করোনায় বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন অ্যামেরিকায় সংক্রমণের প্রথম ঢেউ এখনো শেষ হয়নি৷ অন্যদিকে, ইউরোপে শুরু হয়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ৷ কড়াকড়ি শুরু হয়েছে আবার৷
বিজ্ঞাপন
ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে এবং মার্চে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়৷ দু'টি দেশেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিলো একই রকম৷ অর্থাৎ বাসায় থাকার ব্যাপারে কড়াকড়ি৷ অফিস আদালত-দোকানপাট বন্ধ৷ জুন মাস থেকে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমে এলে শিথিল হয় কড়াকড়ি৷
এর আগে বেশিরভাগ মানুষই ঘরে বসে অফিসের কাজ করছিলেন৷ জুন থেকে স্বল্প সংখ্যক মানুষের অফিসে যাতায়াত অনুমোদন হল৷ কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু বিধি নিষেধ আছে: যেমন একটি বড় কক্ষে তিনজনের বেশি মানুষ নয়, মাঝারি কক্ষে দুইজন এবং ছোট কক্ষে মাত্র একজন বসতে পারবে৷ অর্থাৎ বাকিদের বাসায় বসেই করতে হবে অফিস৷
অন্যদিকে, বাংলাদেশে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত শিথিল হয়েছে৷ প্রথমে এপ্রিল মাসে গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত, এরপর ঈদে কেনাকাটার জন্য দোকান খোলার সিদ্ধান্ত, সর্বশেষ অফিস আদালত খুলে দেয়া৷ কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ৷
অন্যদিকে, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ, যেখানে সংক্রমণ কমে গেছে সেখানে স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে, তবে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে৷ জার্মানিতে অবশ্য মাস্ক পরে স্কুল করা নিয়ে বেশ বিতর্ক উঠেছে৷
এখন বাংলাদেশের দিকে যদি তাকান, তাহলে একটি পরিবারে বাবা-মা বা অন্য সদস্যরা যদি অফিসে যান এবং করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে পরিবারের শিক্ষার্থীরা তো এ থেকে মুক্ত থাকছেন না৷ ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে লাভ কি? অন্যদিকে, ছোট শিশুদের একা বাসায় রেখে বাবা-মা'র অফিস করা সম্ভব?
‘লকডাউন’ শেষের পর ৮৪ শতাংশের মৃত্যু
করোনা ঠেকাতে বাংলাদেশে মার্চের শেষ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির নামে লকডাউন কার্যকর করা হয়৷ ৩০ মে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬১০৷ ২০ আগস্ট সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৩,৮২২ জনে৷
ছবি: bdnews24
প্রথম রোগী
৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়৷
ছবি: bdnews24
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ এখনও তা বন্ধ আছে৷ থাকবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত৷
ছবি: bdnews24.com
সাধারণ ছুটি
২৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়৷ এই সময় দেশের সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়৷ তবে হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে ছুটির আওতার বাইরে রাখা হয়৷ গণপরিবহন চলাচলও সীমিত করা হয়৷ ২৩ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬২০ জনের দেহে করোনা টেস্ট করে ৩৩ জন রোগী পাওয়া গিয়েছিল৷ তখন পর্যন্ত মারা গিয়েছিলেন তিন জন৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
পোশাক শ্রমিকদের হয়রানি
৫ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা খোলা হবে এমন খবরে ৪ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকরা ঢাকায় আসা শুরু করেছিলেন৷ ফলে গাজীপুরে, টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে, নারায়ণগঞ্জে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিতে মানুষের ঢল নেমেছিল৷ পরে শ্রমিকরা ঢাকায় পৌঁছার পর রাত ১০টায় বিজিএমইএ থেকে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়৷ এরপর ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা খোলা শুরু করে৷
ছবি: bdnews24.com
জানাজায় লক্ষাধিক মানুষ
সাধারণ ছুটির মধ্যেই ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক জানাজায় লাখো মানুষ উপস্থিত হন৷ স্থানীয় প্রশাসন এ অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ ইসলামী আলোচক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজা ছিল এটি৷
ছবি: Ujjal chakraborty
ঈদের জন্য ছাড়
৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকলেও ২৫ মে রোজার ঈদ সামনে রেখে ১০ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার৷ শর্তের মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক দূরত্ব মানা ও বিকাল চারটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করা৷ অবশ্য এসব শর্ত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ায় সপ্তাহখানেক পর বেশিরভাগ জেলায় দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন৷
ছবি: picture-alliance/S. Mahmud Mukut
ঈদযাত্রা
২৫ মে রোজার ঈদকে ঘিরে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত না করতে সরকারি বিধিনিষেধ ছিল৷ কিন্তু অনেককেই তা মানতে দেখা যায়নি৷ গণপরিবহন না চললেও বিভিন্নভাবে তারা ঢাকা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া শুরু করেন৷ এক পর্যায়ে ২১ মে সরকার থেকে বলা হয়, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়া যাবে৷ ছবিটি ২৩ মে মুন্সিগঞ্জ থেকে তোলা৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
টানা ৬৬ দিন ছুটি
