গেল শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি তদন্তকারী ইউনিট তৈরি করেছে৷ করোনার কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে মনে করে আঞ্চলিক জোটটি৷
ইউরোপের অর্থনৈতিক অপরাধ কেন্দ্র বা ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকনোমিক ক্রাইম সেন্টার জোটের পুলিশ বাহিনী ইউরোপোলের সঙ্গে কাজ করবে৷
এ বিষয়ে ইউরোপোলের প্রধান ক্যাথরিন দ্য বোলে বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ আমাদের অর্থনীতিকে দূর্বল করে দিয়েছে এবং এতে করে অপরাধ প্রবণতা তৈরি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷’’
টুইটারে ইউরোপোলের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘‘গন্তব্যে অর্থ পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের লেনদেনগুলো খতিয়ে দেখতে হবে এবং অপরাধীদের কাছ থেকে একে দূরে রাখতে হবে৷’’
ইউরোপোল জানিয়েছে, নির্মাণ খাত, হোটেল, ভ্রমণ ও পর্যটন খাতে অপরাধের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি৷
চিকিৎসা সরঞ্জামেও সমস্যা হবার ঝুঁকির কথা বলছেন তারা৷
বিশেষ ইউনিটটিতে ২৭টি ইইউ সদস্য দেশ থেকে ৬৫ জন বিশ্লেষক থাকবেন৷ তারা নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)
৬ মের ছবিঘর দেখুন...
করোনা সংকটের মধ্যে কড়াকড়ি শিথিল হওয়ায় খুব ধীরে ধীরে ইউরোপের শহরগুলো জীবনের ছন্দে ফিরছে৷ রাস্তায় মানুষের দেখা মিলছে, খুলেছে স্কুল, অফিস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Karadjiasসাইপ্রাসের কেন্দ্রে এই পোশাকের দোকানটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার খুলেছে৷ মার্চের শেষ থেকে এখানে লকডাউন ছিলো৷ চলতি মাসের ৪ তারিখে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছোট ছোট দোকানগুলো খোলার অনুমোদন দেন৷ এছাড়া ২১ তারিখ থেকে সবাই আগের মত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Karadjias১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল৷ আর এটা উঠিয়ে নিতেই মুক্তির আনন্দে সবাই জড়ো হয়েছেন সমুদ্র সৈকতে৷ মাস্ক পরে সবাই দোকান, সেলুন, এমনকি রেস্তোরাঁতেও যেতে পারছেন৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/SOPA Images/Diogo Baptista ৪ঠা মে থেকে গ্রিসে সেলুনগুলো খুলে দেয়া হয়েছে৷ বইয়ের দোকানসহ ছোট ছোট দোকান খুলেছে ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর৷ তবে রেস্তোরাঁ আর পাবগুলো খোলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এই মাসের শেষ পর্যন্ত৷ দেশের মানুষ যেকোন জায়গায় যেতে পারবে, তবে অবশ্যই মাস্ক পরে, বিশেষ করে গণপরিবহনে চলার সময়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Stavrakisএই দেশের রাজধানীতে অন্যান্য শহরের তুলনায় বেশি কড়াকড়ি৷ অন্যান্য শহরে গণপরিবহন, জাদুঘর, ছোট দোকান খুললেও বুদাপেস্টে কিছু অফিস খুলেছে, গণপরিবহন চলছে, তবে কম৷ আর অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরে যেতে হচ্ছে অফিসে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Z. Baloghগত ৪৮ দিন ধরে স্পেনের প্রতিটি শহর ছিলো জনশূন্য৷ খাবার, ওষুধ, কুকুরকে নিয়ে বের হওয়া ছাড়া বের হওয়া ছিলো একেবারে নিষিদ্ধ৷ এখন সামাজিক দূরত্বসহ অনেক বিধিনিষেধ বহাল থাকলেও রাস্তায় বের হতে পারছে মানুষ৷
ছবি: Reuters/J. Medinaইউরোপের মধ্যে এই দেশটির পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ৷ লকডাউনে সবচেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল এখানে৷ তবে ৪ মে থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Stinellisএমনকি এখন থেকে মৃতদেহ সৎকারে হাজির হতে পারবেন সর্বোচ্চ ১৫ জন, তবে সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে৷ লক ডাউন চলাকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা প্রিয়জনদের শেষ বিদায় জানাতে পারেননি৷
ছবি: Reuters/A. Parrinelloস্কুলের ফাইনাল ইয়ারের পর্রীক্ষায় অন্তত এক লাখ শিক্ষার্থী যাতে অংশ নিতে পারে সেই লক্ষ্যে খুলে দেয়া হয়েছে অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু স্কুল৷ তবে ক্লাসে যেতে হবে মাস্ক পরে৷ এপ্রিলের ১৪ তারিখ থেকে ছোট ছোট দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে৷ এছাড়া অসুস্থ স্বজনদের কেয়ার হোমে দেখতে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Punzসামনে বুন্দেসলিগার খেলা৷ জার্মানির পেশাদার ফুটবলাররা তাই শরীর চর্চা ও প্রশিক্ষণে ব্যস্ত৷ যেমন এখানে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়রা ছোট ছোট দলে প্র্যাকটিস করছেন৷ ১৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা৷ তবে সেসব ম্যাচে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷
ছবি: Reuters/A. Gebert