1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রে বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থা

১৬ মার্চ ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের স্বাস্থ্যবিমা নেই৷ টেক্সাসের বাসিন্দা আমান্ডা (ছদ্ম নাম) তাদের একজন, যিনি ম্যাট্রেস তৈরির কারখানায় কাজ করেন৷ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে চরম উদ্বেগে দিন কাটছে তার৷

ছবি: picture-alliance/Captital Pictures/Rainmaker Photo

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘খুবই দুঃখের সঙ্গে বলছি, এটা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত নয়৷ আমাদের প্রতিনিয়ত এমন অনেক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়, এটা তার একটা মাত্র৷ আমার বাড়িতে থাকার উপায় নেই, এমনকি ডাক্তারের খরচ যোগানও আমার পক্ষে সম্ভব না৷''

আমান্ডার মত কর্মীরা বছরে মাত্র তিনদিন অসুস্থতার ছুটি পান৷ তারমধ্যে দুইদিন বেতনসহ৷ একবার ডাক্তার দেখালে তাদের কয়েকশ ডলার বিল হয়৷

এরকম একজন ওহায়োর বাসিন্দা শেলডন রিডল৷ ১০ বছর আগে সাধারণ ফ্লু থেকে তার নিউমনিয়া হয়ে গেলও অর্থের অভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেননি৷ অনেক দিন আগের কথা হলেও ভয়ঙ্কর সেই দিনগুলো কথা তিনি ভুলতে পারেন না৷

তিনি একটি কলসেন্টারে কাজ করেন৷ যেখানে প্রায় ৫০ জন কর্মী ছোট্ট একটি কক্ষে গাদাগাদি করে বাস করেন৷ সেখানে ‘অসুস্থাজনিত ছুটি 'নেই৷ চিকিৎসাপত্র ছাড়া অসুস্থ হলেও কেউ কাজে না যাওয়ার অনুমতি পান না৷

তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্যবিমা নেই, তাই অসুস্থ হলে শত শত ডলার খরচ করে আমরা জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে পারি না৷ এটা আমাদের সাধ্যের বাইরে৷'‘

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস যেভাবে বিস্তার করছে তাতে নিজেকে নিয়ে নিদারুণ উদ্বেগে আছেন বলে জানান তিনি৷

বলেন, ‘‘আমার হৃদরোগ আছে৷ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল৷  আমি গাড়িতে বসে পুরাতন চিকিৎসাপত্র দিয়ে কিছু ওষুধ কিনেছি৷ আমাকে এখনো খাবার কিনতে যেতে হবে৷ সেটাও গাড়ি থেকেই কিনব৷ আমি এখন দিনে একবেলা খাচ্ছি৷''

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের অঙ্গরাজ্য অরেগনের একটি ক্লিনিকের একজন নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাদের ক্লিনিকে গত বুধবার থেকে (১১ মার্চ) প্রথম করোনা ভাইরাস টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে৷ তার আগে টেস্ট করার ব্যবস্থা ছিল না৷ টেস্ট শুরু পর থেকেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রকম পাল্টে গেছে৷

‘‘বৃহস্পতিবার চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল৷ কিভাবে সব চলবে বা কিভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটাই বোঝা যাচ্ছিল না৷''

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১৬৭৮ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, মারা গেছেন ৪১ জন৷

জুলিয়া মান্ক/এসএনএল/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