আগামী সোমবার থেকে তুরস্কের ইস্তানবুলে ৫০ হাজার প্রবীণকে তিন লাখ খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করা হবে৷ ৬৫ বছর এর ওপরে বয়সি আয় রোজগারহীন প্রবীণেরা এ খাবার পাবেন৷
বিজ্ঞাপন
পরিচিত দাতাসংস্থা গেটির ডেলিভারি সার্ভিস থেকেই প্যাকেট খাদ্য পৌছানো হবে৷
ফুসফসের রোগ কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে প্রবীণদের জন্য, যাদের ৬৫ এর ওপরে বয়স এবং কোনো ক্রনিক অসুখ রয়েছে৷
করোনা ভাইরাস: ইউরোপের কোথায় কেমন ‘লকডাউন’?
কোভিড-১৯ যেন ছড়াতে না পারে, সেজন্য ইউরোপের সর্বত্র জনজীবনের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ কিন্তু সেই কড়াকড়িগুলো কেমন? চলুন দেখে নিই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Ben Ari
ইটালি
ইটালিতে গত ৯ মার্চ সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়৷ এর ছয় কোটি জনগোষ্ঠীকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়৷ অন্যথায় চারশ’ থেকে তিন হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে৷ সুপারমার্কেট, ব্যাংক, ফার্মেসি ও পোস্ট অফিস ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়৷ আপাাতত এই ঘোষণা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকলেও তা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে৷
ছবি: Imago Images/Zuma Wire
স্পেন
গত ১৪ মার্চ সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে৷ দেশের চার কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়৷ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা কার্যকর থাকবে৷ হাজার হাজার পুলিশ ও সেনাবাহিনি মোতায়েন করা হয়েছে৷ স্পেনও তার ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে৷
ছবি: AFP/J. Jordan
ফ্রান্স
ফ্রান্সে ১৭ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করা হয়৷ চলবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত৷ কিন্তু বাড়ানো হতে পারে৷ ঘর থেকে বেরোতে হলে একটি ফর্ম পূরণ করে কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়৷ দিনে একবার শরীরচর্চা করতে এক ঘন্টার জন্য একা বের হওয়া যাবে৷ এছাড়া ঘরের এক কিলোমিটারের মধ্যে হেঁটে আসা যাবে৷ না মানলে ১৩৫ ইউরো থেকে ৩৭০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা৷
ছবি: Getty Images/G. Souvant
জার্মানি
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানি তার ৮ কোটি জনগণের জন্য অত কড়াকড়ি আরোপ করেনি৷ তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে নিয়ম করে দিয়েছে, যেমন, ঘরের বাইরে ভিন্ন পরিবারের দু’জনের বেশি একসঙ্গে থাকতে পারবেন না৷ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে কোনো কোনো রাজ্য ২৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে৷
ছবি: DW/M. Müller
যুক্তরাজ্য
২৩ মার্চ লকডাউনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য৷ চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত৷ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ বা যাদের অফিসে যেতেই হবে তারা বাইরে যেতে পারেন৷ তবে কোনর কাগজ দেখাতে হবে না৷ বড় আকারের জমায়েত বন্ধ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/R. Pinney
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়াও কিছুটা শিথিল৷ ৯০ লাখ মানুষের দেশটিতে গত ১৬ তারিখ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যা বলবৎ থাকবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত৷ মানুষ জরুরি কাজে কিংবা শরীরচর্চা করতে ঘরের বাইরে যেতে পারবেন৷ তবে পাঁচ জনের বেশি একসঙ্গে থাকতে পারবেন না৷ অন্য দেশগুলোর মতো তারাও সব রেস্টুরেন্ট, বার এসব বন্ধ রেখেছে৷ কেউ নিষেধাজ্ঞা না মানলে ৩৬০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে৷
ছবি: AFP/H. Neubauer
বেলজিয়াম
গত ১৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল অব্দি লকডাউন ঘোষণা করে বেলজিয়াম৷ তবে তা আট সপ্তাহ বা এর বেশিও হতে পারে৷ এক কোটি ১৪ লাখ মানুষের দেশটিও ডাক্তার দেখানো, জরুরি কাজ, কিংবা হালকা শরীরচর্চা ছাড়া জনগণকে ঘরেই থাকতে বলেছে৷ রাস্তায় পুলিশ টহল দিচ্ছে৷ তারা নিয়ম না মানলে যে কাউকে জরিমানা করতে পারে৷
ছবি: Reuters/Y. Herman
পর্তুগাল
