কলকাতা পুরভোটে মমতার ভাইয়ের বৌ ও অন্য কোটিপতি প্রার্থী
৮ ডিসেম্বর ২০২১
কলকাতা পুরসভার ভোট আসন্ন। প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, তাদের সম্পত্তির কথা। এমনই কিছু প্রার্থীর কথা আছে এই প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞাপন
আর এগারো দিন পরেই কলকাতা পুরসভার ভোট। সেই ভোটের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সম্পদের হিসাব দেখে অবাক হতে হয়৷
পেশা তাদের সমাজসেবা
পুরসভা নির্বাচনে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। সমীর অবশ্য কার্তিক নামেই বেশি পরিচিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক পরিমাণ ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৯৯ টাকা। তার মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৮৩ টাকা। আর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লক্ষ ২৬ হাজার ১১৬ টাকা।
আর কার্তিকের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। দুই জনের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ চার কোটি ৮৫ লাখ টাকারও বেশি। কাজরী হলফনামায় জানিয়েছেন, ২০২০-২১ সালের আয়কর রিটার্ন অনুসারে তার বার্ষিক আয় ২৫ লাখ টাকারও বেশি।
কাজরীর মোট নয়টি জমি আছে, কর্তিকের আছে চারটি। কাজরীর জমি রয়েছে ওড়িশা, কলকাতার কালীঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় এবং বোলপুরে। আর কার্তিকের জমি আছে কলকাতা, পুরী ও বোলপুরে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই পেশা সমাজসেবা।
মেয়রসহ তৃণমূলের আরো কয়েকজন
গত পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবার লড়ছেন ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তার হলফনামা অনুযায়ী, তার কাছে অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে চার কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার এবং তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হলো পাঁচ কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। তাছাড়া ফিরহাদের এক কোটি ৮১ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি আছে এবং তার স্ত্রীর আছে দুই কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। ২০১৯-২০ সালের আয়কর রিটার্ন অনুসারে তার বার্ষিক আয় ৬৫ লাখের বেশি এবং তার স্ত্রীর এক কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার। পুরসভায় যেসব প্রার্থী লড়ছেন, তাদের মধ্যে সম্পদের দিক থেকে ফিরহাদের স্থান উপরের দিকে।
পুরসভার ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন কৃষ্ণা সিং। তার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ তিন কোটি ছয় লাখ টাকা। তার স্বামীর চার কোটি ৮৭ লাখ। তাছাড়া কলকাতায় তার ছয়টি বাড়ি আছে, যার বর্তমান বাজারদর হলো চার কোটি ৫৫ লাখ। তার স্বামীর যে বাড়িঘর আছে তার বাদজারদর হলো নয় কোট ৫৪ লখ টাকা। হলফনামায় এই কথা জানিয়েছেন কৃষ্ণা। তিনিও বিত্তবান প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম।
১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী সুকুমার দাস পেশায় চিকিৎসক। তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আর তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হলো ৫ কোটি ৩৬ লাখ। তিনি থাকেন সন্তোষপুর অ্যাভিনিউতে। তাছাড়াও তার বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক সম্পত্তি ও চাষের জমি আছে।
বিগত পুরসভায় জলের দায়িত্বে ছিলেন তারক সিং। তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ এবং স্থাবর সম্পত্তি যা রয়েছে তার বর্তমান বাজারদর এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর জমি-বাড়ির বাজারদর এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা। তিনি হায়ার সেকেন্ডারি পাস।
তার মেয়ে কাকলি বাগ লড়ছেন পাশের ১১৯ নম্বর কেন্দ্র থেকে। তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫ লাখ টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তির বর্তমান বাজারদর ৭৫ লাখ টাকা।
তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় লড়ছেন ৮৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। হলফনামা অনুসারে, তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯২ লাখ ৯৯ হাজারেরও বেশি। তার স্থাবর সম্পত্তির বর্তমান বাজারদর ছয় লাখ ৩৬ হাজার টাকার মতো।
পুরসভা ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন জুঁই বিশ্বাস। তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫ লাখ ৪১ হাজার। তার বাড়ির বর্তমান বাজারদর ২৭ লাখ টাকা। আর তার স্বামী স্বরূপ বিশ্বাসের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হলো এক কোটি ২২ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি।
