করোনায় নতুন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে। সকালে শিশুরা স্কুলে যায় না। অনেকের হোম অফিসে হচ্ছে কাজ। আবার কারো কারো চাকরিই চলে গেছে৷
বিজ্ঞাপন
সংকটের মধ্যেই আবার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। নতুন ধরনের দক্ষতাও অর্জন করছেন অনেকে। কিন্তু তারপরও জীবন স্বাভাবিক নয়। ‘নিও নরমাল' বলে চালানোর চেষ্টা করা হলেও দ্বিতীয় ঢেউ আবার সব লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশে করোনায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং রাজনীতিও এই নেতিবাচক প্রভাবের বাইরে নয়।
প্রথম দফা প্রণোদনার পর করোনার দ্বিতীয় দফা ঢেউয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে প্রণোদনা পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে যাদের আসলেই প্রণোদনা দরকার, সেই গরিব এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের বড় একটি অংশ এখানো প্রণোদনার বাইরে আছেন। এমনকি তাদের অনেকে সরকারের খাদ্য সহায়তার আওতায়ও আসেননি। করোনায় যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের একটি অংশ আবার নতুন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু যাদের বয়স বেশি বা যারা বেসরকারি চাকরির শেষ দিকে ছিলেন, তারা স্থায়ী বেকারত্ব বরণ করেছেন। তারা আর উঠে দাঁড়ানোর পথ পাচ্ছেন না।
বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘‘একদম যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে আছেন, তারাও কোনো-না-কোনোভাবে সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু যারা ঠিক দারিদ্র্য সীমার কাছাকাছি ছিলেন, তারা পাননি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে নতুন করে দেড় কোটি মনুষ দরিদ্র হয়েছে। তার কিছুটা হয়তো উন্নতি হয়েছে, কিন্তু বাকিরা সংকটে আছেন।''
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ
বিত্তশালী শিল্প মালিকরা, বিশেষ করে পোশাক এবং অন্যান্য শিল্প খাতে এই করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা পেয়েছেন। প্রণোদনা যেহেতু স্বল্প সুদে ঋণ, তাই ব্যাংকগুলো যাদের ঋণ পরিশোধে সক্ষম মনে করেছে, তাদেরই প্রণোদনার টাকা দিয়েছ। ফলে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত এসএমই সেক্টর পায়নি প্রণোদনার অর্থ। এ কারণে প্রণোদনার এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার তাদের অংশ তারা নিতে পারেনি।
করোনায় স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা প্রকাশ পেয়েছে। অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল, তবে করোনা প্রকাশ করে দিয়েছে আসলে কতটা খারাপ। তাছাড়া স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি এবং লুটপাটের বিষয়টিও আবার উঠে এসেছে।এর সাথে জড়িতদের একটি অংশকে আইনের আওতায় আনা হলেও নেপথ্যে থাকা প্রভাবশালীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
করোনার প্রথম ঢেউ-এর সময় হাসপাতালে আইসিইউ সংকট প্রকট হয়। তবে তার কোনো সামাধান হয়নি। এখন দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় আবারো সংকট দেখা দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, " আমাদের এখানে স্বাস্থ্য সেবা বলতে সাধারণ চিকিৎসা সেবাকে বোঝানো হয়। ফলে করোনায় ব্যবস্থাপনায় সংকট দেখা দেয়। প্রাণ ও প্রকৃতি সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, এটা আমরা এখনো বুঝতে চেষ্টা করছি না।''
ডা. লেনিন চৌধুরী মনে করেন, দুর্নীতি এখন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থারই অংশ। স্বাস্থ্য খাতও এর বাইরে নয়। করোনায় সেটা নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তার আশঙ্কা- এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভ্যাকসিন নিয়েও বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হতে পারে।
ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন
আর মাস্ক ব্যবহারের অনীহার জন্য তিনি শুধুমাত্র নাগরিকদের দায়ী করতে নারাজ। তার মতে, "করোনাকে শুরু থেকে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।”
