1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্মী ছাড়াই দোকান!

৯ এপ্রিল ২০১৮

অনলাইন শপিং আজ আর নতুন বিষয় নয়৷ কিন্তু সম্পূর্ণ কর্মীহীন সুপারমার্কেটে বাজার করার অভিজ্ঞতা ক'জনের হয়েছে? চীনে এমন স্বয়ংক্রিয়, আধুনিক দোকানের প্রসার বাড়ছে৷ অ্যাপের মাধ্যমেই ক্রেতা সব কাজ সারছেন৷

China US-Produkte im Supermarkt
ছবি: picture alliance/AP Photo/Andy Wong

বাজার করুন স্বয়ংক্রিয় সুপারমার্কেটে

03:16

This browser does not support the video element.

বেইজিং শহরের উপকণ্ঠে কেনাকাটার অভিনব ব্যবস্থা৷ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়, কোনো কর্মী নেই৷ ভবিষ্যতের সুপারমার্কেট নাকি এমনই দেখতে হবে৷ অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতা দোকান খুঁজে নেবেন, পণ্য বেছে নেবেন এবং দামও মেটাবেন৷ সুপারমার্কেটের কাস্টমার ম্যানেজার লিউ জিইয়ে বলেন, ‘‘পাঁচটি ক্যামেরা সর্বক্ষণ দোকানের উপর নজর রেখে চলেছে৷ তাই ক্রেতা কোনো পণ্য লুকিয়ে ফেললে অথবা দাম না মিটিয়ে বেরিয়ে গেলে সার্ভিস সেন্টার তাঁকে সে কথা মনে করিয়ে দেবে৷''

যে কোনো ছোট দোকানের মতো এখানেও স্ন্যাক্স, পানীয়, তেল, সাবান ইত্যাদি পাওয়া যায়৷ আশেপাশের অফিসের কর্মীরা লাঞ্চ ব্রেকে বাজার করতে আসেন৷ প্রত্যেকটি পণ্যে ইলেকট্রনিক কবচ লাগানো রয়েছে৷ দাম মেটানোর অ্যাপের মাধ্যমে বিল দিতে হয়৷ কেমন সেই অভিজ্ঞতা? এক ক্রেতা বললেন, ‘‘এমনভাবে কেনাকেটা করতে দারুণ লাগে৷ প্রয়োজনমতো কিনে দাম মেটালেই হলো৷''

বেইজিং শহরে বিংগোবক্স কোম্পানির সদর দপ্তর৷ এমন আরও কোম্পানি চীনে প্রায় ২০০ কর্মী-বিহীন সুপারমার্কেট খুলেছে৷ এখনো পর্যন্ত কোনো বড় সমস্যা হয় নি৷ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেন জিলিন বলেন, ‘‘সাধারণ সুপারমার্কেটের তুলনায় আমাদের দোকানে চুরি কম হয়৷ শূন্য দশমিক ১ শতাংশ পণ্যও উধাও হয় না৷''

জেডি-র মতো চীনের বিশাল ইন্টারনেট কোম্পানিও এমন কর্মীবিহীন সুপারমার্কেটখুলছে৷ দপ্তরের জমিতেই এমন একটি দোকান খোলা হয়েছে৷ ফেস রেকোগনিশন প্রযুক্তির ভিত্তিতে সবকিছু চলে৷ একবার অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করতে হয়৷ তারপর ইচ্ছামতো পণ্য তুলে নিলেই হলো৷ বেরোনোর সময় শুধু মুখ দেখালেই চলবে৷ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়৷ ম্যানেজার সং পেন বলেন, ‘‘এখনো আমরা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছি, তাই নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারবো না৷ তবে সাধারণ সুপারমার্কেটের তুলনায় এমন দোকান অনেক সস্তায় চালানো সম্ভব বলে আমাদের ধারণা৷''

চীনের মতো অন্য কোনো দেশে বোধহয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেনাকাটার বিষয়ে এতো উৎসাহ দেখা যায় না৷ মোবাইল ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে বিল মেটানো, অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবা ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে উঠেছে৷ কোম্পানির কাছে সব রেকর্ড থাকছে জেনেও কেউ দমে যাবার পাত্র নয়৷

‘‘মনে হয় এটাই ভবিষ্যতের প্রবণতা৷ জীবনযাত্রা সহজ করে তুলতে নিজেদের সম্পর্কে তথ্য উন্মুক্ত করতে হবে৷ এটা মেনে নেওয়াই যায়৷''

তবে ডিজিটাল প্রযুক্তি কিন্তু একটি কাজ এখনো করতে পারে না৷ দোকানের তাকগুলি এখনো নিজেরাই জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে পারে না৷

মাটিয়াস ব্যোলিঙার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