প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল ছিল এটাই। প্রতিবাদীদের ভিড়ে, স্লোগানে, নতুন নতুন পোস্টারে প্রতিবাদস্থলের চেহারা আলাদা ছিল। এখন সেই জায়গাটা ফাঁকা। জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে দুইটি সংগঠন হয়েছে। সবাই কাজে ফিরেছেন। এই জায়গার পাশ দিয়ে গেলে আগের বিক্ষোভের ছবিগুলো চোখে ভেসে ওঠে।

প্রতিবাদস্থলের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পোস্টার। শুধু প্রতিবাদীরাই নেই। একসময় জোরালো প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। সাধারণ মানুষ নেমে এসেছিলেন পথে। আজ তার কেন্দ্রস্থলে শূন্যতা বিরাজ করছে।

আরজি কর হাসপাতালে ঘুরলেই চোখে পড়বে নানা ধরনের পোস্টার, ছবি ও দেওয়াললেখা। তার পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা, আসা-যাওয়া করছেন রোগীরা।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও লাগাতার বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভস্থলে এখন রোগীর আত্মীয়রা একটু বিশ্রাম করে নিচ্ছেন।

মেডিক্যালের সামনে রাস্তায় প্রতিবাদের ছবি মলিন হলেও এখনো আছে। আছে মেডিক্যালের ভিতরের পোস্টার ও দেওয়াললেখাও। নেই সেই প্রতিবাদ।

ধর্মতলার অবস্থানমঞ্চের সামনের অবস্থা স্বাভাবিক। সেখানে রাস্তায় এই ছবি না থাকলে বোঝাই যেত না, এখানে অবস্থান, প্রতিবাদ হয়েছিল।

এখানে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতেন এসএলএসটি-র চাকুরিপ্রার্থীরা। সেই জায়গাও এখন ফাঁকা। অন্তত বুধবার এখানে কোনো প্রতিবাদকারীর দেখা পাওয়া যায়নি। তারা আর রোজ আসেন না বা আসতে পারেন না।

ডিএ বা মহার্ঘভাতা-সহ নানা দাবিতে সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে। তারা ৬৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

এছাড়াও চলছে সরকারি গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের বিক্ষোভ। তাদের বিক্ষোভ ৭৮৭ দিনে পড়েছে।

মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির কাছে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও চলছে। কলকাতা হাইকোর্ট ১৪ হাজার ৫২টি খালি পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এই নিয়োগ নিয়েও গড়িমশি করা হচ্ছে।