করোনা সংকটের মুখেও কড়া বিধিনিয়ম তুলে নেবার দাবি সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ অথচ খোলামেলা আলোচনা ও তর্কবিতর্কের মাধ্যমেই এই সংগ্রামে ঐক্য বজায় রাখা সম্ভব৷
বিজ্ঞাপন
গোটা বিশ্বে করোনা সংকট সরকার ও প্রশাসনকে উভয় সংকটে ফেলছে৷ একদিকে সংক্রমণের হার কম রাখতে লকডাউন বা অন্য ধরনের কড়াকড়ির মাধ্যমে মানুষকে কার্যত গৃহবন্দি রাখতে হচ্ছে৷ অন্যদিকে এমন পরিস্থিতির কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতি আবার চালু করার জন্যও চাপ বাড়ছে৷ এই অবস্থায় লকডাউন তুলে নেবার দাবি জোরালো হয়ে উঠছে৷ বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ এ বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় লকডাউন তুলে নেবার পরিণতি সম্পর্কেও আগেভাগে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না৷
জার্মানিতেও কড়াকড়ি শিথিল করার পক্ষে ও বিপক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে৷ সুইডেনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ‘শিথিলপন্থি' শিবির বলছেন, মানুষের বিচারবুদ্ধির উপর ভরসা করে সব বাধা তুলে নেওয়া উচিত৷ সবাই সতর্ক হলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ অন্যদিকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপও চালু থাকবে৷ অর্থাৎ, ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হওয়া পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সহাবস্থান করেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে হবে৷
জার্মানিতে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন
করোনা-সংকট সত্ত্বেও জার্মানি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পথে ফেরার উদ্যোগ শুরু করছে৷ প্রথম পর্যায়ে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে৷ তবে প্রতিটি রাজ্য এ ক্ষেত্রে নিজস্ব পথ বেছে নিচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/A. Rentz
নতুন করে দৈনন্দিন জীবনের স্বাদ
প্রায় এক মাস কড়কড়ির পর জার্মানির মানুষ আবার কিছু স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছেন৷ কিন্তু দেশের সব প্রান্তে বিধিনিয়ম এক নয়৷ ১৬টি রাজ্য এ বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ কিছু রাজ্যে ২০শে এপ্রিল থেকে ৮০০ বর্গ মিটারের কম আয়তনের দোকানপাট খোলা হয়েছে৷ তবে এমন অভিজ্ঞতার জন্য বার্লিনের মতো কিছু রাজ্যের মানুষকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে৷
ছবি: Reuters/A. Gebert
যত মত, তত পথ
জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া অবিলম্বে দোকানবাজার খোলার পথ বেছে নিয়েছে৷ বন শহরের অনেক মানুষ চুটিয়ে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন৷ আরো এক ধাপ এগিয়ে এ রাজ্যে এমনকি হবু মায়েদের প্রয়োজনীয় পণ্যের বড় দোকান খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/A. Rentz
সাইকেল কেনার উৎসাহ
ডিন্সলাকেন শহরে সোমবার সাইকেলের দোকান খোলার পর নতুন সাইকেল কেনার আশায় অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন৷ জার্মানির সব রাজ্যেই সাইকেল, বই ও গাড়ির দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ অন্যান্য দোকানের মতো এ ক্ষেত্রে আয়তন সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না৷
ছবি: Getty Images/L. Baron
ব্যবসা-বাণিজ্য আবার চালু
দোকানের মালিকরা আবার ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে পেরে খুবই সন্তুষ্ট৷ বসন্ত উপলক্ষ্যে কিছু ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন অনেকে৷ স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের লুডভিগসবুর্গ শহরে এক দোকানের সামনে লেখা আছে ‘‘আমরা ফিরে এসেছি৷ আপনাদের আবার দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে৷’’
ছবি: Getty Images/AFPT. Keinzle
আবার স্কুলে ফেরার আনন্দ
কিছু রাজ্যে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে আবার স্কুলে ফিরতে পারছে৷ বার্লিন, ব্রান্ডেনবুর্গ ও স্যাক্সনি রাজ্য বেশি বয়সের শিক্ষার্থীরা ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি ও মূল পরীক্ষার জন্য সোমবার থেকে স্কুল ভবনে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে৷ জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্যে ৪ঠা মে থেকে শিক্ষার্থীরা সেই সুযোগ পাবে৷ শুধু বাভেরিয়া রাজ্যে ১১ই মে পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Michael
চিড়িয়াখানা ও মিউজিয়ামও দরজা খুলছে
