1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায়ও থেমে নেই আদিবাসীদের লড়াই

১১ মে ২০২০

কলম্ৱিয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়ের অভিযোগ, বিভিন্ন কোম্পানি তাদের জমি দখল করে গাছপালা কেটে ভূমিক্ষয়কারী শস্য ফলাচ্ছে৷ এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় এখন আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন আদিবাসীরা৷

কলম্বিয়ার একটি আদিবাসী পরিবারছবি: Getty Images/AFP/C. J. Martinez

কলম্বিয়ায় প্রায় ১৯ লাখ আদিবাসীর বাস৷ তাদের একটি অংশ দেশটির প্রায় এক হাজার সংরক্ষিত এলাকায় বাস করেন৷

সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোষ্ঠী নাসার সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ৷ তাদের একজন উইলিয়াম (প্রকৃত নাম দিতে চাননি)৷ তিনি থাকেন লোপেজ আদেত্রো নামের একটি সংরক্ষিত এলাকায়, যার আয়তন ২,২৩৭ হেক্টর৷ সেখানে নাসা গোষ্ঠীর প্রায় দুই হাজার মানুষ থাকেন৷ ২০১৫ সালে তাঁরা একটি কোম্পানির আখ খেতের একটি অংশ দখল করে সেখানে বসতি গড়ে তোলেন৷

এই জমিটি তাদের কাছ থেকে ‘চুরি’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উইলিয়ামের৷ ‘‘এরপর আমরা আমাদের জমিতে পুনর্বনায়ন করি৷ দখলের পর ঐ কোম্পানি শুধু আখ চাষ করায় জমি শুকিয়ে গিয়েছিল,’’ বলে জানান তিনি৷ এখন ক্ষয়ে যাওয়া জমির মান ঠিক করতে সেখানে কাসাভা, ভুট্টাসহ অন্যান্য শস্য চাষ করা হচ্ছে৷

উইলিয়াম বলেন, কোম্পানির কাছ থেকে জমি পুনরুদ্ধারের পর আবারও ঐ কোম্পানি পুলিশের সহায়তায় জমির নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল৷ ‘‘তারা (পুলিশ) আমাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে আমরা দা, লাঠি আর পাথর ছুড়ে প্রতিহত করেছি,’’ জানান তিনি৷ এখন আর কেউ তাদের বিরক্ত করেনা বলেও জানান উইলিয়াম৷

লোপেজ আদেত্রো সংরক্ষিত এলাকাটি কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের কাওকা রাজ্যে অবস্থিত৷ ঐ রাজ্যে আদিবাসীরা এখন আরও নয়টি এলাকায় তাদের জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে আঞ্চলিক আদিবাসী পরিষদ৷

কাওকা ছাড়াও কলম্বিয়ার অন্য এলাকায় বাস করা কয়েক ডজন আদিবাসী সম্প্রদায়ও জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে৷

জমি ফিরে পেতে শুরুতে তারা আইনি পথে হাঁটার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু অভিযোগ নিষ্পত্তির কাজে ধীরগতি এবং রায় দেয়ার সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা, ইত্যাদি অভিযোগে মাঝেমধ্যে সহিংসতার পথ বেছে নেন আদিবাসীরা৷

জমি দখল করতে অনেক সময় আদিবাসীদের হত্য়া করা হয়৷ ২০১৮ সালের মে মাস থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেড় বছরে ১৩৪ জন আদিবাসীকে হত্য়া করা হয় বলে জানিয়েছে কলম্বিয়ার জাতীয় আদিবাসী সংস্থা৷ এমনকি করোনা মহামারির সময়েও কয়েকজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা আধা-সামরিক বাহিনী বেশিরভাগ হত্যার জন্য দায়ী৷ এছাড়া গেরিলা ও মাদকপাচারের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের হাতেও প্রাণ হারাচ্ছেন আদিবাসীরা৷

জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