সরকারি মন্ত্রী এবং তাঁদের অধীনস্থ কর্মীদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া৷ দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস এবং তাঁর এক কর্মীর মধ্যকার যৌন সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল গত সপ্তাহে সরকারি মন্ত্রী এবং তাদের কর্মীদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছেন৷ টার্নবুলের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক কর্মীর বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কথা ফাঁস হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি৷
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৫০ বছর বয়সি উপ-প্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস তাঁর ৩৩ বছর বয়সি সাবেক মিডিয়া উপদেষ্টা ভিকি কাম্পিয়নের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে এক বড় ভুল করেছেন৷'' কাম্পিয়ন এখন অন্তঃসত্ত্বা৷
অদ্ভুত চরিত্র ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর
শেষ রক্ষা হলো না ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির৷ কর ফাঁকির অভিযোগে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে৷
ছবি: dpa/Bildarchiv
সর্বোচ্চ আদালতের রায়
ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে এক বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত৷ তবে বয়স বেশি হওয়ায় বার্লুসকোনিকে হয় গৃহবন্দি থাকতে হবে, না হয় সমাজ সেবামূলক কাজ করতে হবে৷
ছবি: Reuters
বুঙ্গা বুঙ্গা!
তবে কর ফাঁকি নয়, বার্লুসকোনির ‘ইমেজ’-এ ধস নামে ছবির এই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কের কথা ফাঁস হওয়ার পর৷ অভিযোগ আছে, রুবি নামের এই কমবয়সি মেয়েটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অর্থের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি৷
ছবি: Getty Images
রাজনৈতিক সফলতা
মোট চারবার ইটালির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বার্লুসকোনি৷ ফলে দেশটির সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রিত্ব করা নেতা তিনি৷ অথচ এই সময়টায় একের পর এক মামলায় জড়িয়েছিল তাঁর নাম৷ তবে এবার আর শেষ রক্ষা হলো না৷
ছবি: Reuters
বিরোধিতার মুখোমুখি
বার্লুসকোনির সমর্থকদের মতো তাঁর বিরোধীরাও বেশ সক্রিয়৷ ছবিতে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ‘ফেমেন’ গ্রুপের সদস্যদের নগ্ন হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে৷ এর আগে ২০০৯ সালে মানসিকভাবে অসুস্থ একজন বার্লুসকোনিকে লক্ষ্য করে মূর্তি ছুঁড়ে মেরেছিলেন৷ এতে মুখে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Giuseppe Cacace/AFP/Getty Images
মিডিয়া মুঘল
বার্লুসকোনি প্রায়ই তাঁর মালিকানায় থাকা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন৷ এছাড়া সরকারি আরএআই চ্যানেলের টক শো-তেও তাঁর উপস্থিতি ছিল৷ সেগুলোতে অংশ নিয়ে তিনি তাঁর সরকারি সিদ্ধান্ত ও ব্যক্তিগত সমালোচনার পক্ষে বক্তব্য রাখতেন৷
ছবি: AP
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ
২০০৯ সালে বার্লুসকোনির সঙ্গ ছেড়ে যান তাঁর স্ত্রী ভেরোনিকা লারিও বার্লুসকোনি৷ এর কারণ সম্পর্কে লারিও অল্প বয়সিদের সঙ্গে বার্লুসকোনির সম্পর্কের কথা জানান৷ তালাক হওয়ার পরপরই অবশ্য বার্লুসকোনি তাঁর চেয়ে ৫০ বছরের কম বয়সি এক বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন!
ছবি: VINCENZO PINTO/AFP/Getty Images
মামলার তাড়া
ব্যবসা কিংবা রাজনীতি সবসময়ই মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে৷ এর জন্য তিনি ‘বামপন্থী’ আইনজীবীদের দায়ী করেন৷ বারবার মামলা থেকে পার পেলেও এবার আর শেষ রক্ষা হলো না তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তরুণ থাকার চেষ্টা
১৯৯৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেসময় বার্লুসকোনির মাথায় চুল কম ছিল৷ আর চেহারায় ছিল ভাঁজ৷ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি মাথায় নতুন চুলের ব্যবস্থা করেন৷ চেহারায়ও আনেন পরিবর্তন৷ এভাবে তিনি তরুণ থাকার চেষ্টা করেছেন৷
ছবি: dpa/Bildarchiv
8 ছবি1 | 8
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি আজ সরকারি মন্ত্রীদের ব্যবহার বিধিতে একটি ধারা যোগ করেছি, যাতে একজন মন্ত্রী, তিনি বিবাহিত বা অবিবাহিত যা-ই হোক না কেন, কোনো কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে না পারেন৷ কেউ এটা করলে তা নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের শামিল হবে৷''