কলকাতার ব্রিজ: ভাঙছে চাঙড়, গজাচ্ছে বটগাছ, বাড়ছে ফাটল
তিন বছর আগে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল, ২০টি ব্রিজ সারানো দরকার। কিছু সারানো হয়েছে। কলকাতার সেতু ঘুরে দেখে ডিডাব্লিউ-র বিশেষ ছবিঘর।
ছবি: Subrata Goswami/DW
মা উড়ালপুলে বটগাছ
বাইপাসে পার্ক সার্কাস কানেকটরের উপর তৈরি হয়েছে এই সেতু। কলকাতা তথা রাজ্যের দীর্ঘতম উড়ালপুল। দশ কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুলের গায়ে দেখা গেল বটগাছের চারা গজিয়ে গেছে। যা সেতুর ক্ষতি করতে পারে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
উল্টোডাঙা সেতুতে ফাটল
আট বছর আগে ভেঙে পড়েছিল এই ব্রিজের একাংশ। বহুদিন বন্ধ ছিল উড়ালপুলের একাংশ। তারপর সারানো হয়েছে। হাইটবার লাগানো হয়েছে। বড় গাড়ি উঠতে দেয়া হয় না। এই ব্রিজেও ফাটল চোখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার মেরামতির জন্য উড়ালপুল বন্ধ ছিল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিজন সেতুর বেহাল স্থিতি
কসবায় এই সেতুটির অবস্থা বছর পাঁচেক আগে বেশ খারাপ ছিল। তারপর সারাই হয়েছে। সিমেন্ট ও রঙের প্রলেপ পড়েছিল। কিন্তু আবার এই সেতুর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বেরিয়ে পড়ছে কংক্রিটের কঙ্কাল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সোনারপুর রেল ওভারব্রিজ
ব্রিজের শুরুতে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি রাখে। ব্রিজের নীচে মাছের আড়ত। বেশ নোংরা। এর ফলে ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শিয়ালদহ ফ্লাইওভার
সরকারি নাম বিদ্যাপতি সেতু। ব্রিজের নীচে বিশাল বাজার। কোনো গাড়ি চলে না। ১৯৭৮ সালে তৈরি এই ব্রিজ মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য চারদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগে এখানে ট্রাম চলতো। তাও এখন বন্ধ। ট্রামনাইলে পিচ ঢালা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে লোহার পাত গরম হয়ে ব্রিজে ফাটল ধরার আশঙ্কা আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
হাওড়া ব্রিজে গুটখার ক্ষত
কলকাতার বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক। এই সেতুও গুটখার (পান মশলা) থুতুর নির্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে বিশেষ কেমিক্যাল লাগানো হয়েছিল। এবার এই সেতু সারাবার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নতুন মাঝেরহাট ব্রিজ
ভেঙে পড়া সেতুর জায়গায় তৈরি হয়েছে নতুন সেতু। তার নাম দেয়া হয়েছে জয় হিন্দ ব্রিজ। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর উদ্বোধন করেন। দুই বছর তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয় মাঝেরহাট সেতু। নতুন ব্রিজ। তাই বাসিন্দারা এখন আশ্বস্ত। এই সেতুতে অতিরিক্ত ভার পড়লে সেন্সরের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে যাবে লালবাজার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। প্রচুর ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
করুণাময়ী ব্রিজের মেরামত
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের কাছে করুণাময়ী ব্রিজের একাংশ ভেঙে যায়। ২০২০ সালে পরীক্ষার জন্য চারদিন বন্ধ রাখা হয় এই সেতু। তারপর তা সারানো হয়। কিন্তু এখন সেই ব্রিজের নীচে গাছ গজিয়েছে দেখা গেল। চারপাশে জঞ্জাল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সারানো হয়েছে অরবিন্দ সেতু
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর নজর পড়ে এই ব্রিজের দিকে। মেরামতি হয়। কিন্তু তারপরেও ব্রিজের হাল পুরোপুরি ফেরানো যায়নি। ভারী যানবাহন নিষিদ্ধ। তাই ব্রিজে রয়েছে হাইটবার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
চিংড়িহাটা ফ্লাইওভার নিয়ে আশঙ্কা
লকডাউনের সময় করা এক সমীক্ষায় এই সেতুটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই চিন্তা এখনো রয়েছে। এই সেতুর থামের অবস্থান নিয়েও সমস্যা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কালীঘাট ব্রিজের হাল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে এই ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এই সেতু মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়। মেরামত হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ। হাইটবার লাগানো হয়েছে। নীল-সাদা রঙ দিয়েও এই সেতুর জীর্ণতা ঢাকা পড়ছে না।
ছবি: Subrata Goswami/DW
টালিগঞ্জ ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়
১৯৩২ সালে তৈরি হয় এই সেতু। ব্রিজের নীচ দিয়ে বইছে আদিগঙ্গা। ব্রিজের উপরে ফুটপাথ জুড়ে বাজার বসে। ৮৯ বছর বয়সি এই ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ঢাকুরিয়া ব্রিজ ও ইঁদুর
ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচে ইঁদুরবাহিনী চার ফুট মতো গর্ত করে ফেলেছিল। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেছে। তবে পুরসভা, সহ একাধিক সংস্থা মনে করছে, জোড়াতালি দিয়ে আপাতত বিপদ কাটানোর চেষ্টা হয়েছে ঠিকই, ভবিষ্যতে সমস্যা আবার বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আম্বেডকর সেতুর অবস্থা
ইস্টার্ন বাইপাসের পাশে আম্বেডকর সেতু। এই বছরের গোড়ার দিকে তিনদিন বন্ধ রেখে সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। কাছে কিছু মার্বেলের গুদাম আছে। তাই ভারী যানবাহন চলাচল করে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করা হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নাগেরবাজার ফ্লাইওভারের সমস্যা
সরকারি নাম রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সেতু। বাম আমলে কাজ শুরু হয়েছিল। তবে ২০১২-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। ব্রিজের নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়। উপর থেকে নীচে জল পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বেলগাছিয়া রেল ওভারব্রিজ
এই রেল ওভারব্রিজের নীচে দুইটি স্টেশন। কলকাতা এবং টালা চক্ররেল স্টেশন। এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাম চলত। পিচের অবস্থা বালো নয়। ফাটল, গর্ত ভর্তি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বাঘাযতীন রেল ওভারব্রিজের হাল
খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল এই রেলওভারব্রিজ। ২০১৭ সালে ব্রিজের একটা চাঙড় ভেঙে পড়ে। তারপর এই ব্রিজ সারানোর কাজ শুরু হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কামালগাজি উড়ালপুলের অবস্থা ভালো
পাঁচ বছর আগে তৈরি হয়েছে এই উড়ালপুল। ৮৪ কোটি টাকা খরচ করে। এখনো অবস্থা ভালো আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অবস্থা ভালো
সরকারি নাম বিদ্যাসাগর সেতু। বেশি পরিচিত দ্বিতীয় হুগলি সেতু নামে। বছর তিরিশেকের এই সেতুর অবস্থা যথেষ্ট ভালো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শতবর্ষ পেরনো সুইং ব্রিজ
খিদিরপুর সুইং ব্রিজের বয়স একশ পার হয়েছে। ব্রিজটি জাহাজ এলে আড়াআড়িভাবে ঘুরে যেতে পারে। তাই এর নাম সুইং ব্রিজ। বয়স হলেও ভালো অবস্থায় আছে এই ব্রিজ।
লোহার তৈরি পুরনো ব্রিজ। নতুন রঙ হয়েছে। কিন্তু তাতেও জীর্ণতা ঢাকা যায়নি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
গর্ডেনরিচ বাস্কিউল ব্রিজ
১৯৬৬ সালে তৈরি হয়েছিল এই ব্রিজ। ব্রিজটি আড়াআড়ি খুলে যেতে পারে। কলকাতা বন্দরের তত্ত্বাবধানে আছে এই ব্রিজ। অবস্থা ভালো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
টালা সেতু ভেঙে নতুন ব্রিজ
২০২০ থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন সেতু তৈরি হচ্ছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পোস্তা উড়ালপুলও ভাঙা হচ্ছে
২০১৬-তে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একটি অংশ। এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
25 ছবি1 | 25
অন্য দলের প্রার্থীরা
বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরাও পুরসভা ভোটে লড়ছেন। তাদের কয়েকজন প্রার্থীর সম্পত্তির হিসাব দেয়া হলো।
৮১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী হলেন রিঙ্কু দে। হলফনামা অনুসারে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা। কোনো স্থাবর সম্পত্তি নেই। তাঁর স্বামীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দুই লাখ ৭ হাজার টাকা।
একই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দিতয়া কাউরের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক লাখ ১২ হাজার টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তির বর্তমান বাজারদর ২০ লাখ টাকা।
৮৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ভট্টাচার্যের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। আর তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বাড়ি, যার বাজারদর আনুমানিক ৮০ লাখ টাকা।
এই ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী সমীর সাহার অস্থাবর সম্পত্তি আছে পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তার বাড়ির বাজারদর এখন ১০ লাখ টাকা বলে তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন।
বিজেপি প্রার্থী অর্চনা গুপ্তার হলফনামা জানাচ্ছে, তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা। তার নিজের কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। তার স্বামীর আছে। তার বাজারদর ১০ লাখ টাকা।