ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও করোনা চিকিৎসায় নতুন ওষুধের সন্ধান দিলো অ্যামেরিকা। তাদের দাবি, নতুন ওষুধে দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা।
বিজ্ঞাপন
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে পৃথিবীর বহু দেশেই গবেষণা চলছে। তবে এ বছরের শেষের আগে তা বাজারে আসার সম্ভাবনা কম। তার আগে কিছুটা আশার কথা শোনালো অ্যামেরিকা। তাদের দাবি, একটি নতুন ওষুধের সন্ধান মিলেছে। যার সাহায্যে করোনা রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তোলা সম্ভব হচ্ছে। ওষুধটি নিয়ে চিকিৎসক এবং গবেষকরা এখনও পরীক্ষা চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, সরাসরি করোনার ওষুধ না হলেও কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এই ওষুধের ব্যবহারে সাড়া মিলছে।
নতুন এই ওষুধের নাম 'রেমডেসিভিয়ার'। এর আগে সার্স এবং মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রমের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে এই ওষুধ। মার্কিন চিকিৎসক এবং গবেষকদের বক্তব্য, করোনা রোগীদের শরীরে এই ওষুধ ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে গড়ে চার দিন আগে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা। অ্যামেরিকার দাবি, বেশ কিছু হাসপাতালে এক হাজার ৬৩ জনের শরীরে ওই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, সাধারণ করোনা রোগীদের চেয়ে ৩১ শতাংশ দ্রুত হারে ওই রোগীরা সুস্থ হয়েছেন। পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, একজন সাধারণ করোনা রোগী সাধারণ চিকিৎসা পেলে এবং তাঁর শরীরে অন্য সমস্যা দেখা না দিলে ১৫ দিনে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেখানে রেমডেসিভিয়ারের ব্যবহারে তিনি ১১ দিনে সুস্থ হয়ে উঠছেন। শুধু তাই নয়, দ্রুত এই ওষুধ ব্যবহার করলে রোগীর শরীরে অন্য রোগের সংক্রমণও কম ঘটছে।
করোনা: এসব গুজবে কান দেবেন না
পুরো বিশ্বে নভেল করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে গুজবের শেষ নেই৷ বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনই কয়েকটি গুজবের জবাব দিয়েছে৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Geisler-Fotopress
১. ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্কে করোনা ছড়ায়?
রেডিও তরঙ্গ বা মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোন ভাইরাস ছড়ায় না৷ এমন অনেক দেশেই করোনা’র সংক্রমণ হয়েছে, যাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
২. রোদের তাপ কি করোনা প্রতিরোধ করে?
তাপমাত্রা যত বেশিই হোক না কেনো, যেকোন তাপমাত্রায় আপনি সংক্রমিত হতে পারেন৷ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা আছে এমন অনেক দেশেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. van den Bergh
৩. একবার সংক্রমণ, সারাজীবনের সংক্রমণ?
করোনা আক্রান্ত যেকোন মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন৷ আপনার লক্ষণ চিনতে হবে এবং সেই বুঝে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে৷ আপনার যদি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে ডাক্তারকে ফোন দিন৷
ছবি: AFP/B.R. Smith
৪. ১০ সেকেন্ডের নাই ভরসা
অনেকে মনে করেন কোনো ধরনের কষ্ট বা কাশি ছাড়া ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় শ্বাস আটকে রাখতে পারলে তার করোনা নেই৷ এই ধারণা ভুল৷ করোনা ভাইরাসের খুব সাধারণ একটি লক্ষণ হল শুকনো কাশি, ক্লান্তি এবং জ্বর৷ কারো কারো ক্ষেত্রে ভয়াবহ ধরনের নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যায়৷ আপনার উচিত এসব লক্ষণ থাকলে আগে পরীক্ষা করা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Campodonico
৫. মদে মুক্তি?
বেশি বেশি মদ বা অ্যালকোহল খেলে করোনা প্রতিরোধ হয় না বরং তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J.-P. Muller
৬. তীব্র শীতে করোনা মরে?
এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই যে তীব্র শীত বা বরফে করোনা ভাইরাস টিকে থাকতে পারে না৷ কারণ বাইরের তাপমাত্রা যাই হোক না কেনো আপনার শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
ছবি: picture-alliance/AA/A. Ozdil
৭. হ্যান্ড ড্রায়ার করোনা মারে?
না৷ হাত শুকানোর যে মেশিন, করোনা ভাইরাসের উপর তার কোন প্রভাব নেই৷ আপনার যা করণীয় তা হল: বার বার সবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া৷ এরপর টিসু, তোয়ালা বা গরম ড্রায়ার দিয়ে হাত শুকাতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/AP/NIAID-RML
৮. নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন কি করোনায় কার্যকর?