কড়াকড়ির কারণে জার্মানির চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কগুলিও বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ কয়েকটি রাজ্যে সেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে৷ মেকলেনবুর্গ-ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া, ব্রান্ডেনবুর্গ ও রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্য চিড়িয়াখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই তিনটি এবং আরো কিছু রাজ্যে মিউজিয়ামও খোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/L. Kuegeler
মাস্ক পরার চল বাড়ছে
কিছু মানুষ স্বেচ্ছায় প্রকাশ্যে মাস্ক পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ জার্মানির কিছু অঞ্চলে অবশ্য আরো বেশি মাস্ক-পরা মানুষ চোখে পড়ছে৷ দেশজুড়ে বাধ্যতামূলক না হলেও কয়েকটি রাজ্য ও পৌর কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম চালু করছে৷ যেমন স্যাক্সনি রাজ্যে এপ্রিল মাস থেকে ট্রাম-বাস বা ট্রেনে এবং দোকানবাজারে মাস্ক পরা অথবা অন্য কোনো উপায়ে মুখ ও নাক ঢাকা বাধ্যতামূলক৷ বাভেরিয়াসহ আরো কিছু রাজ্যেও এমন নিয়ম চালু হয়েছে৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
ব্যবধান বজায় রাখুন!
গোটা দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না৷ বাসার মানুষ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে৷ যে সব দোকান খোলা হচ্ছে, সেখানেও নানাভাবে ক্রেতাদের মধ্যে এই দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/L. Baron
8 ছবি1 | 8
এমন ‘সাহসি' বা ‘বেপরোয়া’ প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত নন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ স্বভাবসিদ্ধ সংযম সরিয়ে রেখে গত সপ্তাহান্তে তিনি এমন আলোচনা সম্পর্কে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর আশঙ্কা, যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণের হার আবার বেড়ে যাবে৷ এমন ঝুঁকি নিতে তিনি নারাজ৷ পরোক্ষভাবে ম্যার্কেল ‘শিথিলপন্থি' শিবিরের আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবে তুলে ধরেছেন৷ তার বদলে তিনি ধীরে ধীরে বাধানিষেধ শিথিল করার পক্ষে৷ অর্থাৎ, নতুন করে বিপদ দেখা দিলে তিনি আবার পিছু হটার পথ খোলা রাখতে চাইছেন৷
চ্যান্সেলরের বক্তব্যের এমন সুর অনেকের কাছেই বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছে৷ খোলামেলা আলোচনার বদলে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করলে আখেরে গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে বলে মনে করছে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ৷ এমনিতেই সরকারের বর্তমান পদক্ষেপের ফলে ব্যক্তির অধিকার খর্ব হচ্ছে, ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে যেমনটা এর আগে কখনো দেখা যায়নি৷ সে বিষয়ে তর্কবিতর্কের সুযোগও বন্ধ করার চেষ্টা করলে মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা হারাতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
করোনা-সংকট মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কতটা জরুরি, ম্যার্কেল নিজেই শুরু থেকে বার বার তা তুলে ধরেছেন৷ সহযোগিতার জন্য তিনি দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন৷ কোনো আলোচনা ছাড়াই উপর থেকে বিধিনিয়ম চাপিয়ে তা মেনে চলার হুমকি দিলে বাস্তবে কতটা সুফল পাওয়া যেতো, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ ‘শিথিলপন্থি’ শিবিরের দাবির মুখেও বিচক্ষণ এই নেতাকে ধৈর্য ধরে প্রয়োজনে বারবার কড়া বিধিনিয়মের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বলতে হবে এবং যুক্তি দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে৷
অন্যদিকে কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার প্রবক্তাদেরও এমন বেপরোয়া মনোভাবের পরিণতি বোঝা দরকার৷ সুইডেন বা অন্য কোনো দেশের অভিজ্ঞতা যে জার্মানির ক্ষেত্রে হুবহু প্রয়োগ করা সম্ভব, এমনটা ধরে নেওয়া কঠিন৷ একইভাবে অন্য কোনো দেশ জার্মানির বিশেষ অবস্থা অনুকরণ করলে একই ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম৷ গোটা বিশ্বে করোনা সংকটের মুখে সবাইকেই মানতে হবে যে, এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মানুষের ধারণা ও জ্ঞান এখনো অত্যন্ত সীমিত৷ সংকীর্ণ মনোভাব ছেড়ে নিবিড় পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস কাবু করা সম্ভব হবে৷
এসবি/এসিবি
কড়াকড়ি উঠে গেলেও জার্মানিতে কী কী বন্ধ থাকবে?