বাংলাদেশে গত মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । উচ্চ মাধ্যমিকে অটো পাস দেয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাস হয়েছে, তবে তা দেরিতে শুরু হয়েছে। আর প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ এখনো ক্লাস করতে পারছে না। শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ মনে করেন, "করোনাকালে শিক্ষা নিয়ে সঠিক সময়ে ভাবা হয়নি। যে কাজগুলো করা হয়েছে তা অনেক পরে করা হয়েছে। তাই নতুন বছরে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।”
তিনি মনে করেন, করোনায় শিক্ষায় যেমন বৈষম্য বেড়েছে, তেমনি প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষায় নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। তার মতে, "যে কোনো উপায়ে শিক্ষার গুণগত মান এই করোনার মধ্যেও ধরে রাখতে হবে। নয়তো একট জেনরেশন পিছিয়ে পড়বে।”
করোনায় রাজধানী ছেড়ে অনেকে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের পেশার পরিবর্তন হয়েছে। কেউ ব্যবসা হারিয়েছেন। অনেকের আয় কমে গেছে। এসব সামাজিক সংকটের তৈরি করেছে। মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ কমে যাওয়ায় বন্ধন শিথিল হয়ে গেছে। আবার দিনের পর দিন বাড়িতে অবস্থান করায় মানসিক চাপ অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, "বিচ্ছিন্নতাবোধ বাড়ছে। বাড়ছে শূন্যতাবোধ। অসহয়াত্ব বাড়ছে। বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। আর শুরুতে অপরাধ কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়ছে।”
২০২০ সালকে যেভাবে মনে রাখবে ভবিষ্যৎ
ক্যালেন্ডার বদলানো আর আট-দশটা বছরের মতো নয় ২০২০৷ শুধু নিকট ভবিষ্যৎ নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বারবার গল্প হয়ে ফিরবে সালটি৷ সেই গল্পের বিষয়বস্তুগুলো কী হতে পারে দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/J. Malone
‘অজানা’ এক ভাইরাস এসেছিল
২০১৯ সালের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের মানুষেরা অজানা অসুখে ভুগতে শুরু করে৷ গণমাধ্যমে একটু-আধটু সেই খবর আসতে শুরু করলেও কে ভেবেছিল পরবর্তী এক বছর গোটা বিশ্বকে তা নাড়িয়ে দেবে! ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে উহানের স্বাস্থ্য কমিশন নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার কথা জানায়৷ পাঁচ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
নাম সার্স-কোভ-টু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই করোনা ভাইরাসের নাম দেয় সার্স-কোভ-টু৷ আর এর থেকে সৃষ্ট রোগের নাম কোভিড-১৯৷ ১২ জানুয়ারি ভাইরাসটির জিন রহস্য প্রকাশ করে চীন৷ তখন পর্যন্ত সেটি কিন্তু চীনবন্দিই ছিল৷ একদিন পরই প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে থাইল্যান্ডে৷ এরপর আর আটকে রাখা যায়নি ক্ষুদে সেই দানবকে৷
ছবি: Reuters/NEXU Science Communication
নীরব ঘাতক
প্রথম ধরা পড়ার ৪৭ দিনের মাথায় চীনে ৬৬ হাজার মানুষকে ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়৷ মারা যান ১৫০০ জন৷ শহর থেকে শহরে, দেশ থেকে দেশে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনা৷ সংক্রমণ বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ মৃত্যুর খাতায়ও দৈনিক যোগ হতে থাকে কয়েক হাজার সংখ্যা৷ স্মরণকালে এমন মহামারির মুখোমুখি হয়নি মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Maohua
কাছে আসতে মানা
ঔষধ নেই, প্রতিষেধক নেই৷ কিভাবে রোখা যাবে এই ভাইরাসকে, সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠে৷ দেয়া হয় মানুষে-মানুষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ৷ ব্যবধান রাখতে হবে দেড় থেকে দুই মিটার, যার নাম দেয়া হয় ‘সামাজিক দূরত্ব’৷ গোটা পৃথিবীর চেহারা আর যোগাযোগের ধরনটাই রাতারাতি বদলে যায় তাতে৷
ছবি: Reuters/A. Kelly
হ্যান্ডশেকে বাধা
সৌজন্য হিসেবে হ্যান্ডশেক বা হাত মেলানোর রীতিকে বিদায় জানায় মানুষ৷ তার বদলে সৌজন্য আর উষ্ণতা প্রকাশের অভিনব সব উপায়ও তারা বের করে৷ কেউ মুষ্টিবদ্ধ হাত মেলায়, কেউবা কনুই, আবার হাতের বদলে পায়ে-পায়ে স্পর্শেরও চল দেখা যায়৷ তবে দূরে দাঁড়িয়ে মৌখিকভাবে সৌজন্য প্রকাশই নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়৷
ছবি: Reuters/FIDE/M. Emelianova
মাস্ক যখন পরিধেয়
মাস্ক পরলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায় কিনা শুরুতে এ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল৷ কিন্তু একে একে সব দেশ জনপরিসরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সবার মাস্ক পরার পক্ষে মত দেয়৷ সংস্কৃতি ভেদে পোশাকে ভিন্নতা থাকলেও সারা বিশ্বেই মাস্ক হয়ে উঠে অপরিহার্য পরিধেয়৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