না৷ নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন যেমন: নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন বা হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি ভ্যাকসিন করোনার ক্ষেত্রে কার্যকর নয়৷ এই ভাইরাস একেবারে নতুন এবং ভিন্ন ধরনের, যার জন্য চাই আলাদা ভ্যাকসিন৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় গবেষকরা এ বিষয়ে কাজ করছেন৷
ছবি: Reuters/B. Guan
৯. নাকের ড্রপ কি সংক্রমণ থেকে বাঁচায়?
না৷ এমন কোন তথ্য-প্রমাণ এখনো মেলেনি যে নিয়মিত স্যালাইন পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে এই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়৷
ছবি: Imago Images/Panthermedia/A. Guillem
১০. করোনা প্রতিরোধে বিশেষ কোন ওষুধ?
করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ওষুধ নেই৷ কেবল লক্ষণ অনুযায়ী এ রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকেরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Geisler-Fotopress
10 ছবি1 | 10
বুধবার হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে নতুন এই ওষুধের কথা ঘোষণা করেছেন অ্যান্টনি ফওসি। অ্যামেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর তিনি। তাঁর আরও দাবি, এই ওষুধ ব্যবহার করলে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কাও অনেকটা রোধ করা সম্ভব। মেডিকেল জার্নালে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অ্যামেরিকায় এই ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত যাতে বিভিন্ন হাসপাতালে এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এখনও ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। করোনা প্রতিরোধে এই ওষুধ সর্বত্র একই রকম ভাবে কাজ করবে কি না, তা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করিয়ে দিচ্ছেন হাইড্রোক্লোরোকুইনের কথা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, এই ওষুধটিও করোনার চিকিৎসায় কাজে লাগছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এর সত্যতা সে ভাবে খুঁজে পাননি। বরং তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই ওষুধে সাইড এফেক্ট বা অন্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে করোনা-লকডাউনের ফলে মার্কিন অর্থনীতি কার্যত ধসে পড়তে শুরু করেছে। ১৯৩০ এর দশকে গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার পরে অর্থনীতির এমন বেহাল দশা আর কখনও হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে আগামী কয়েক মাসে তা আরও কমবে বলেই আশঙ্কা। কোনও কোনও অর্থনীতিবিদের ধারণা, এ বার মহামন্দার থেকেও খারাপ অবস্থা হতে পারে মার্কিন অর্থনীতির।
করোনা-মাস্ক নিয়েও শিল্প!
ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজকাল পথেঘাটে মাস্ক-পরা মানুষের অভাব নেই৷ শিল্পী ও ডিজাইনাররা মাস্ক সাজিয়ে তুলছেন নতুন সাজে৷ এমনই কিছু দৃষ্টান্তের দিকে নজর দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/H. Yan
গ্রাফিটি-মাস্ক
আন্তর্জাতিক স্তরে স্ট্রিট-আর্ট শিল্পীরা বেশ কিছুকাল আগেই করোনা ভাইরাস ও সাদা মাস্ক নিয়ে সৃজনশীল কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ যেমন, ১৬ বছর বয়সি স্প্রে শিল্পী এসএফ এথেন্সে ছাদের উপর বিশাল এক ছবি এঁকেছেন৷ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে সেই মোটিফ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
ছবি: picture-alliance/ANE
মাস্ক নিয়ে ফ্যাশন শো
মার্কিন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের তৈরি এই মাস্ক দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ তবে মুখ খালি রাখার বদলে এমন কাপড়ের মাস্ক পরা ভালো৷ ২০২০ সালের শুরুতে নিউ ইয়র্ক শহরে এক ফ্যাশন শো-তে প্রদর্শিত এই মাস্ক মুখ ঢাকার শৌখিন আভরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল৷ অনেক ফ্যাশন-সচেতন মানুষ সাদামাটা মাস্কের বদলে রংচংয়ে, সুন্দর মাস্ক পরতে পছন্দ করেন৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
ডিজাইনার মাস্ক
জার্মানিসহ কয়েকটি দেশের নামী ডিজাইনাররা করোনা-মাস্ক নিয়ে মন্দা কাটিয়ে ব্যবসার নতুন আইডিয়া পাচ্ছেন৷ বার্লিন, কোলোন ও মিউনিখ শহরের তরুণ ও অপরিচিত ডিজাইনাররাও এই প্রবণতায় গা ভাসাচ্ছেন৷ নাকমুখ ঢাকা দেবার এই আবরণ সম্ভবত ২০২০ সালের করোনা-ফ্যাশন হিসেবে মিউজিয়ামে স্থান পাবে৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
