্বীপপুঞ্জে বেশিরভাগ জার্মান নাগরিক আটকে পড়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Margais
ভারতে বন্ধ পর্যটন ভিসা
করোনা সংকটের জের ধরে ভারত সব পর্যটক ভিসা কমপক্ষে এক মাসের জন্য বাতিল করেছিল৷ একমাত্র যে সব বিদেশি আগে থেকেই দেশে ছিলেন, তাদের থাকার অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার৷ আপাতত ৩রা মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo
এশিয়ার পর্যটনে ধস
বিশেষ করে চীনা পর্যটকদের প্রবেশের উপর বিধিনিষেধের কারণে এশিয়ার অনেক পর্যটনকেন্দ্র সংকটে পড়েছে৷ যেমন টোকিওর সেনসো-জি মন্দির ও কম্বোডিয়ার আংকর ওয়াট মন্দিরে দর্শকদের সংখ্যা নাটকীয় মাত্রায় কমে গেছে৷ মার্চ মাসেই থাইল্যান্ডে পর্যটকদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Taga
অ্যামেরিকায় প্রবেশ নিষেধ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ থেকে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে৷ ইটালি ও স্পেন করোনা সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ ফ্রান্স লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ১৩ই এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে অ্যামেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ততদিন চালু থাকবে, যতদিন না ইউরোপের দেশগুলিতে উন্নতির লক্ষণ দেখা না যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Stolyarova
মাইয়র্কা দ্বীপে দুশ্চিন্তা
পর্যটনের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল স্পেনের মাইয়র্কা দ্বীপ৷ পালমা শহরের রাজপ্রাসাদের সামনে এখন প্রায় কোনো মানুষই চোখে পড়ছে না৷ পর্যটকেরা ইস্টারের ছুটি কাটাতে সেখানে যেতে পারেন নি৷ বিশেষ করে জার্মানি ও ব্রিটেনে অনিশ্চয়তার কারণে এমনকি মরসুমের সময়েও অনেক হোটেল বন্ধ রাখতে হবে সেখানকার হোটেল সংগঠন আশঙ্কা করছে৷
ছবি: picture-alliance/GTRES/G3online
আশার আলো
সুইজারল্যান্ডের ম্যাটারহর্ন পর্বতের উপর আলোর এক ইনস্টলেশন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও মানবজাতির মধ্যে সংহতির বার্তা পাঠাচ্ছে৷ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও পর্যটকদের প্রিয় অনেক স্থানে এমন ইতিবাচক বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে৷ যেমন মিশরের গির্জা পিরামিডের সামনে লেখা আছে ‘নিরাপদ থাকুন, বাসায় থাকুন’৷
ছবি: picture-alliance/KEYSTONE/V. Flauraud
অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা
অস্ট্রেলিয়ার সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য নাগরিকদের বিদেশ সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বিদেশে অবস্থানরত সব অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার ডাক দিয়েছেন৷ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বে কিছু দিন ধরে চালু রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/Sopa/F. Rols
9 ছবি1 | 9
তিনি বলেন, ‘‘তাদের জন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সত্যি খুব কঠিন৷ প্রতিদিন সকালে তাদের কারো পাশে দাঁড়িয়ে দাঁত মাজতে হয়৷ খাবার রান্না বা খাওয়া সবই করতে হয় অন্যদের সঙ্গে৷''
গ্রিগসের শিবিরে অল্প কয়েকটি পরিবার আলাদা অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছে৷ তাদের আলাদা রান্নাঘর বা শৌচাগার আছে৷ সেখানে গড়ে ১৬ জনকে একই রান্নাঘর ও শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়৷ এ অবস্থায় ঝুঁকি কমাতে বাসিন্দাদের সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে৷ আর রান্নাঘর ব্যবহারে প্রত্যেককে আলাদা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷
গ্রিগস বলেন, ‘‘এমনিতেই এসব কারো সঙ্গে ভাগ করা কঠিন৷ তার উপর এখন তাদের প্রতিবেশীর বোধবুদ্ধি সম্পন্ন আচরণের উপরও নির্ভর করতে হচ্ছে৷''
ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের কারণেই এসব মানুষ শরণার্থী শিবিরে থাকে৷ যদিও তাদের অনেকেই এখন কম-বেশি স্বাধীন এবং নিজেদের বাড়ি ভাড়া নিজেরাই যোগাড় করেন৷ কিন্তু কারো কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়৷ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন অসুস্থ৷ কেউ কেউ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী৷ কেউ এখনো ফেলে আসা জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভুলতে পারছেন না, ভুগছেন অবসাদে৷ করোনা সংকটে তাদের জীবন আরো বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে বলে মনে করেন গ্রিগস৷
বলেন, ‘‘তাদের জন্য আমার কষ্ট হয়৷ আমরা সব সময় তাদের ঝুঁকি হ্রাসের চেষ্টা করে যাচ্ছি৷''
তবে এত চেষ্টার পরও গ্রিগস শিবিরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না৷ ওই দুঃসময়ের জন্য তিনি প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন৷
জার্মানিতে নার্স: হাততালি বেশি, বেতন কম
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন বলে বিভিন্ন দেশের মতো জার্মানির নার্সরাও এখন হাততালি পাচ্ছেন৷ কিন্তু কয়েক বছর ধরে বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসা এই স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করেন তাদের জন্য শুধু হাততালি যথেষ্ট নয়৷