যারা সুপারহিরো
করোনার বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে নামতে হয় চিকিৎসকদের৷ দেশে দেশে নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবের মধ্যেই অচেনা শত্রুর বিরুদ্ধে কঠিন এক যুদ্ধের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ অন্যকে বাঁচানোর সেই চ্যালেঞ্জে অনেকেই জীবন দেন৷ লকডাউনে তাদের প্রতি নানা উপায়ে ধন্যবাদ আর ভালোবাসা জানাতে ভোলে না বিভিন্ন দেশের কৃতজ্ঞ মানুষেরা৷
ছবি: Reuters/S. Vera
বিচ্ছিন্ন পৃথিবী
এত কিছুর পরও ঠেকানো যায়নি সংক্রমণ, থামছিল না মৃত্যুর মিছিলও৷ লাগাম ধরতে দেশে দেশে চলে লকডাউন৷ সীমান্তে আরোপ করা হয় কড়াকড়ি৷ বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্থনৈতিক আর বিনোদনমূলক সব কর্মকাণ্ড৷ ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর পুঁজিবাজারগুলোর লেনদেনে লাগে সবচেয়ে বড় ধাক্কা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Camus
ব্যালকনি বা অনলাইন কনসার্ট
আশাহীন সময়েও মানুষ আনন্দে বাঁচার উপায় ঠিক খুঁজে নেয়৷ স্পেন, ইটালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ঘরবন্দি মানুষেরা ব্যালকনিতে কনসার্ট জমিয়ে ফেলে৷ অনলাইনে ডুব দেয়া মানুষকে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নানাভাবে বিনোদিত করার চেষ্টা করেন তারকারাও৷
ছবি: AFP/P. Singh
প্রকৃতির ফুরসত
আধুনিক জীবনযাত্রার চাপে কোণঠাসা প্রকৃতি যেন এই দফা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে৷ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখন নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়ারই তো তার সময়৷ কোনো কোনো নির্জন মহানগরীর বুকে এমনকি বুনো প্রাণীরাও নেমে আসে৷ আর গবেষণায় দেখা যায়, ২০২০ সালে বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ সাত ভাগ কমেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নতুন রেকর্ড৷
ছবি: picture-alliance/empics/P. Byrne
পড়তি ঢেউ
আক্রান্ত আর মৃত্যুর রেখাচিত্র জুন নাগাদ নামতে শুরু করে৷ ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেয় দেশগুলো৷ শুরু হয় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত৷ খুলে দেয়া হয় এয়ারপোর্ট৷ কিন্তু এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার পৌঁছে যায় মহামন্দার সময়ের পর সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক সাত ভাগে৷ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে বিগত দেড় দশকের অর্জন ম্লান হয়ে যেতে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/J. Merida
দর্শকবিহীন খেলা
আন্তর্জাতিক সিরিজ বা বিভিন্ন লিগের খেলা হবে, অথচ মাঠে দর্শক থাকবে না- অন্য সময় হলে এমন কথা বললে সেটি নির্ঘাত উদ্ভট শোনাতো৷ অথচ ২০২০ সালে ইউরোপীয় ফুটবল লিগ কিংবা আইপিএলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া আসর অনুষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামে শূন্য বা সীমিত দর্শক উপস্থিতি নিয়ে৷
ছবি: Angel MartinezGES/picture alliance
দ্বিতীয় ঢেউ
শীতের মৌসুমে বিভিন্ন দেশে নভেম্বর থেকে নতুন করে বাড়তে শুরু করে করোনার প্রকোপ৷ এই ধাক্কায় আবার বিপর্যস্ত ইউরোপ৷ একে একে আবারো লকডাউনে ফিরে দেশগুলো৷ শুধু তাই নয় যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়, যেটি আগের চেয়েও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ঘটায়৷এ কারণে নতুন করে ব্রিটেনের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় বিভিন্ন দেশ৷
ছবি: Sebastian Kahnert/dpa/picture alliance
অসম্ভবকে সম্ভব
একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন থেকে শুরু করে পরীক্ষা- সবগুলো ধাপ পেরিয়ে সরবরাহ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগে৷ কিন্ত এক বছরের কম সময়ে একাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করেন বিজ্ঞানীরা৷ ডিসেম্বর থেকেই কয়েকটির প্রয়োগ শুরু হয় দেশে দেশে৷ করোনার অন্ধকার এক টানেলের যাত্রা দিয়ে ২০২০ সালের সূচনা হলেও, বিদায়টা হয় শেষ প্রান্তে টিকার আলোতে৷
এফএস/এসিবি