গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৮ জন মারা গেছেন৷ যা এখন পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড৷
বিজ্ঞাপন
নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা৷ তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৯০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তার মধ্যে আক্রান্ত ছিলেন এক হাজার ৫৩২ জন৷ এখন পর্যন্ত কোভিড ১৯ এ মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৭৩৭ জনে৷ মোট মৃত্যু বরণ করেছেন ৪৮০ জন৷
আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে সেরে উঠেছেন ৪১৫ জন৷ সর্বমোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছয় হাজার ৯০১ জন৷
এফএস/জেডএ
গণপরিবহণ বন্ধ, তবুও থেমে নেই বাড়ি ফেরা
বাস চলছে না, ছাড়ছে না ট্রেন কিংবা লঞ্চও৷ গণপরিবহণ বন্ধ, তবুও অনেক মানুষ ঢাকা থেকে ছুটছেন বাড়িতে৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে নানা উপায়ে তারা শহর ছাড়ছেন৷
ছবি: DW/S. Hossain
অলস কমলাপুর
এই সময়টায় ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে কোলাহলমুখর থাকার কথা৷ সেখানে এখন যাত্রীদের ব্যস্ততা নেই৷ অলস পড়ে আছে শুধু ট্রেনগুলো৷
ছবি: DW/S. Hossain
নীরব সদরঘাট
এখন হয়তো সদরঘাটে পা রাখাটাই দায় হত যদি সময়টা ভিন্ন হত৷ অথচ ঈদের একদিন আগেও সেখানে মানুষের ছুটোছুটি নেই, ঘাট ছাড়ার জন্য লঞ্চের তাড়া নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
বাস আছে, যাত্রী নেই
ঈদের সময় মহাসড়কে জ্যামের কারণে টার্মিনালগুলোতে বাস সংকট আর যাত্রীদের অপেক্ষার দৃশ্যই চিরচেনা৷ কিন্তু গাবতলীতে এখন হাজারো বাস থাকলেও যাত্রীরা অপেক্ষায় নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
ফাঁকা টিকেট ঘর
ঢাকায় দূরপাল্লার বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো ঈদের আগে এমন ফাঁকা কি কল্পনা করা যায়! বাস যেহেতু ছাড়ছে না, তাই টিকেট ঘর খোলার প্রশ্নও আসছে না৷
ছবি: DW/S. Hossain
ডাবলডেকার যাবে না
সাধারণত রাজধানীতে চলাচল করলেও ঈদের সময় যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লায় পাড়ি দিতে দেখা যায় বিআরটিসির দ্বিতল বাসগুলোকে৷ সেগুলো এখন অকেজো পড়ে আছে ডিপোতে৷
ছবি: DW/S. Hossain
ট্যাক্সিক্যাবের কল নেই
মানুষকে বাস, ট্রেন বা লঞ্চ স্টেশনে কিংবা স্বল্পদূরত্বে পৌঁছে দিতে পারে টেক্সিক্যাবগুলোও৷ ব্যক্তিগত যান ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ এমন ঘোষণায় তাদেরও গ্যারেজ ছেড়ে বেরুনোর উপায় নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
তবুও আশা
এরপরও অনেকে ঘর থেকে বেরিয়েছেন ঢাকা ছাড়ার পথগুলোর উদ্দেশ্যে৷ সেখান থেকে যদি কোনো বাহন মিলে৷
ছবি: DW/S. Hossain
পায়ে হাঁটা
গাবতলীতে কোন বাহন মিলেনি৷ পায়ে হেঁটেই তাই যাত্রা শুরু করেছে এই পরিবার৷
ছবি: DW/S. Hossain
রোগী নন যাত্রী
রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা নেই৷ কাজেই রোগীর বাহনটিও অনেকের জন্য এখন বাড়ি ফেরার অবলম্বন৷
ছবি: DW/S. Hossain
পুলিশের চেকপোস্ট
শুরুতে ঢাকায় ঢোকা এবং বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট ছিল৷ তবে এখন তা অনেকটাই শিথীল৷
ছবি: DW/S. Hossain
ব্যক্তিগত যান
গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যানে ঢাকা ছাড়তে কোন বাধা নেই৷ এমন সিদ্ধান্তের পরে রাস্তায় কার, মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেড়েছে৷
ছবি: DW/S. Hossain
ভাড়ায় প্রাইভেট কার
কিন্তু প্রাইভেট কারে শুধু মালিকরা যাচ্ছেন না৷ অনেক রেন্ট এ কার বা ভাড়ায় খাটা প্রাইভেট কার এই সুযোগে নেমে পড়েছে যাত্রী পরিবহনে৷
ছবি: DW/S. Hossain
জনপ্রতি ৫০০ টাকা
মাইক্রোবাস বা কারে গাবতলী থেকে যাওয়া যাচ্ছে পাটুরিয়া ঘাটে৷ তবে গুণতে হবে জনপ্রতি ৫০০ টাকা৷
ছবি: DW/S. Hossain
মোটরসাইকেলও ভরসা
প্রাইভেট কার না হলে মোটরসাইকেলও আছে৷ রাইড শেয়ারিংয়ে চালানো বাইকাররা স্বল্প দূরত্বে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Hossain
সিএনজি অটোরিক্সা
কেউ কেউ সেএনজি চালিত অটোরিক্সাতেও রওনা হয়েছেন৷ তবে কতটুকুই আর যেতে পারবেন!
ছবি: DW/S. Hossain
লোকারণ্য ফেরিঘাট
যারা কষ্ট করে পৌঁছাতে পেরেছেন মাওয়া ফেরিঘাটে তাদের চিত্রটা ছিল এমন৷ হাজারো মানুষের এই ভিড়ে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন তাড়না বা উপায় নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
ফাঁকা রাজধানী
তবে ঢাকার রাস্তাগুলো ঠিকই ঈদের পুরনো রূপই ফিরে পেয়েছে৷