1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা আক্রান্ত ২ রোহিঙ্গা পালিয়েছে

৫ জুন ২০২০

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে তাদের ‘নোয়াখালীর ভাসানচর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ভেবে’ দুই রোহিঙ্গা আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়েছে৷

রোহিঙ্গা পালিয়েছে
ফাইল ছবিছবি: DW/Abdur Rahman

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের তিনদিন পরই সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি৷ সংক্রমণ ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে; গত মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ক্যাম্পে প্রথম এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়৷

তারপর কোভিড-১৯ আক্রান্ত অন্তত দুই রোহিঙ্গাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা৷

বর্তমানে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়ে আছে৷ তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের সময় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে৷ শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা গাদাগাদি করে থাকে৷ সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এক কথায় অসম্ভব৷ 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যবিধি মানার সুযোগ কতটা?

03:47

This browser does not support the video element.

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৯ রোহিঙ্গা করোনা পজিটিভ হয়েছেন৷ এছাড়া আরো প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পের ভেতর কোয়ারান্টাইন জোনে আলাদা করে রাখা হয়েছে৷ ক্যাম্পে এখন পর্যন্ত কতজনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ 

স্থানীয় একজন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গা 'হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ থেকে পালিয়েছেন৷

গত দুই দিনে মাত্র ২০ জন রোহিঙ্গাকে নমুনা পরীক্ষা করাতে রাজি করানো গেছে৷ তাদের ভয়, করোনা পজিটিভ হলে তাদের ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ আমরা তাদের বলেছি তাদের কোথাও পাঠানো হবে না৷ তারপরও তাদের আতঙ্ক যাচ্ছে না৷’’

রোহিঙ্গা নেতা আবু জামান বলেন, ‘‘ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷ এজন্য তারা টেস্ট করাতে যেতে ভয় পাচ্ছে৷’’

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ক্যাম্প নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ ওই ক্যাম্পে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারবে৷ কিন্তু মূল ভূখণ্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন ওই চরে যেতে রাজি না রোহিঙ্গারা৷ সম্প্রতি সমুদ্রে ভাসমান রোহিঙ্গাদের দুইটি দলের ৩০৬ জনকে ভাসানচরে রাখা হয়েছে

এদিকে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আইসোলেশনে রাখার জন্য ক্যাম্পে প্রায় ৫০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা করা হয়েছে, যদিও সেগুলোর বেশির ভাগই খালি পড়ে আছে৷ ক্যাম্পে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষা বাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও রোহিঙ্গারা তাতে অংশ নিতে রাজি হচ্ছে না বলে জানান 'ওয়ান ক্যাম্প ব্লক' এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান খান৷

মোহাম্মদ শাফি নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘‘আমি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি চিকিৎসা নিলে এই রোগ ভালো হয়ে যায়৷ কিন্তু তারা আমার কথা বিশ্বাস করছে না৷’’

এসএনএল/ এসিবি (এএফপি)

গত বছরের সেপ্টেম্বরের ছবিঘর দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