‘কর ছাড় পেলেও বাংলাদেশকে জানাতে বাধ্য নয় আদানি'
৩ মার্চ ২০২৩‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে এই পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল ‘আদানি বিদ্যুতে বাংলাদেশের লাভক্ষতি'৷ এবারের পর্বে অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি৷
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি। ২০১৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমিকে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল বা এসইজেড ঘোষণা করে ভারত সরকার৷ এর ফলে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর ও শুল্ক ছাড় পাচ্ছে আদানি৷
তবে বাংলাদেশ ও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, চুক্তি অনুযায়ী কর ছাড়ের বিষয়টি আদানির বাংলাদেশকে ৩০ দিনের মধ্যে জানানোর কথা থাকলেও সেটি জানানো হয়নি৷
তবে এমন তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারত বা বাংলাদেশের মধ্য়ে যদি কর সংক্রান্ত কোনো আইনের পরিবর্তন ঘটে, সেটা জানাতে তারা বাধ্য থাকবে৷ কিন্তু যখন স্পেশাল, অর্থাৎ শুধু সেই কোম্পানির জন্য কোনো ছাড় পাবেন, সেটি আপনি জানাতে বাধ্য নন৷''
এ সময়, সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন জানান, চুক্তিতে লেখা রয়েছে ‘অল চেঞ্জেস ইনক্রিজ অর ডিক্রিজ' অর্থাৎ, কমা বা বাড়া সহ যেকোনো পরিবর্তনের কথা বলা৷ এ প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ এ আরাফাত জানান এ নিয়েও বাংলাদেশ আলাদা করে কোনো সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সে চেষ্টা করছে৷
তবে চুক্তির শর্ত বিষয়ে আরাফাতের ব্যাখ্যা মানতে নারাজ জোনায়েদ সাকি৷ এ বিষয়টির রাজনৈতিক দিক রয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘জনসম্মতিহীন সরকার বাংলাদেশে যেসব দেশ প্রভাব রাখে, তাদের নানাভাবে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে হলেও খুশি রাখার চেষ্টা করে৷ মানুষের ধারণা রয়েছে, আদানিকে বিশেষ চুক্তিতে ছাড় দেয়ার কারণ ছিল, আদানি ভারত সরকারের বিশেষ ঘনিষ্ঠ৷''
এডিকে/এফএস