করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রথম মৃত্যু হল ভারতে। ইটালিতে এক দিনে সব চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সব চেয়ে বেশি মৃত্যু দেখল ইটালি। একদিনে মারা গেলেন ১৮৯ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। ইটালির প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১৬ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ১১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবারই করোনাকে মহামারি ঘোষণা করেছিল। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৬০০ লোকের। আক্রান্ত এক লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ। তবে করোনার হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন ৬৮ হাজার জন। এ দিকে বৃহস্পতিবারেই আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সুস্থই আছেন। তাঁর স্ত্রী জ্বরে আক্রান্ত। দু'জনেরই করোনার পরীক্ষা হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনও আসেনি। করোনার পরীক্ষা হয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর। এ দিকে এই প্রথম করোনায় আক্রান্তের মৃত্যু হল ভারতে। কর্ণাটকে করোনা আক্রান্ত একজন মারা গিয়েছেন।
করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার ১০ কারণ
করোনাকে মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ ফলে এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ থাকতেই পারে৷ তবে আতঙ্কিত সম্ভবত না হলেও চলবে, অন্তত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামকে তাই বলেছেন নাভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইগ্নাসিও লোপেজ গনি৷
ছবি: DW/S. Hossain
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আমরা জানি
প্রথম এইডস রোগী ধরা পড়েছিল ১৯৮১ সালের জুন মাসে৷ তবে, সেই রোগের কারণ যে এইচআইভি ভাইরাস সেটা বুঝতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছিল৷ আর মানবদেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, চীনে৷ আর সেই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাসটি শনাক্ত সম্ভব হয়৷ শুধু তাই নয়, প্রথম সংক্রমণের দশদিনের মাথায় ভাইরাসটির ধরন, উৎপত্তিসহ প্রায় সব তথ্য জানা সম্ভব হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Soeder
ভাইরাসটি শনাক্তের উপায় জানি আমরা
১৩ জানুয়ারি থেকে ভাইরাসটি শনাক্তের জন্য প্রয়োজনীয় টেস্ট সহজলভ্য হয়৷
ছবি: AFP/T. Kienzle
চীনে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে
চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কড়াকড়ি এবং বিচ্ছিন্ন রাখার নীতি কাজ করেছে৷ দেশটিতে প্রতিদিনই নতুন সংক্রমণের হার কমছে৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যেটা পরিষ্কার তা হচ্ছে ভাইরাসটি ছড়ালে তা নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকছে৷ ফলে সেটির সংক্রমণের পরিধি সীমিত রাখা সহজ৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
আশি শতাংশ সংক্রমণই হালকা ধরনের
৮১ শতাংশক্ষেত্রেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ টের পাওয়া যায়না বা খুব হালকা কিছু লক্ষণ টের পাওয়া যায়৷ তবে, ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণের লক্ষণগুলো প্রবলভাবে ফুটে ওঠে এবং পাঁচ শতাংশক্ষেত্রে সেটি খুবই জটিল আকার বা প্রাণঘাতি হতে পারে৷ তবে, ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সঠিক হার এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ এখন পর্যন্ত মৃত্যুর যে হারের কথা শোনা যাচ্ছে, প্রকৃত হার তারচেয়ে কম হতে পারে৷
ছবি: DW/S. Hossain
মানুষ সুস্থ হয়
এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মূলত সনাক্তকৃত করোনা ভাইরাস রোগী এবং করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা থাকে৷ এসব সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেয়া যাচ্ছে আক্রান্ত যত মানুষ মারা যাচ্ছেন তারচেয়ে ১৩ গুণ বেশি মানুষ সুস্থ হচ্ছেন৷ আর আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার মধ্যকার আনুপাতিক হার ক্রমশ বাড়ছে৷
ছবি: Getty Images/Afp/S. Supinsky
শিশুদের হালকা সংক্রমণ
এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশের বয়স বিশ বছরের নীচে৷ আর ৪০ বছরের নীচে বয়সিদের মধ্যে মৃত্যুর হার মাত্র শুন্য দশমিক দুই শতাংশ৷ শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের লক্ষণগুলো এতই হালকা হতে পারে যে তা হয়ত অনেকের নজরেই পড়বে না৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
সহজেই নিষ্কৃয় করা যায় এই ভাইরাস
এলকোহলযুক্ত জীবানুনাশক ব্যবহার করে মাত্র একমিনিটেই সার্ফেসে থাকা করোনা ভাইরাস নিষ্কৃয় করা যায়৷ পাশাপাশি সাবান এবং পানি ব্যবহার করে কিছুক্ষণ পরপর হাত ধুয়ে করোনা ভাইরাস থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকা যায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Khalil
বিশ্বব্যাপী তৎপর বিজ্ঞানীরা
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর একমাসের মধ্যেই বিশ্বের নানা দেশে অবস্থানরত বিজ্ঞানী, গবেষকরা এই বিষয়ে শতাধিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন৷ আরো অনেক নিবন্ধ রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে৷ অতীতে এধরনের মহামারী ছড়ানোর পর সাধারণত সেটা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে আরো অনেক বেশি সময় লাগতো৷
ছবি: picture-alliance/Pressebildagentur Ulmer
ভ্যাকসিনের প্রটোটাইপ প্রস্তুত
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অন্তত আটটি প্রকল্প কাজ করছে৷ অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম ভ্যাকসিনের একটি প্রোটোটাইপও তৈরি করে ফেলেছে৷ এধরনের প্রোটোটাইপ শীঘ্রই মানবদেহে পরীক্ষা করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. McAvoy
এন্টিভাইরালও পরীক্ষা করা হচ্ছে
ভ্যাকসিন দীর্ঘমেয়াদে ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে যারা আক্রান্ত তাদের চিকিৎসা প্রদান জরুরী৷ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহারের উপযোগী হতে পারে এমন আশিটির বেশি এন্টিভাইরালের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে৷ লেখক: নাভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানী ইগ্নাসিও লোপেজ গনি
ছবি: picture-alliance/AP/Chinatopix
10 ছবি1 | 10
ইটালির অবস্থা ভয়াবহ। সপ্তাহের শুরুতেই গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করার ডিক্রি জারি করেছিল ইটালির সরকার। কিন্তু তাতেও এখনও পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে ২৩ শতাংশ হারে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২১ শতাংশ হারে। জরুরি ব্যবস্থা ছাড়া বন্ধ সব কিছু। কার্যত গৃহবন্দি হয়ে আছে গোটা দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে ইটালিতে। ইরানের অবস্থাও একই রকম। সূত্র জানাচ্ছে, সে দেশে সুপ্রিম লিডারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে গোট দেশে। একই অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ আটকাতে পর্তুগালে সমস্ত স্কুল, কলেজ, নাইট ক্লাব বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেলজিয়ামেও স্কুল, রেস্তোরাঁ বন্ধ করার নির্দেশ জারি হয়েছে। কোস্টারিকায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাতারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিনেমা হল।
করোনার সংক্রমণে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতও। এখনও পর্যন্ত ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর কাছে আপাতত সমস্ত রকম জমায়েত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন। বেঙ্গালুরুতে ফের একজনের শরীরে ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতে দ্রুত হারে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। দিল্লিতে সব স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্লেগ থেকে করোনা: রোগের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব
করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে নয়, তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের গবেষণাগারে, এমন গুজব হরহামেশাই ছড়াচ্ছে৷ শুধু করোনা নয়, যুগে যুগে বিশ্বব্যাপী ছড়ানো সব মরণব্যাধী নিয়েই এমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিস্তার লাভ করেছে৷
ছবি: zecken.de
প্লেগের কারণ ইহুদিরা
