1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায় মৃত্যুভয় কি অমূলক, প্রধানমন্ত্রী?

১৫ জুন ২০২০

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মৃত্যু মানুষের হবে৷ সেই ভয়ে ভীত না হয়ে করোনা মোকাবিলায় সবাইকে লড়তে হবে৷ প্রশ্ন হলো, এই মৃত্যুভয় কি অমূলক?

ছবি: DW

সোমবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘আমি চাই আমাদের মানুষের ভেতরে যেন একটা আস্থা থাকে, বিশ্বাস থাকে৷ সেই বিশ্বাস, আস্থাটা ধরে রাখতে হবে৷ কারণ, আমরা হার মানবো না৷ মৃত্যু তো হবে, মৃত্যু যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো কারণেই হতে পারে৷’’

প্রধানমন্ত্রীর এ কথার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত৷ মৃত্যুভয়ে কাতর হয়ে গেলে কেমন করে হবে? শুধু করোনা নয়, যে কোনো কারণেই তো মৃত্যু হতে পারে৷ তবে আমার অভিজ্ঞতা হলো, যখন মানুষ সান্ত্বনা দেবার ভাষা খোঁজেন, তখনই কেবল এমন কথা বলেন৷ কারণ, সাধারণভাবে মানুষের মৃত্যুভয় আছে, থাকবে৷ আর তা বড় করে দেখা দেয়, চারপাশে তারা যখন অন্য মানুষদের অসহায় অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেন এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, এমন মৃত্যু তারও হতে পারে৷

প্রতিদিন খবরের কাগজে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভঙ্গুর অবস্থা চোখে পড়ছে৷ হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন৷ হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে শেষতক অ্যাম্বুলেন্সেও প্রাণ দিতে হয়েছে৷ ব্যাপারটা ঘটছে কমবেশি সব রাজনৈতিক মতাদর্শ, ধর্ম,বর্ণ, শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রেই৷ এ অবস্থায় মৃত্যুভয়ে ভীত হবেন না মানুষ তা অস্বাভাবিক বলে মনে হয় আমার কাছে৷

যুবায়ের আহমেদ, ডয়চে ভেলে

প্রধানমন্ত্রী মানুষকে উৎসাহ দেবার জন্য বা সাহস ধরের রাখতে প্রেরণা জোগানোর জন্যও কথাগুলো বলে থাকতে পারেন৷ অর্থাৎ, সবাই যেন তাদের মনোবল ফিরে পান সেজন্যও বলতে পারেন৷ এর অর্থও কিন্তু সেই একই যে, মানুষ আসলে মনোবল হারিয়েছেন৷ চিকিৎসা সেবার ওপর আস্থা হারিয়েছেন৷ বছরের পর বছর ধরে স্বাস্থ্যখাত ভঙ্গুর অবস্থায় চলে গেছে৷ এমনকি বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দেবার মতো সক্ষম প্রকল্প কিংবা তা বাস্তবায়নের সক্ষমতাও দেখা যায়নি৷ কী অসহায় আমরা!

উলটোদিকে, রোববার সংসদে প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে অনুরোধ করলেন৷ বললেন, অন্তত স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলতে৷ আমরা দেখেছি, সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে৷ এ এক ‘সারকাজম’৷ অনেক মানুষ ভয় পাবেন৷ আবার অনেকে কোনোকিছুর তোয়াক্কা করবেন না, হোক সে অর্থনৈতিক কারণে অথবা সচেতনতার অভাবে৷ কিন্তু এই সচেতনতা তৈরিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে? মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজ কতটা সুচারুরূপে করা হচ্ছে? আসল কথা হলো, করোনা নামের এক অদৃশ্য শত্রু আমাদের সবার দুর্বলতার জায়গাগুলো দেখিয়ে দিয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কথা ঠিক৷ আপাতত লড়াইটা করোনার বিরুদ্ধে৷ এরপরের লড়াইটা কিন্তু আমাদের নিজেদের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