কর্ণাটকে সরকার ফেলতে পেগাসাস ব্যবহারের অভিযোগ
২১ জুলাই ২০২১ভারতে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতার নতুন নতুন অভিযোগ সামনে আসছে। রাহুল গান্ধী, প্রশান্ত কিশোরের মতো রাজনীতিক ও ভোটকৌশলী, দুই মন্ত্রী, শিল্পপতি, সরকারি আমলাদের উপর পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারির অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার কর্ণাটকে সরকার ফেলার জন্য পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতার অভিযোগ উঠল। কর্ণাটকে জেডিএস নেতা কুমারস্বামীর নেতৃত্বে জেডিএস-কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়েছিল। পরে বিজেপি ওই দুই দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে সরকার ফেলে দেয় বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেন।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে নতুন তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে, সেই সময় কুমরস্বামী, উপমুখ্যমন্ত্রী পরমেশ্বর, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার এক দেহরক্ষীর ফোনেও আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় ১৭ জন কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়ক পদত্যাগ করায় সরকার পড়ে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরোটাই বিজেপি-র অপারেশন কমলের কৌশলের অঙ্গ।
পেগাসাস নিয়ে যে সব ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে, তাতে কর্ণাটকের নেতাদের নম্বরও আছে। কিন্তু মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা হয়নি বলে, তাতে পেগাসাসের মাধ্যমে আড়িপাতা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।
এই খবর নিয়ে হইচটই শুরু হতেই পরমেশ্বর বলেছেন, ‘‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, উপমুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েও আমার ফোন হ্যাকের চেষ্টা হয়েছে! কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এ কাজ হতে পারে না। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, এতে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত রয়েছে।'' কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, ‘‘ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। সেই সরকার ফেলতেও ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। যদি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ফোনে আড়িপাতা হয়, তা হলে কে আর নিরাপদে থাকবেন?'' সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেছেন, ''আমি অবাক নই। আমার সরকার ফেলার জন্য আড়ি পাতার প্রশ্ন আগেও উঠেছিল।''
এনএসওর বক্তব্য
পেগাসাসের নির্মাতা ইসরায়েলের সংস্থা এনএসও এনডিটিভি-কে জানিয়েছে, ভারতে যে ফোন নম্বরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা তাদের কাছে কখনো ছিল না। এগুলি মনগড়া তথ্য। যারা পেগাসাস কিনেছে, তাদের কোনো তথ্য কোম্পানি অ্যাকসেস করতে পারে না। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, যদি তাদের সফটওয়্যারের অপব্যবহারের কোনো তথ্য কেউ দিতে পারেন, তা হলে তারা বিস্তারিত তদন্ত করবে।
জিএইচ/এসজি(এনডিটিভি)