টাইয়ের সঙ্গে মানানসই মাস্ক
কেতাদূরস্ত মানুষ বেশ ফিটফাট থাকতে ভালোবাসেন৷ করোনা সংকটের সময়েও হালফ্যাশনের কোট-প্যান্ট-টাই না পরলে তাঁদের চলে না৷ বার্লিনের এক টাই কোম্পানি লম্বা অথবা বো টাইয়ের সঙ্গে মানানসই মাস্ক তৈরি করেছে৷ শুধু পুরুষদের জন্যই ভালো মানের রেশম দিয়ে তৈরি এই সব মাস্কের কয়েকটি সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
মাস্কের বৈচিত্র্যে সৃজনশীলতার ছোঁয়া
মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার কোনো সীমা নেই৷ শুধু ধুয়ে আবার ব্যবহার করতে পারলেই চলবে৷ তবে এমন সুন্দর কাজ করা ডিজাইনার মাস্ক বারবার ওয়াশিং মেশিনে ঢোকানোর প্রয়োজন না হলেই ভালো৷ ফুটন্ত পানি ঢেলে পরিস্কার করে ঠান্ডা হবার পর তোয়ালের মধ্যে বিছিয়ে সেটি গুটিয়ে ফেলতে হবে৷ শুকিয়ে গেলে আবার পরে ফেলা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Koall
সাত দিনে সাত মাস্ক
যারা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের অনেকে আবার দিন অনুযায়ী আলাদা ডিজাইনার মাস্ক ব্যবহার করছেন৷ সেগুলি যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে সাপ্তাহিক চার্টের মতো মাস্ক ঝোলানোর ব্যবস্থা করেছেন একজন৷ যেমন শনিবার ফুটবলের দিন, তাই মাস্কেও হলের মোটিফ৷ পছন্দের ক্লাবের প্রতি সংহতি দেখাতে ফ্যান হিসেবে ক্লাবের লোগোসহ মাস্ক পরে টেলিভিশনের সামনে বসার অনুভূতিই আলাদা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Hörhager
পরিবেশবান্ধব মাস্ক
কেউ যদি ফ্যাশনদূরস্ত মাস্ক পছন্দ না করেন, তিনি অনায়াসে নাকমুখ ঢাকতে প্রাকৃতিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন৷ বড় একটা পাতা নিয়ে রাবারব্যান্ড দিয়ে এভাবে মাস্কের কাজ চালানো সম্ভব৷ এমনটা কীভাবে করা সম্ভব, গাজার এই ফিলিস্তিনি মেয়েটি তা দেখিয়ে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
করোনা সংকটের সময় শিল্পকলা
চারুকলার ক্ষেত্রেও করোনা মাস্কের মোটিফ প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে৷ কখনো চিত্রকলা বা পোস্টারে তা শোভা পাচ্ছে৷ কখনো বা কার্টুন হিসেবে মোনালিসা নাকমুখ ঢেকে রেখেছে৷ পোল্যান্ডের ভাস্কর ইগর মিতোরাই ক্রাকো শহরে প্রকাশ্যে বিশাল এক ভাস্কর্য সৃষ্টি করেন৷ এখন সেটির মুখও ঢেকে দিয়েছেন তিনি৷ হয়তো বর্তমান সংকটের স্মরণে এই আবরণ চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/B. Zawrzel
8 ছবি1 | 8
শুধু অ্যামেরিকা নয়, গোটা বিশ্বেই অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা পৃথিবীতে নতুন করে কয়েক কোটি মানুষ গরিব হবেন। অর্থনৈতিক ভাবে এখন যাঁরা নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কাজ হারানোর জন্যই নতুন করে গরিব হবেন তাঁরা। পৃথিবীর সমস্ত বড় শহরে এই নতুন গরিবদের দেখতে পাওয়া যাবে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। তবে এই নতুন গরিবদের খানিকটা সাহায্য করতে পারে সরকার। তাঁদের যদি কিছু দিনের জন্য বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্যাকেজ দেওয়া যায়, তা হলে ভবিষ্যতে ফের তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। জার্মানি এর মধ্যেই সেই ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এ দিকে ইউরোপের পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে দূষণের মাত্রা চোখে পড়ার মতো কমেছে। দূষণ কম হওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, করোনায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হলেও দূষণের কারণে প্রতি বছর যে মৃত্যু হয়, এ বছর সেই হার অনেকটাই কমেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ২৮ হাজার জনের। আক্রান্ত ৩২ লাখ ২০ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ সাত হাজার জন। শুধু অ্যামেরিকাতেই এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬১ হাজার জনের। আক্রান্ত ১০ লাখ ৬৪ হাজার। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, সংস্থাটি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু বাস্তব হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অত্যন্ত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।