কোভিড-১৯ গোটা বিশ্বে অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি করছে৷ এই ভাইরাস মোকাবিলায় টিকা ও ওষুধসহ নানারকম চিকিৎসা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে৷ জার্মানির গবেষকরা এ ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে৷ ফলে অনেক প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে৷ জার্মানিতে একদল গবেষক দীর্ঘদিন ধরে করোনার মতো ভাইরাসের ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে কিছু সাফল্য পেয়েছেন৷ ভাইরোলজিস্ট ড. ক্রিস্টিন ম্যুলার বলেন, ‘‘আমরা এক শ্রেণির অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট পরীক্ষা করে দেখেছি যে, সেগুলি অনেক বিপজ্জনক ভাইরাস কাবু করতে পারে৷’’
এবোলা, লাসা ও জিকার মতো মারাত্মক ভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া গেলেও এগুলি কি কোভিড-১৯-কেও কাবু করতে পারবে?
প্রাকৃতিক এই উপাদানের নাম সিলভেস্ট্রল৷ এটিকে ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ছে৷ এশিয়ার আগলাইয়া গোত্রের মেহেগোনি গাছ থেকে এই সিলভেস্ট্রল পাওয়া যায়৷ বোর্নিও দ্বীপে বহুকাল ধরে এটি ভেষজ চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হয়৷
এই উপাদানকে ঘিরে বায়োকেমিস্ট হিসেবে প্রো. আর্নল্ড গ্র্যুনভেলারের গভীর কৌতূহল জেগেছিল৷ এক গবেষকদলের সঙ্গে তিনি বিপজ্জনক এবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সেটি প্রয়োগ করেছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখনো পর্যন্ত শুধু চলতি শতাব্দীর শুরুতে, ২০০১ সাল নাগাদ ক্যানসার গবেষণার ক্ষেত্রে সিলভেস্ট্রলের উল্লেখ পাওয়া যেত৷ তারপর মারবুর্গ শহরে আমরাই সবার আগে এবোলা আক্রান্ত কোষের উপর এটি প্রয়োগ করি৷ সেই পরীক্ষায় দেখা গেল, যে সিলভেস্ট্রল কোষের মধ্যে এবোলা ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি বেশ ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে পারে৷’’
শুধু এবোলার ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে না৷ ভাইরাস একবার শরীরে প্রবেশ করলে সেটি কোষের মধ্যে ঢুকে সেটির চরিত্র বদলে দেয়৷ ভাইরাস শরীরের কোষকে তার নিজস্ব জিনোটাইপ নকল করতে বাধ্য করে৷ এভাবে ভাইরাসের দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটে৷ সিলভেস্ট্রস সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়৷ সেটি কোষের এমন এক এনজাইম বা উৎসেচকের পথে বাধা সৃষ্টি করে, যেটি বংশবৃদ্ধির জন্য দায়ী৷
একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ যে মহামারি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১ হাজার ৩০৭টি মহামারি ঘটেছে৷ সবচেয়ে বিপজ্জনক মহামারিগুলি জানুন ছবিঘরে...
