1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অভিবাসনজাপান

কর্মী সংকট মোকাবিলায় অভিবাসনে জোর দিচ্ছে জাপান

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নিম্নগামী জন্মহার ও বার্ধক্যে জর্জরিত জাপান এখন নজর দিচ্ছে প্রযুক্তি শিল্প ও অভিবাসনের দিকে, যাতে করে দক্ষ কর্মীর সংকট কিছুটা কমানো যায়৷

টোকিওর রাস্তা পার হচ্ছেন একজন প্রবীণ
বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জার্মানির সরকারি খাতেও কর্মী সংকট দেখা দিয়েছেছবি: CHARLY TRIBALLEAU/AFP/Getty Images

নার্সিং ও বয়স্ক মানুষের দেখাশোনার খাতে বড় সংকট দেখা দিচ্ছে জাপানে৷ এই সংকট রয়েছে নির্মাণ খাত ও ডেলিভারি ব্যবসাতেও৷ বড় ধরনের সংকট রয়েছে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদেরও৷

গত বছর শিক্ষা খাতে দক্ষ কর্মী টানতে পাঁচশ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন (৩৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা) বিনিয়োগ করে জাপান সরকার৷

সমাধানে অভিবাসন

আগের তুলনায় কম নারীরা কাজে ঢুকছেন, ফলে সেই দিকেও সংকট দেখা যাচ্ছে৷ জাপান সরকার একারণে নানা ধরনের সমাধানে গেলেও সম্প্রতি তারা নজর ঘুরিয়েছে বিদেশি কর্মীদের আকর্ষণ করতেও৷ একইসঙ্গে অভিবাসন নীতিকেও সহজ করার চেষ্টা করছে তারা৷

২০১৯ সালে একটি নতুন ব্যবস্থা চালু হয় যার মাধ্যমে যে খাতে সবচেয়ে চরম কর্মী সংকট, তাতে পাঁচ বছরের জন্য কাজ করতে আসতে পারবেন বিদেশিরা৷ এছাড়া, যারা ‘উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন’ কর্মী, তাদের কাছে সুযোগ থাকবে স্থায়ীভাবে জাপানে থেকে যাবার৷

টোকিও আশা করেছিল যে এই ব্যবস্থা চালু হবার পর অভিবাসী কর্মীদের ভিড় নামবে৷ অন্তত সাড়ে তিন লাখ কর্মীর আগমন আশা করেছিল তারা৷ কিন্তু প্রথম বছরের প্রথম মাসে, আসে তিন হাজার কর্মী, যার পর করোনা অতিমারিকালীন কড়াকড়ি অভিবাসীদের আগমন আরো কঠিন করে দেয়৷

সম্প্রতি আবার অভিবাসীদের টানতে সচেষ্ট হয়েছে জাপান৷ সোমবার তারা ঘোষণা করে যে, দক্ষ কর্মী আসতে পারবে এমন খাতের তালিকায় আরো চারটি কাজকে যুক্ত করা হয়েছে৷ সাথে, বাস, ট্রেন বা ট্রাকচালক হিসাবে আসার ভিসার সংখ্যাও বাড়াচ্ছে তারা৷

প্রযুক্তিখাতেও নজর দিচ্ছে জাপান

উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জাপান বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকায়, বিশেষ করে অটোমেশন, রোবোটিক্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়৷ জাপানের জনসংখ্যা প্রতি বছর কমছে৷ জার্মানির শহর প্রাংকফুর্টের জনসংখ্যার সমান জনবল হারাচ্ছে জাপান প্রতি বছর৷

এখন কর্মী সংকট মেটাতে রেস্টুরেন্টসহ নানা জায়গায় কাজে লাগানো হচ্ছে রোবটদের৷

প্রযুক্তি যেভাবে মানুষের কাজের জায়গা নিচ্ছে, তাকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন না জাপানের জনতা ও শ্রম বিভাগও৷

জুলিয়ান রায়াল (টোকিও)/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