১৯৭৬ সালে গণতন্ত্র ফেরত পাবার পর এই প্রথম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পর্তুগাল৷ ২ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে তা৷ জরুরি অবস্থার আওতায় সরকার সেনা মোতায়েনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামসহ বেশিরভাগ বিষয়ই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে৷ লোকজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে৷ ব্যাংক, ফার্মেসি ও খাদ্যদ্রব্যের দোকান খোলা রয়েছে, তবে রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/R. Franca
8 ছবি1 | 8
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কসা নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন, যাতে আরো ১৬ ব্যক্তি নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন৷ এর মধ্য দিয়ে তুরস্কে করোনা সংক্রমণে অফিসিয়াল মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৭৫এ৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া আগের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো তিন হাজার ৬২৬, তবে কোন শহরে কতজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে তা সরকারীভাবে এখনো জানানো হয়নি৷
করোনা সংক্রমণ আরো বেশি ছড়িয়ে না পড়ার জন্য আঙ্কারায় কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে , তার মধ্যে রয়েছে স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাফে, বার ইত্যাদি বন্ধ রাখা .তাছাড়া ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো বাতিল করা হয়েছে এবং মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷
শুক্রবার সকালে আঙ্কারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, এখন থেকে বাজারে শুধু অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করা হবে. ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ কমাতে খোলা অবস্থায় থাকা ফল, সবজিগুলো এখন প্যাকেটের মধ্যে রাখতে হবে. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পোশাক, খেলনা, ব্যাগ ইত্যাদি বিক্রি বন্ধ থাকবে৷
এনএস/কেএম (ডিপিএ)
করোনার কবল থেকে বেরিয়ে আসছে হুবেই
যেখান থেকে প্রথমে ছড়াতে শুরু করেছিল নভেল করোনা ভাইরাস, চীনের সেই হুবেই প্রদেশ লকডাউন থেকে মুক্ত হচ্ছে। উহানেও শুরু হয়েছে মুক্তির প্রস্তুতি। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/Stringer
সেই হুবেই
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশেই প্রথম হানা দিয়েছিল করোনা ভাইরাস। এই প্রদেশের উহান শহরের মানুষ সবার আগে এবং সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসে। তাই গত জানুয়ারিতে এক মাঝরাতের ঘোষণায় সবার আগে লকটাউন করা হয় উহানকেই। তারপরে লকডাউনের আওতায় ধীরে ধীরে আসে পুরো প্রদেশ।ছবিতে সংক্রমণমুক্ত হবার পর রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার দৃশ্য৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Chen Yehua
খুলছে হুবেই
এই প্রদেশে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের বাস।মঙ্গলবার রাত থেকে ধীরে ধীরে পুরো প্রদেশই আবার খুলে দেয়া হবে। ফলে সেখানে বাইরে থেকে কেউ যেতে পারবেন, সেখান থেকে কেউ বের হতেও পারবেন। শর্ত একটাই- মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ছবিতে সব রোগী চলে যাওয়ার পর হাসপাতাল পরিষ্কার করার মুহূর্ত৷
ছবি: picture-alliance/F. Maohua
উহান এখনই নয়
অবশ্য হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান আগামী ৮ এপ্রিলের আগে খুলছে না।
ছবি: Getty Images/AFP/Str
মুক্তির প্রস্তুতি
তবে প্রায় দুই সপ্তাহ হাতে থাকতেই মুক্তির প্রস্তুতি শুরু করেছে উহান। শুরু হয়েছে রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করার কাজ।
ছবি: Getty Images/AFP
ঝকঝকে জীবাণুমুক্ত রেলস্টেশন
রেলস্টেশনও জীবাণুনাশক ছিটানোর ধুম পড়েছে।
ছবি: AFP/STR
বিশ্রামাগারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান
উহান রেল স্টেশনের ওয়েটিং রুমে চলছে সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার অভিযান।
ছবি: Reuters
কাজের ফাঁকে খাওয়া
লকডাউন চলার সময়ও উহানের ডংফেং হোন্ডা কারখানা খোলা ছিল। তবে কাজের সময় চূড়ান্ত সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়েছে কর্মীদের। এভাবে পরস্পরের চেয়ে নিরাপদ দূরত্বে বসে খাবারও খেতে হচ্ছে তাদের।
ছবি: Getty Images/AFP/STR
শাক/সবজির জন্য অপেক্ষা
অনলাইনে অর্ডার করা শাক/সবজি নেয়ার অপেক্ষায় উহানের একটি এলাকার মানুষ৷