1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা: স্পেনে জরুরি অবস্থা, ফ্রান্স, ইতালিতে কড়াকড়ি

২৬ অক্টোবর ২০২০

করোনা রুখতে স্পেনে আবার জরুরি অবস্থা জারি হলো। ফিরে এলো কার্ফিউ। ফ্রান্সে একদিনে আক্রান্ত ৫০ হাজার। ইতালিতে কড়া ব্যবস্থা।

ছবি: Sergio Perez/Reuters

ইউরোপে আবার প্রবলভাবে ফিরে এসেছে করোনা। যার জেরে একের পর এক দেশে কড়াক়ড়ি শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে স্পেনে আবার জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ বাদ দিয়ে দেশের সর্বত্র জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ছয় জনের বেশি লোকের জমায়েত হতে পারবে না। রাত ১১টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কার্ফিউ থাকবে। অভ্যন্তরীণ সীমানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''ইউরোপে আবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এটা বাস্তবতা। এক ভয়ঙ্কর সময়ে আমরা আছি। গত ৫০ বছরে কখনো এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়নি।''

গত রোববার স্পেনের আঞ্চলিক সরকারের প্রধানরা একজোট হয়ে জাতীয় সরকারের হাতে অভূতপূর্ব ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। এমনকী, সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক স্বাধীনতাকেও কাটছাঁট করতে পারবে সরকার। ফ্রান্সের মতো কার্ফিউয়ের সময় আরো এগিয়ে নয়টা থেকে করার কথা ভাবা হচ্ছে। স্পেনে এখনো পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ছবি: Nathan Laine/Hans Lucas/imago images

ফ্রান্সে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রন্সে ৫২ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।

ফ্রান্সের অধিকাংশ শহরেই তাই কড়াকড়ি ফিরে এসেছে। খুব জরুরি দরকার না থাকলে রাতে কাউকে বেরতে দেয়া হচ্ছে না।

জার্মানিতে প্রতিবাদ

করোনার কড়াকড়ি নিয়ে রোববার বার্লিনে আবার বিক্ষোভ দেখালেন হাজার দুয়েক মানুষ। বিক্ষোভের মোকাবিলা করতে জার্মান পুলিশ ৬০০ জন অফিসার মোতায়েন করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা মুখে মাস্কও লাগাননি। সামাজিক দূরত্বও বজায় ছিল না। অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে ছিল গোলাপী বেলুন। তাঁরা চিৎকার করে বলছিলেন, ''আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সে জন্যই আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।

বার্লিনে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এক লাখ মানুষ পিছু ১১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

ছবি: Paul Zinken/dpa/picture alliance

ইতালিতেও কড়াকড়ি

ইতালিতেও করোনা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সব বার ও রেস্তোরাঁ সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। যাবতীয় ট্রেড ফেয়ার ও কনফারেন্স বাতিল করে দেয়া হয়েছে। স্কুলের অন্তত ৭৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বাড়িতে থেকে অনলাইনে ক্লাস করছে। সরকারি তরফে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসটা কড়াকড়ির মধ্যে থাকলে ডিসেম্বরে বড়দিনের আগে ছাড় দেয়া হতে পারে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