ছবি: Imago/W. Quanchao
প্লেগ
একুশ শতকেও ফিরে এসেছে প্লেগ রোগ৷ ২০১৭ সালে আফ্রিকার মাদাগাস্কারে প্লেগে আক্রান্ত হন দুই হাজার ৪১৭জন৷ প্রাণ হারান ২০৯জন৷ শুধু তাই নয়, মাদাগাস্কারে যাওয়া বা সেখান থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও জারি হয় বিশেষ সতর্কতা৷ মোট নয়টি দেশে প্লেগ মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷
২০১৫ সালে ব্রাজিলে এডিস প্রজাতির মশা থেকে ছড়ায় এই বিশেষ ধরনের ভাইরাস৷ সদ্যোজাত শিশুদের মস্তিষ্কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে এই সংক্রমণ৷ ব্রাজিল ছাড়া আরো ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই মহামারি৷ মারা যান ১৩৭ জন৷
ছবি: Reuters/J.-C. Ulate
ইবোলা
২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনিতে নতুন করে ছড়ায় ইবোলা ভাইরাস৷ এর আগে ১৯৭৬ সালে এই সংক্রমণ লক্ষ্য করা হলেও সেইবার তা একটি অঞ্চলের মধ্যেই সীমিত ছিল৷ কিন্তু একুশ শতকে এই সংক্রমণ আটকানো যায়নি৷ এই তিনটি দেশ ছাড়াও তিনটি মহাদেশের আরো ছয়টি দেশে পৌঁছে যায় ইবোলা, যা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে৷ এই সংক্রমণ ছড়ানোর প্রথম দুই মাস তা ধরা না পড়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Wamenya
মেনিনজাইটিস
২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মেনিনজাইটিস রোগে মারা যান ১৩৭জন৷ এর কারণ হিসাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অপর্যাপ্ত টিকার কথা৷ শুধু তাই নয়, পরিচিত সংক্রমণ কয়েক দশক পরপরই নতুনভাবে ফিরে আসতে পারে, যা উন্নত পরীক্ষা ব্যবস্থা না থাকলে ধরা খুব কঠিন৷
ছবি: Imago Images/Science Photo Library
চিকুনগুনিয়া
যে এডিস প্রজাতির মশা থেকে ডেঙ্গ ছড়ায়, সেই একই মশার কামড়ে হতে পারে চিকুনগুনিয়া৷ মূলত শহরাঞ্চলে দেখা যাওয়া এই সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ১৯৫২ সালে৷ কিন্তু ২০০৭ সালে নতুন করে গাবনে তা ভয়াবহ আকার ধারন করে৷ এরপর থেকে, আফ্রিকার পাশাপাশি ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারসহ সারা বিশ্বে ধরা পড়ে৷ শুধু ২০১৬ সালেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হন সাড়ে তিন লাখ মানুষ৷ ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই রোগে প্রাণ হারান ১৩৭জন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (মের্স)
২০১৩ সালের জুলাই মাসে পারব আমিরাতে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম বা মের্স৷ তারপর থেকে সেই দেশে মোট ১২জন মারা গেলেও তা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি৷ এখন পর্যন্ত, দুই হাজার ৫০৬টি কেস ধরা পড়েছে এবং মারা গেছেন ৮৬২টিজন, জানাচ্ছে হু৷ মের্স ঠেকাতে অন্যান্য পরামর্শের পাশাপাশি হু এর অন্যতম পরামর্শ হচ্ছে উটের দুধ বা মূত্র পান না করা৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Kittiwongsakul
কলেরা, ইয়েলো ফিভার
হু জানাচ্ছে, বছরে অন্তত ৪০টি কলেরার ঘটনা ধরা পড়ছে গত দশ বছরে৷ কলেরা বা ইয়েলো ফিভারের মতো পুরোনো রোগ ঘুরেফিরে আসছে কারণ আক্রান্ত দেশগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ ২০০৯ সালে একুশ শতকের প্রথম ইনফ্লুয়েনজা ভাইরাস (এইচ১এন১) মহামারী ধরা পড়ে৷ ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কলেরার কারণে মারা গেছেন ৩০৮জন, ইয়েলো ফিভারে ৫৭জন ও ইনফ্লুয়েনজায় ৫১জন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Weigel
সার্স
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগে একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারী ছিল সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম৷ ২০০৩ সালে চীনে এই ভাইরাস দেখা যায়৷ প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন ল্যাব থেকে ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস৷ মোট ২৬টি দেশে ছড়ানো এই সংক্রমণে আক্রান্ত হন প্রায় ৮ হাজার জন৷ মূলত চীনে ছড়ানো এই ভাইরাস আবার ফিরে আসতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন৷ সেক্ষেত্রে নতুন করে চীনে যাওয়া বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে হু৷