করোনা সংকটের কারণে জার্মানিতে কড়াকড়ির মেয়াদ আপাতত ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ এই সময়ে বা তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে বাধানিষেধ তুলতে চাইছে না সরকার৷ এমনই কিছু দৃষ্টান্তের দিকে নজর দেওয়া যাক৷
ছবি: JACQUES COLLET/AFP/Getty Images
কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ একা, দুইজন অথবা পরিবার বা বাসার অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে বার হওয়ার অনুমতি রয়েছে৷ সব ক্ষেত্রেই কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে৷ করোনায় আক্রান্ত কোনো মানুষ যাতে বড়জোর একজনের বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Sommer
বন্ধ থাকবে কিন্ডারগার্টেন
স্কুলের নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্লাস আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও সরকার এখনো কিন্ডারগার্টেন খুলতে সাহস পাচ্ছে না৷ শিশুদের কাছে সামাজিক দূরত্ব ও কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রত্যাশা করা কঠিন বলেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষ যাতে কাজে যেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে তাদের শিশুদের দেখাশোনার জন্য জরুরি ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Fassbender
বার, রেস্তোঁরা খুলছে না
বার বা রেস্তোরাঁর বদ্ধ ঘরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বলে এই সব স্থাপনাও আপাতত বন্ধ রাখছে জার্মানির সরকার৷ তবে কিছু রেস্তোঁরা রান্না করা খাবার কেনার ব্যবস্থা শুরু করেছে৷ বাইরে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অর্ডার দিয়ে মোড়কবন্দি খাবার কিনছেন অনেক মানুষ৷ বাসায় খাবার পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করলেও বাধা নেই৷
ছবি: picture-alliance/D. Kubirski
বড় আকারের অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা
কনসার্ট, উৎসব, খেলার ম্যাচ ইত্যাদি যে সব অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের সমাবেশ হয়, সেগুলি আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত বন্ধ রাখছে জার্মানির সরকার৷ ভিড় যেখানে অনিবার্য, সেখানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কার্যত অসম্ভব৷ আয়োজকদের পক্ষেও এমন গ্যারেন্টি দেওয়া সম্ভব নয়৷ একই কারণে বন্ধ থাকছে মিউজিয়াম, গ্যালারির মত স্থাপনাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রার্থনা করা যাবে না উপাসনালয়ে
গির্জা, মসজিদ, সিনাগগ, মন্দির – কোনো ধর্মের মানুষই আপাতত সমবেত হয়ে প্রার্থনা করতে পারবেন না৷ সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের পর ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ উপাসনালয়ে কড়া বিধিনিয়ম নিশ্চিৎ করে প্রার্থনার ব্যবস্থা করতে পারলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা চিন্তা করবে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
ভ্রমণ, পর্যটনের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে
ভ্রমণেও বহাল থাকছে নিষেধাজ্ঞা৷ এমনকি দেশের মধ্যে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের কাছে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিচ্ছে না সরকার৷ খুব জরুরি ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ পর্যটকের অভাবে বেশিরভাগ হোটেলও বন্ধ থাকছে৷ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিত্যযাত্রীদের জন্য শুধু কয়েকটি হোটেল খোলা রাখা হচ্ছে৷ তবে ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনের নিয়ম মেনে বেশি মানুষ সেই সুযোগ গ্রহণ করছেন না৷