ভারতের শহরগুলির মধ্যে এতদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে এক নম্বরে ছিল মুম্বই। কিন্তু দেশের বানিজ্য রাজধানীকে টপকে গেল দিল্লি। মুম্বইতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ হাজার ২৫৮ জন। আর দিল্লিতে ৭০ হাজার ৩৯০ জন করোনায় আক্রান্ত।
এটা ঠিক, দিল্লিতে এখন অনেক বেশি করে করোনার পরীক্ষা হচ্ছে। আগে পরীক্ষা হচ্ছিল মাত্র পাঁচ হাজার করে। সেই সংখ্যাটা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। এখন নতুন কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।, যার ফলে আধ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল হাতে এসে যাচ্ছে। তবে তারপরেও পরীক্ষার সংখ্যায় মুম্বইকে হারাতে পারেনি দিল্লি। করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে মুম্বই এখনও এক নম্বরে। বস্তুত, ভারতের সব চেয়ে বড় বস্তি ধারাভিতে ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের সঙ্গে সঙ্গে হাতপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর ফলে ধারাভিতে আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিমান, না কি মহাকাশে যাওয়ার প্রস্তুতি? যাত্রী থেকে বিমান সেবিকা-- পোশাক দেখলে মনে হবে নভশ্চর। সামাজিক দূরত্বের নতুন সময়ে ভারতে পাল্টে গিয়েছে বিমানবন্দরের দৃশ্য।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshবিমানবন্দরের বসার জায়গায় এ ভাবেই স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব আসনে বসা যাবে না। একটা ছেড়ে ছেড়ে বসতে হবে। মেঝেতেও এ ভাবেই মার্কিং করা। সর্বত্র লেখা আছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshসারা দিন ধরে বিমানবন্দর স্যানিটাইজ করার চেষ্টা করছেন কর্মীরা। তারই ফাঁকে একটু জিরিয়ে নেওয়া। সকলেরই পরনে পিপিই কিট।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshলাউঞ্জ থেকে বিমান পর্যন্ত যাওয়ার বাসেও চৌকো চৌকো খোপ। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে ওই খোপেই দাঁড়াতে হবে।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshবিমানে উঠে জানলার আসন বা আইলের আসনে বসলে শুধুমাত্র মাস্ক এবং ফেস শিল্ড পরলেই চলবে। কিন্তু মাঝের সিটে বসলে পরতে হবে পিপিই। ফেস শিল্ড, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং পিপিই দিচ্ছে বিমান সংস্থাই।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshবিমানের ভিতরে এ ভাবেই ফেস শিল্ড আর মাস্ক পরে বসতে হচ্ছে সকলকে। সঙ্গের ব্যাগও আগে থেকে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হচ্ছে।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshযাত্রী ওঠার সময় এ ভাবেই ধোঁয়ার মতো জীবাণুনাশক ব্যবহার করে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে বিমান। প্রায় আধঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলে।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshবিমান সেবক এবং সেবিকারাও পিপিএ পরে কাজ করছেন। শারীরিক সংযোগ হয়, এমন কোনও কাজ তাঁরা করছেন না। এমনকী, বিমানে খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshলাগেজ বেল্ট থেকে জিনিস নিয়ে এ ভাবেই দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে। সামাজিক দূরত্ব মেনে একজন একজন করে বাইরে যেতে পারছেন।
ছবি: DW/Syamantak Ghoshবিমানবন্দর থেকে বেরনোর আগে এ ভাবেই মেপে নেওয়া হচ্ছে শরীরের উত্তাপ। থার্মাল স্ক্যানে তাপমাত্রা বেশি এলে যাত্রীদের পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য পরীক্ষায়।
ছবি: DW/Syamantak Ghosh দিল্লিতে করোনা পরীক্ষা আরও বাড়াবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা যেখানে বেশি হচ্ছে, সেই কনটেনমেন্ট জোনের সব বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সব সদস্যর করোনা পরীক্ষা করা হবে। গত সাত দিনে দিল্লিতে গড়ে তিন হাজার ৩২৫ জন করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৮৮ জন। মুম্বইতে সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছেন গড়ে এক হাজার ১৩৪ জন করে। দিল্লিতে এখন ১২ দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। মুম্বইতে হচ্ছে ৪০ দিনে।
এক সময় করোনা নিয়ে মুম্বইকে নিউ ইয়র্কের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছিল। তবে তারা পরিস্থিতি অনেকটা সামলে নিয়েছে। আর লকডাউনের সময় দিল্লিতে করোনার প্রকোপ ছিল কম। কিন্তু আনলক শুরু হতেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। দিল্লি এখন দেশের মধ্যে করোনা-রাজধানীরও শিরোপা পেল।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)