ছবি: AP
8 ছবি1 | 8
এই গবেষকরা প্রতিষেধকের বদলে ওষুধের অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের সন্ধান করছেন৷ কারণ টিকার ক্ষেত্রে প্রায়ই একটি দুর্বলতা দেখা যায়৷
সাধারণত শরীর অ্যান্টিবডির সাহায্যে ভাইরাসের মোকাবিলা করে৷ টিকা অথবা সংক্রমণের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ প্রণালী সেই ক্ষমতা গড়ে তোলে৷ ইনফ্লুয়েন্জার মতো ফ্লু ভাইরাসের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি ভাইরাসের বাইরের অংশে আটকে যায়৷ কিন্তু ভাইরাসের নিজস্ব প্রোটিন রূপান্তর, অর্থাৎ পরিবর্তন ঘটিয়ে চলে এবং এভাবে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেয়৷ ফলে সেই অনুযায়ী টিকার চরিত্রও বদলাতে হয়৷
মারবুর্গের গবেষকরা ভিন্ন পথ গ্রহণ করছেন৷ তাঁদের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, যেখানে খুব কম পরিবর্তন ঘটে৷ গিসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড, ক্রিস্টিয়ান ম্যুলার বলেন, ‘‘এই সব বিষয় খুবই স্থিতিশীল এবং ভাইরাসের প্রোটিনের মতো মোটেই বদলে যায় না৷ ফলে ভাইরাসের প্রোটিনের মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম৷’’
এই গবেষণার ফলাফলের খটমট নাম ‘সিআর-৩১-বি৷ কিন্তু চীনের উহান শহর থেকে আসা ভাইরাস মোকাবিলার ক্ষমতা সেটির আছে কি? মেডিকাল ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের ড. ক্রিস্টিন ম্যুলার মনে করেন, ‘‘কমপক্ষে দুই ধরনের করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে আমাদের এই পদার্থ যে কার্যকর অ্যান্টি-ভাইরাল প্রভাব ফেলে, তা আমরা আগেই দেখাতে পেরেছি৷ এ ক্ষেত্রে কোষের যে উপাদান আটকে দেওয়া হচ্ছে, বর্তমানে প্রচলিত ভাইরাসেরও সেটির প্রয়োজন রয়েছে৷ তাই এই ভাইরাসকেও কাবু করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি৷’’
সেল কালচারের উপর পরীক্ষা চালিয়ে ক্রিস্টিন ম্যুলার ও তাঁর সহকর্মী ভিবকে ওবারমান এর প্রভাব দেখালেন৷ দেখা গেল, অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট না থাকলে ভাইরাস সেল কালচারের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ ডান দিকে সদ্য আবিষ্কৃত কৃত্রিম অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট-সহ নমুনা রয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে প্রায় সব পরিক্ষীত ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি আটকানো গেছে৷
গবেষণাগারে সেল কালচারে এই প্রক্রিয়া এখনো অত্যন্ত ভালো ফল দেখাচ্ছে৷ প্রো. আর্নল্ড গ্র্যুনভেলার বলেন, ‘‘ক্যানসার গবেষণার ক্ষেত্রে সিলভেস্ট্রল বা সিআর-৩১-বি-র মতো একই রকম কাঠামোর এক অণু রয়েছে৷ প্রি-ক্লিনিকাল পরীক্ষায় সেটি উত্তীর্ণ হয়েছে৷’’
কোনো ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন হয়৷ সে কারণে ওষুধ বাজারে আসতে সাধারণত দশ থেকে পনেরো বছর সময় লাগে৷ সিলভেস্ট্রলের ক্ষেত্রে অবশ্য অসংখ্য গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে৷ তাই করোনা ভাইরাসের ওষুধ হিসেবে এটি দ্রুত হাতে পাওয়া যাবে, এমন আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷
স্টেফানি ক্র্যুগার/এসবি
শিশুদের মস্তিষ্কে ক্যান্সার: গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
শিশুদের যেসব ক্যান্সার হয়, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মস্তিষ্কে ক্যান্সার৷ জার্মানির এক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এই রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase
শিশুদের ক্যান্সার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান
শিশু-কিশোরদের যত ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার, এরপরে সবচেয়ে বেশি হয় ব্রেইন ক্যান্সার৷ জার্মান ব্রেইন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন বলছে, যেসব শিশুদের ক্যান্সার হয় তাদের মধ্যে ২৫ ভাগ মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase
ছেলেদের ক্যান্সারের হার বেশি
সাড়ে ছয় বছরের শিশুদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সারের হার বেশি৷ এছাড়া মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warmuth
লক্ষণ
ব্রেইন টিউমারের সাধারণ লক্ষণগুলো হল: মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি, দৃষ্টি বিভ্রান্তি, ভারসাম্যে সমস্যা এবং যেকোন জিনিসের সামঞ্জস্য করতে সমস্যা৷ তবে মস্তিষ্কে স্থান ভেদে লক্ষণ ভিন্ন হয়৷
ছবি: picture alliance / Frank Rumpenhorst
নির্ণয়
এমআরআই এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের ছবি তুলে চিহ্নিত করা হয় কোথায় টিউমার আছে৷ এটা ক্যান্সার কিনা সেটা জানার জন্য বায়োপ্সি করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. P. Kasper
মস্তিষ্কে টিউমারের ধরন
শিশুদের মধ্যে অ্যাস্ট্রোসাইটোমা ধরনের টিউমারটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ প্রাথমিক অবস্থায় সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটিকে অপসারণ করা গেলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সুযোগ থাকে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই টিউমারকে ‘গ্রেড ১’ হিসেবে ক্যাটাগরি করেছে৷ এরপর গ্রেড-২ ও গ্রেড -৩ এ আছে এপেনডাইমোমা৷ গ্রেড-৪ এ আছে মেডুলোব্লাস্টোমা৷ এই দুই ধরনের ক্যান্সার শিশুদের মধ্যে কমই দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Vennenbernd
চিকিৎসা
টিউমার কত বড় বা মস্তিষ্কের কোথায় এর অবস্থান সে অনুযায়ী অস্ত্রোপচার, রেডিও থেরাপি, কেমোথেরাপি বা এগুলোর সমন্বয়ে চিকিৎসা করা হয়৷ হাইডেলবার্গের হোপ চিলড্রেনস ক্যান্সার সেন্টারের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ান পাটলার জানান, শিশুদের এক দুইবারের বেশি রেডিও থেরাপি দেয়া সম্ভব নয়, তখন কেমোথেরাপি দিতে হয়৷ এটা নিতে শিশুদের ভীষণ কষ্ট হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. P. Kasper
ঝুঁকি
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারে বেশ ঝুঁকি রয়েছে৷ সফলভাবে অস্ত্রোপচার না হলে সারাজীবনের জন্য মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে৷
ছবি: DW/S. K. Dey
জীবন সংশয়
মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশে টিউমার হলে অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন হয়ে পড়ে৷ বিশেষ করে কথা বলঅ এবং চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের যে অংশ এবং ব্রেইন স্টেম৷ অস্ত্রোপচারের সময় এগুলোর কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে৷
ছবি: DW/S. K. Dey
ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়
কোন শিশুর ক্যান্সার হওয়া মানেই তার মৃত্যু নিশ্চিত এমন নয়৷ টিউমার সফলভাবে অপসারণ করা গেলে ৭৫ ভাগ সম্ভাবনা থাকে পুরোপুরি সেরে ওঠার৷ খারাপ ধরনের টিউমারের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা ৪০ ভাগ৷
ছবি: Colourbox
ফিরে আসা
কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনের কয়েক বছর পর এপেনডাইমোমা টিউমার ফিরে আসে৷ এ কারণ হতে পারে কোন কোষ রয়ে গিয়েছিল৷ সেক্ষেত্রে আবারও অস্ত্রোপচার করে টিউমারের প্রতিটি কোষ সরিয়ে ফেলতে হয়, যা বেশ কঠিন কাজ৷
ছবি: picture-alliance/ZB/W. Grubitzsch
শিশুরা মানসিকভাবে শক্ত
জার্মানির ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুরা মানসিকভাবে বেশ সাহসী৷ ভবিষ্যতে কি হবে তা না ভেবে হাসিমুখে তারা চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে অংশ নেয়৷ তবে শিশুদের ক্যান্সার চিকিৎসায় সফলতার হার অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন জার্মান চিকিৎসকেরা৷