ছবি: Filip Romanovskij
কাজের চাপ
জার্মানির হাসপাতাগুলোতে আগে থেকেই নার্সের সংকট আছে। এই সংকট সামাল দিতে যারা আছেন তাদের প্রতিদিন অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়, অথচ সে অনুযায়ী অর্থ পান না। ফলে বাড়তি চাপ সামলাতে না পেরে অনেকে চাকরি ছাড়েন। ২৭ বছরের জ্যান একই কারণে ছয়মাস আগে চাকরি ছেড়েছিলেন।
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Büttner
হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা
করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের বলা হচ্ছে ‘সৈনিক’। সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে ইয়ানের মত অনেক সাবেক নার্স আবার হাসপাতালে কাজ শুরু করেছেন। ২০১৮ সালে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, জার্মানিতে ৪০ হাজার নার্সের সংকট রয়েছে। বাস্তব চিত্র আরো খারাপ বলে ধারণা করা হয়। এতদিন এ বিষয়ে জনগণের আগ্রহ ছিল না।
ছবি: Filip Romanovskij
সংকট সবখানে
বার্লিনে একটি হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্স বলেন, “আমি সম্মানিত, কিন্তু হাততালি কোনো কাজে আসবে না। শুধু নার্স নয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, থেরাপিস্ট এবং অন্যান্য যারা এই প্রক্রিয়ার অংশ, তাদের সব জায়গায় সংকট রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এতদিনে সবাই বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে।’’
ছবি: Reuters/W. Rattay
‘হাততালি বাড়ি ভাড়া জোগাবে না’
হামবুর্গের একটি হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্স বলেন, ‘‘লোকজন আমাদের জন্য হাততালি দিচ্ছে, এটা সত্যি দারুণ। কিন্তু এটা আমাদের বাড়ি ভাড়া দেবে না।’’ তিনি মনে করেন,
“মানুষের প্রশংসা এবং স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটা আরো বেশি দরকার ছিল যখন আমরা ভালো বেতন ও কর্মপরিবেশের জন্য লড়াই করছিলাম।’’
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
প্রটেক্টিভ গিয়ারের সংকট
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় দুশ্চিন্তা হয়ে উঠেছে সুরক্ষা পোশাক ও অন্যান্য জিনিসের অভাব। উন্নত দেশগুলোতেও এই সংকট চোখে পড়ার মতো। এর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। জার্মানিতে প্রায় ২,৩০০ হাসপাতালকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷
ছবি: Reuters/M. Rietschel
আস্থাহীনতা
নার্স সংকটের কারণে যারা এ পেশায় আছেন তাদের উপর কাজের চাপ অনেক বেশি। জার্মানির নার্সিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ইয়োহানা ক্নুপেল বলেন, ‘‘কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিক্ষানবীশ নার্সদের অনেকে প্রথম বছরেই চাকরি ছেড়ে দেন।’’
ছবি: Imago-Images/7aktuell
অবস্থার উন্নতির আশা
জার্মানিতে নার্সদের সংগঠনগুলো আশা করছে, করোনা সংকটে তাদের প্রকৃত অবস্থা সবার সামনে চলে এসেছে। ভালো বেতন ও কর্ম পরিবেশের জন্য তাদের আন্দোলন এ থেকে লাভবান হবে। জার্মানিতে নার্সরা সাধারণত ঘণ্টায় ১৫ ইউরো বেতন পান।
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Heimken
7 ছবি1 | 7
তিনি কয়েকটি শিবিরের কক্ষ খালি করে সেগুলোতে আইসোলেশন ও কোয়ারান্টিনের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা করেছেন৷ সেখানে এখন পর্যন্ত একজন সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্তে হয়েছেন৷ তবে সৌভাগ্যবশত পরীক্ষায় তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি৷ তিনি বলেন, ‘‘তার ফল নেগেটিভ দেখে আমরা সবাই খুশিতে চিৎকার করেছি৷''
গ্রিগের শিবিরের শরণার্থীরা ২৫টি ভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন৷ তাদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো থেকে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছেন৷ সবার ভাষা আলাদা৷
গ্রিগস নিজেও যুক্তরাজ্য বংশোদ্ভূত জার্মান৷ দীর্ঘমেয়াদী অসুখ থাকায় তিনি নিজে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণদের দলে৷ ফলে এখন তিনি বাসায় বসেই নিজের দল পরিচালনা করছেন৷
সবার মধ্যে সহযোগিতার মনভাব বাড়াতে গ্রিগস তার শিবিরে ‘লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড' (কাউকে ফেলে যাবেন না) লেখা ব্যানার টানিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি প্রত্যেক বাসিন্দার কাছে আলাদা আলাদা করে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ চিঠিতে তিনি কোনো কারণে ভবন লকডাউন হলে কি করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন৷ সেখান থেকে যারা এখনো কাজে যাচ্ছেন তারা ওই চিঠি সঙ্গে নিয়ে যান৷ নিজের শিবিরকে মিস করছেন জানিয়ে গ্রিগস বলেন, ‘‘সৌভাগ্যবশত আমার শিবিরের সবাই খুব ভালো৷ আমি তাদের মিস করছি৷ তাদের অধিকাংশকেই যুদ্ধ, নৃশংসতা, নির্যাতন, হত্যা, সমুদ্রের মৃত্যুর আতঙ্ক সহ্য করতে হয়েছে৷ তাই তারা মানসিকভাবে খুবই দৃঢ়৷''