প্রসঙ্গত, জয়েস একজন ক্যাথলিক, যিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বরাবরই পারিবারিক বন্ধন এবং বিবাহসহ রক্ষণশীল বিষয়াদির প্রতি জোর দিয়েছেন৷ তিনি চব্বিশ বছর ধরে বিবাহিত এবং তাঁর চার সন্তান রয়েছে৷
পরকীয়ার খবর প্রকাশের পর অবশ্য তাঁর সংসারও ভাঙতে শুরু করেছে৷ কিছুদিন আগে তিনি বাড়ি ছেড়ে তাঁর এক বড়লোক বন্ধুর দেয়া অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন বলে শোনা গেছে৷ বন্ধুর কাছ থেকে এমন সুবিধা নেয়ায়ও সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি৷
তবে পরকীয়া এবং অন্যান্য বিতর্ক সত্ত্বেও বার্নাবি জয়েসকে এক্ষুণি পদচ্যুত করছেন না প্রধানমন্ত্রী৷ বরং জয়েসের দল ন্যাশনাল পার্টি, যেটি বর্তমান সরকারের জোট সঙ্গী, এক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি৷ দেশটির সংসদে বর্তমান সরকার মাত্র একটি আসনের ব্যবধানে সংখাগরিষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে৷ জয়েসকে পদচ্যুত করলে সরকারের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে৷
অস্ট্রেলিয়ায় স্তন্যপায়ীরা বিলুপ্তির আশঙ্কায়
স্বাভাবিক মৃত্যু বা শিকারীদের দৌরাত্ম্যে নয়, মূলত অন্য কারণে ধীরে ধীরে স্তন্যপায়ী প্রাণীর বেশ কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে৷ একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: Imago/UIG
ওয়ালাবিরা কমছে
অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বিচিত্র ধরণের স্থলচর স্তন্যপায়ী রয়েছে৷ ক্যাঙ্গারু তাদের মধ্যে অন্যতম৷ তবে ছবির এই প্রাণী ক্যাঙ্গারুর মতো হলেও ক্যাঙ্গারু নয়৷ এদের নাম ওয়ালাবি৷ এতদিন অনেক ওয়ালাবি ছিল অস্ট্রেলিয়ায়৷ সংখ্যাটা এখন কমছে৷ প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর সমীক্ষা বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপীয়দের আগমনের পর থেকে ওয়ালাবির চারটি প্রজাতি অন্তত একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে৷
ছবি: L. Robayo/AFP/GettyImages
রডেন্টদের কে বাঁচাবে!
ছোট ছোট এই ইঁদুরগুলোও আছে বিপদে৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, রডেন্ট নামে পরিচিত এই প্রাণীগুলো যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, সেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে, অর্থাৎ দ্রুতই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তারা৷
ছবি: Imago/UIG
তালিকায় নবাগত
অস্ট্রেলিয়া থেকে বিলুপ্ত প্রাণীদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এই ইঁদুরগুলো৷ ২০০৬ সালের আগেও এরা ছিল৷ কিন্তু তারপর থেকে কমতে কমতে ২০১৪ সালে এসে অস্ট্রেলিয়া থেকে এরা একদম বিলুপ্ত!
ছবি: Queensland Government
বাদুড়দের সৌভাগ্য
অস্ট্রেলিয়ায় বাদুড়দের ভাগ্য কিছুটা ভালোই বলতে হবে৷ নইলে অন্য অনেক স্তন্যপায়ী যখন নীরব প্রস্থানের পথে, এরা তখন রাতের আকাশে দাপিয়ে উড়তে পারে? গত ২০ বছরে বাদুড়ের বিলোপই সবচেয়ে কম হারে হয়েছে৷ এর মাঝেও বড় কানওয়ালা এই লর্ড হাওই-সহ দু’ধরনের বাদুড় অবশ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে উধাও হয়েছে৷
ছবি: Imago/UIG
মানুষ দায়ী নয়
প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণীর শতকরা ২১ ভাগই এখন বিলুপ্তির আশঙ্কার মুখে৷ আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিলুপ্তি বেশি ঘটছে এমন সব এলাকায় যেখানে মানুষের ঘনবসতি নেই৷
ছবি: Reuters
অস্ট্রেলিয়ার বাইরে নিরাপদ
অস্ট্রেলিয়া থেকে এরা বিলুপ্ত৷ তবে নিউ গিনিতে এখনো দেখা যায় এদের৷ সেখানেও বেশি দিন ওরা অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে কিনা এ নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans/Ardea
প্রাণীও দায়ী
এগুলো ইউরোপীয় লাল শেয়াল৷ অস্ট্রেলিয়াতেও আনা হয়েছিল এদের৷ এমন কিছু মাংসাশী প্রাণীর কারণেও বিলুপ্ত হচ্ছে অনেক স্তন্যপায়ী৷
ছবি: imago/blickwinkel
বিড়াল ভয়ংকর!
এই বুনো বিড়ালগুলো সত্যিই ভয়ংকর৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এদের কারণেও অনেক প্রাণীই অস্ট্রেলিয়া থেকে হারিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: Fotolia/vlorzor
নিরাপদ জলরাজ্য
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে স্থলের চেয়ে জলের স্তন্যপায়ীরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ৷ সেখানে বিলুপ্তির হার অনেক কম৷ তবে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, সাগরের গভীরে কাজ করা খুব কঠিন, সুতরাং সেখানকার হিসেবে ভুলের শঙ্কাও বেশি৷