প্রথমে পাঁচদিন সাধারণ ছুটি দেয়া হয়েছিল৷ এরপর কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ অবশেষে টানা ৬৬ দিন ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে (সচিবালয়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল) অফিস ও যানবাহন চলাচল শুরু হয়৷ ৩০ মে পর্যন্ত দুই লাখ ৯৭ হাজার ৫৪ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে ৪৪ হাজার ছয়শ আট জনের করোনা শনাক্ত হয়৷ তখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৬১০ জন৷
ছবি: bdnews24.com
মৌখিক নির্দেশনা
১ জুন থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ে কাজ করছিলেন৷ তবে ৬ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তান সম্ভবা ছাড়া সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷
ছবি: bdnews24.com
বর্তমান পরিস্থিতি
২০ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৪ লাখ সাত হাজার ৫৫৬ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে৷ এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৯ জনের৷ আর মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৮২২ জন৷ অর্থাৎ সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর ৮২ দিনে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৩৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে৷ এই সময়ে মারা গেছেন তিন হাজার ২১২ জন, যা মোট মৃত্যু সংখ্যার ৮৪ শতাংশ৷
ছবি: bdnews24
10 ছবি1 | 10
জার্মানিতে কোন শিক্ষার্থীর সামান্য ঠান্ডা লাগলেও সাথে সাথে অভিভাবককে ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকতে৷
তবে জার্মানিতে কড়াকড়ি একেবারে উঠিয়ে নিতে বিক্ষোভ হয়েছে বার্লিনে৷ অন্যদিকে, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সম্প্রতি হয়েছে মাস্কবিরোধী মিছিল৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকা নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷
এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশে করোনার প্রথম দফা সংক্রমণ শেষ না হলেও ইউরোপে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ৷ জার্মানির কয়েকটি রাজ্যে আবার নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে৷ অন্যদিকে, ইটালি আর ফ্রান্সেও বেড়েছে সংক্রমণ৷ এই দুটি দেশে কিছুদিন আগে কড়াকড়ি প্রায় উঠে গিয়েছিল৷ কিন্তু চলতি মাসে ফ্রান্সে আবারও মাস্ক পরা এবং ইটালিতে রাতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ইটালিতে ডিস্কো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷
জার্মানিতে এখনও দোকানপাটে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের প্রবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে৷ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷
দোকানে, অফিসে, ট্রামে, ট্রেনে, বাসে, বিমানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ তবে বিমানে মাঝের সিট খালি রাখা হচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন৷
ব্রিটেনেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার ফলে কড়াকড়ি আবার শুরু হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে ফেব্রুয়ারি, মার্চের চেয়ে আগস্টে সংক্রমণ অনেক বেড়েছে৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা৷ ফলে দেশটির হোয়াইট হাউসের করোনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক ডা. ডেবরা ব্রিকস জনগণকে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নির্দেশাবলি মেনে চলা, মাস্ক পরা ও সামাজিক ব্যবধান মেনে চলার ওপর আবার গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷
বিশ্বে করোনা নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কেরালা৷ নিউজিল্যান্ডে দেখা দিয়েছে আবার সংক্রমণ, পিছিয়েছে নির্বাচন৷ কেরলে জুলাই থেকে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ৷ ফলে করোনার গতিপ্রকৃতি আসলে বিশেষজ্ঞরাও ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না৷
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন, সে কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷
ব্রাজিলে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েই চলেছে৷ জুলাই মাসে করোনায় আক্রান্ত হন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসেনারো৷ এর আগেই তিনি মাস্ক পরা সংক্রান্ত নিয়মের কড়াকড়ি শিথিল করেন, এবং আঞ্চলিক গভর্নরদের লকডাউন শিথিল করার আহ্বান জানান৷ তিনি আগেই বলেছিলেন, ব্রাজিলে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষের করোনা হবেই, কোনও ভাবেই তা আটকানো যাবে না৷ তার মতে, লকডাউনের ফলে অর্থনীতি ধসে পড়বে, সাধারণ মানুষ আরও সমস্যায় পড়বে৷ করোনা ধরা পড়ার কয়েক দিন আগে পর্যন্তও সমর্থকদের মাঝে থেকেছেন প্রেসিডেন্ট৷ তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন৷ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে৷ এমনকী, তাঁর বাসস্থানের বাইরে প্রতিবাদীদের মঞ্চেও পৌঁছে গিয়েছেন৷ সামাজিক দূরত্বের ধার ধারেননি৷
কখনো মনে হয় ব্রাজিল বা বাংলাদেশ সরকার যা করছে ঠিক না, আবার মনে হয় না করে উপায় কি! বাংলাদেশে দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ অনেক৷ অনেকে প্রথম কয়েক মাস ত্রাণ দিলেও টানা পাঁচ মাস এই মানুষগুলো কাজ না করে কীভাবে বেঁচে আছে? এই মহামারী যদি আরও দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে তো এরা না খেয়েই মারা যাবে৷ গত কয়েক মাসে কত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পুঁজি শেষ হয়ে গেছে, চাকরি হারিয়েছে কত মানুষ৷ ফলে কোন সিদ্ধান্তটা যে সঠিক সে নিয়ে দ্বিধা থেকেই যায়!
