1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্ণাটক কংগ্রেসের, বিজেপি পরাজিত

১৩ মে ২০২৩

কর্ণাটকে সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। বিজেপি পরাজিত। দক্ষিণ ভারতের কোনো রাজ্যে বিজেপি আর ক্ষমতায় থাকলো না।

কর্ণাটকে প্রচার করেছেন সোনিয়া গান্ধী। বহুদিন পর প্রচারে নামলেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী।
কর্ণাটকে প্রচার করেছেন সোনিয়া গান্ধী। বহুদিন পর প্রচারে নামলেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী।ছবি: Manjunath Kiran/AFP/Getty Images

নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি-র বিজয়রথ কর্ণাটকে থামিয়ে দিল কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরছে রাহুল গান্ধীর দল।  ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে দরকার ১১৩টি আসন প্রয়োজন। কংগ্রেস এখন ১৩৭টি আসনে এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে ৬৪টি আসনে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস এগিয়ে ২০টি আসনে। গতবারের তুলনায় বিজেপি-র ৪০টি আসন কমেছে। কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৪টি আসন। 

ভোট পাওয়ার হারও গতবারের থেকে পাঁচ শতাংশ বাডা়তে পেরেছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের কোনো রাজ্যে আবার একার ক্ষমতায় সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকে-র সঙ্গে ক্ষমতায় আছে। আর দক্ষিণ ভারতে বিজেপি আর কোথাও ক্ষমতায় থাকলো না। 

এই বিপুল জয়ের পর কংগ্রেসের সামনে এখন সমস্যা হলো, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার সিদ্ধারামাইয়া, শিবকুমার, পরমেশ্বর-সহ অনেক নেতা। এরমধ্যে সিদ্ধারামাইয়া আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শিবকুমার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাহুল গান্ধীর খুবই আস্থাভাজন নেতা। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এই সিদ্ধান্ত নেবে। 

নরেন্দ্র মোদী ছিলেন বিজেপি-র প্রচারের মুখ। ছবি: MANJUNATH KIRAN/AFP/Getty Images

কর্ণাটক হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য। তিনি এখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেকদিন পর ভোটের প্রচারে নেমেছেন।

সবচেয়ে বড় কথা কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে। ভোটের আগে বিজেপি-র সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটে লড়েছেন।

অন্যদিকে বিজেপি-র প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ ছিল। আর ভোট সমীক্ষাগুলির মতে, মানুষের ক্ষোভ ছিল দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়া ও জিনিসের দাম নিয়ে।

বিজেপি ভোটের প্রচারে টিপু সুলতান থেকে শুরু করে বজরঙ্গবলী, লাভ জিহাদের মতো বিষয়গুলি তুলেছিল। দেখা গেল, মানুষ তাদের সমস্যাগুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ধর্মীয় বিভাজনের বিষয়কে নয়। 

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