১৪ শতকে ইউরোপে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে৷ কারো জানা ছিল না কোথা থেকে এর উৎপত্তি৷ একটা সময়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ল যে ইহুদিরা পরিকল্পিতভাবে এই রোগ ছড়িয়েছে৷ প্লেগের পেছনে আছে ইহুদিরাই; এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপর নির্যাতন শুরু হয়৷ জোরপূর্বক উচ্ছেদও করা হয় অনেককে৷
ছবি: picture-alliance/National Museum of Health and Medicine
স্প্যানিশ ফ্লু জার্মানির অস্ত্র
১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু প্রায় আড়াই কোটি থেকে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়৷ ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এই ভাইরাসের উদ্ভব রহস্য হয়ে ছিল৷ অনেকে মনে করতেন জার্মান সেনাবাহিনী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই জীবাণু আবিষ্কার করে৷
ছবি: picture-alliance / akg
এইডস ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৮০-র দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এইডস ছড়িয়ে পড়ে৷ পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এ নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু করে সোভিয়েত গোয়েন্দা বাহিনী কেজিবি৷ বলা হয় ফোর্ট ড্রেট্রিক-এ জীবাণু অস্ত্র হিসেবে মার্কিনিরা এইচআইভি উদ্ভাবন করেছিল, যা পরবর্তীতে প্রয়োগ করা হয় বন্দী, সংখ্যালঘু আদিবাসী সম্প্রদায় এবং সমকামীদের উপর৷ এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি আজও জনপ্রিয়৷
ছবি: Imago Images/ZUMA Press/D. Oliveira
ইবোলার দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের
নব্বইর দশকে এইডস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে৷ কিন্তু এ সময় আফ্রিকায় নতুন করে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ে৷ যুক্তরাষ্ট্র এইডস ছড়িয়েছে এমন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা এবার দাবি করল ইবোলার জন্যও তারাই দায়ী৷ সঙ্গে অবশ্য ব্রিটেনকেও জড়ানো হল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পেন্টাগনের এঁটেল পোকা প্রকল্প
২০১৯ সালে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ক্রিস স্মিথ দাবি করেন পেন্টাগন এঁটেল পোকাসহ বিভিন্ন কীটের মাধ্যমে জীবাণু অস্ত্র তৈরির প্রকল্প চালিয়েছে৷ এই গবেষণা চলেছে ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে৷ স্মিথ সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বইও লিখেছেন৷
ছবি: zecken.de
কোভিড-১৯ কৃত্রিমভাবে ছড়ানো
ডিজিটাল যুগে যেকোন ভুল তথ্য আগের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়৷ বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের গোপন জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির কথা বারবার সামনে আসে৷ একইভাবে এবার ষড়যন্ত্র তত্ত্বপ্রেমীদের দাবি নভেল করোনা ভাইরাস চীনের কোন গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয়েছে৷ সেখান থেকেই তা পরে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে৷ কেউ কেউ দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রই জীবাণুটি তৈরি করে চীনে পাঠিয়েছে৷ যদিও এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই৷
ছবি: picture-alliance/ZumaPress/Z. Maulana
6 ছবি1 | 6
অ্যামেরিকায় করোনা নিয়ে আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি রিপোর্ট বলছে, আগামী এক মাসে অ্যামেরিকায় প্রায় ১৫ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। অর্থাৎ, দেশের ২০ থেকে ৪৫ শতাংশ মানুষের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। যুক্তরাজ্যেও আগামী ১০ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে করোনার প্রভাব সর্বাধিক হবে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। জার্মানিতে করোনার প্রভাব সর্বাধিক হওয়ার কথা এপ্রিল মাসে। দেশের চ্যান্সেলর জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ভাবে এই মহামারি গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে অচিরেই গোটা পৃথিবীর অবস্থা ইটালির মতো হতে চলেছে। এর মধ্যেই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বহু দেশ বিদেশিদের ভিসা বাতিল করে দিচ্ছে। নিজেদের নাগরিকদেরও অন্য দেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের ভিতরেও নিয়ন্ত্রিত যাত্রার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে, ততই ভয়াবহ চেহারা ধারণ করছে করোনা।