২৬ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...
অলস, সতর্ক, অচেনা ঢাকা
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণকে ঘরে রাখতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের দোকান পাট, শপিং মল বন্ধ। এর অন্যথায় দেয়া হচ্ছে শাস্তি।
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
করোনার ছুটি
হরতালে, এমনকি ঈদের ছুটিতেও এত ফাঁকা হয় না রাজধানী ঢাকা৷ কিন্তু অনেকেই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন৷ তার ওপর দোকান-পাট, অফিস আদালত বন্ধ থাকায় ঢাকা একেবারেই ফাঁকা৷ কিছু প্রধান সড়ক যান চলাচলের জন্য এভাবে বন্ধও করে দেয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
এ কেমন ফার্মগেট!
গভীর রাতেও কখনো এত ফাঁকা হয় না রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি ফার্মগেট মোড়৷ কিন্তু করোনার অঘোষিত লকডাউনে ফার্মগেটও হারিয়েছে তার চিরাচরিত চেহারা৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
বিক্রি হচ্ছে না মাস্কও
করোনা আতঙ্কে কদিন আগেই ফার্মেসিগুলোতে মাস্ক ও স্য়ানিটাইজার কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সবাই৷ অথচ এখন রাস্তার পাশে মাস্ক নিয়ে বসে আছেন এক বিক্রেতা, কেনার কেউ নেই৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
ক্রেতাহীন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
গরমে ডাব, আখের রস, লেবুর শরবত ঢাকার রাস্তায় বেশ জনপ্রিয় পানীয়৷ কিন্তু মানবশুন্য় সড়কে এখন দিনের খরচ জোগাড়ের চিন্তায় মাথায় হাত এই ডাব বিক্রেতার৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
এদের কী হবে?
ব্যস্ত সময়ে ঢাকার রাস্তায় রিকশা মানে সোনার হরিণ৷ কিন্তু এখন জরুরি কাজ ছাড়া বাসার বাইরে বের হওয়াই মানা৷ তাই রিকশাচালকেরাও শুয়ে বসেই কাটাচ্ছেন অলস সময়৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
গলির দোকানে ভিড়
মূল সড়কের আশেপাশে প্রায় সব দোকানপাটই বন্ধ৷ বিভিন্ন গলির ভেতরে কিছু ছোটখাটো মুদির দোকান খোলা রয়েছে৷ সেগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো৷ অবশ্য কেউই চা-পান খেতে খেতে জমিয়ে গল্প করছেন না৷ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেই রওয়ানা হচ্ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
করোনা থেকে বাঁচতে অনেক ব্যবসায়ীকে দেখা গেছে তাদের কর্মচারীদের এমন পার্সোনাল প্রটেকশন ইউনিট- পিপিই সরবরাহ করতে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
খা খা করছে ফার্মেসিও
এমনিতেই এসব ফার্মেসিতে লেগে থাকে ক্রেতার ভিড়৷ তার ওপর করোনা আতঙ্কে মানুষ আরো হামলে পড়েছিল এইসব বড় আকারের ঔষধের দোকানগুলোতে৷ কিন্তু এখন গল্প করেই সময় কাটছে কর্মচারীদের৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
মসজিদও ফাঁকা
সরকার ও আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে বারবারই সব ধরনের সমাবেশ ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে৷ তার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় সমাগমও৷ তবে এখন মসজিদগুলোতেও একেবারেই কমে গেছে মুসল্লিদের উপস্থিতি৷ বেশিরভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষই বাসায় থেকে নামাজ আদায় করছেন৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
নেই কোনো দিনমজুর
ঢাকা শহরের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মধ্যম আকারের ভারি মালামাল পরিবহনে একমাত্র উপায় এই ভ্যানগুলো৷ কিন্তু দোকানপাটই খোলা নেই, তাই আসছে না কোনো কাজও৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
স্বেচ্ছাসেবা
ঢাকার অনেক জায়গাতেই দেখা গেল কেউ কেউ বাসায় তৈরি জীবাণুনাশক স্প্রে করতে রাস্তায় নেমেছেন৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
‘নির্দেশ’ অমান্যের ‘সাজা’
জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হয়ে তাৎক্ষণিক সাজাও পেয়েছেন কেউ কেউ। তবে পুলিশ সদস্যরা কারো সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
সেনা সদস্যরাও টহলে
আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল জনগণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রাখা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী৷ ঢাকার সড়কেও দেখা গেল সেনাবাহিনীর টহল৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
‘হাত ধোও’
ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সড়কে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সিটি কর্পোরেশনও বিভিন্ন স্থানে এমন উদ্যোগ নিয়েছে৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
গৃহহীনের নেই নিরাপত্তা
করোনা আতঙ্কে সবাই উদ্বিগ্ন হলেও গৃহহীনদের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা৷ অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেলেও কারো কারো ঢাকার সড়কই একমাত্র অবলম্বন৷ তাদের জন্য দেখা যায়নি কোনো উদ্যোগ৷