কলকাতায় সদ্য হয়ে গেল সমকামী, রূপান্তরকামীদের একদিনের এক কার্নিভাল৷ উৎসবের পাশাপাশি কিছু জরুরি গন্তব্যেরও খোঁজ দিলো এই মেলা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বিজ্ঞাপন
আজ থেকে দশ বছর আগেও বোধহয় ভাবা যেতো না যে, প্রকাশ্য কোনও জায়গায় মঞ্চ বেঁধে, মেলা বসিয়ে নিজেদের মতো করে একটা দিন পালন করছেন সমকামী, রূপান্তরকামীরা৷ এবং সমকামকে অপরাধ হিসেবেই দেখার আইন যতদিন বলবৎ থাকবে, ততদিন ওঁরা ঘরের মধ্যে লুকিয়েই থাকবেন, এমনটাই বরং স্বাভাবিক ছিল৷ সেখানে কলকাতার মুক্ত, উদার সংস্কৃতিরই বাহবা প্রাপ্য যে, এই প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্যে কিছুটা খোলা প্রান্তর, খানিকটা খোলা আকাশ ছেড়ে দেওয়া গেল৷ সেখানে দিনভর কবিতা পড়া, গান গাওয়া, একক এবং সমবেত নৃত্যে মেতে উঠলেন লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল এবং ট্রান্সজেন্ডার, সংক্ষেপে ‘এলজিবিটি'র সদস্য এবং তাঁদের সমর্থকরা৷ অনেকেই এলেন, যাঁরা দৃশ্যত ‘অন্যরকম’ নন৷ তবু এলেন, ওই অন্যরকমরাও যে আসলে এই সমাজেরই অংশ, আলাদা নয়, অন্য নয়— সেই বার্তা দিতে৷ অনেক বয়স্ক মানুষ এসেছিলেন৷ সব মিলিয়ে ছবিটা বেশ আশাজনক৷ কারণ, ইনক্লুসিভ সোসাইটি, যে সমাজে সবাই অন্তর্ভুক্ত, সবার স্বকীয়তা যেখানে সমান সম্মানিত, তেমন একটা সমাজের ছবি তুলে ধরার জন্যে এটা খুব জরুরি ছিল৷ এই যে জমায়েত, যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রেনবো কার্নিভাল’ বা রামধনু উৎসব, সেখানে প্রতিটি অনুষ্ঠান, প্রতিটি উচ্চারণের মধ্যেই ছিল সেই সামাজিক অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আওয়াজ জোরদার করা৷ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম ফর জেন্ডার অ্যান্ড সেক্সুয়াল মাইনরিটি রাইটস’ নামে যে সংগঠন এই কার্নিভালের উদ্যোক্তা, তারা এই অ্যাক্সেপটেন্স, বা সামাজিকভাবে গ্রাহ্য হওয়ার পাশাপাশি রেজিস্টেন্স, বা প্রতিরোধের কথাও বলছে৷ এ ব্যাপারে সংগঠনের অন্যতম প্রতিনিধি কৌস্তভ মান্না ডয়চে ভেলেকে জানালেন, সমকামী, উভকামী, রূপান্তরকামীদের আইনি অধিকারের বিষয়টি অনেক সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ যেহেতু, তাঁরা এখন অনেক বেশি সমাজের মূল স্রোতে আসার চেষ্টা করছেন নিজেদের লিঙ্গ পরিচয় এবং স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রেখেই৷ তাতে স্বাভাবিকভাবেই বাধা আসছে, যেটার মোকাবিলা করতে হচ্ছে৷ যে কারণে রেনবো কার্নিভালের আসরে পশ্চিমবঙ্গের ইনস্টিটিউট অফ জুরিডিকাল সায়েন্স থেকে একটি স্টল ছিল, যেখানে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্য আইনি সহযোগিতার রাস্তা বাতলে দেওয়া হচ্ছিল৷
‘সমকামীদের আইনি অধিকারের বিষয়টি অনেক সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে’
This browser does not support the audio element.
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
প্রাণীজগতে সমকামী যুগল একেবারে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার৷ গবেষণায় দেখা গেছে পোকামাকড়, মাছ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে প্রায় ১৫০০ প্রজাতিতে সমকামিতা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
লম্বা গলার জিরাফ
জিরাফদের সমলিঙ্গের মধ্যে ভালোবাসার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ এমনকি গবেষকরা বলছেন, জিরাফদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই সমলিঙ্গের সঙ্গীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়৷
ছবি: imago/Nature Picture Library
বোতলনাক ডলফিন
এই প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ দুই ধরনের ডলফিনের মধ্যেই সমকামিতা দেখা যায়৷ মুখ এবং নাক দিয়ে স্পর্শ করে সঙ্গীকে আদর করে তারা৷ পুরুষ ডলফিনরা সাধারণত উভকামী৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
সিংহের আনুগত্য
পশু রাজ সিংহের মধ্যেও সমকামিতা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার৷ দুই থেকে চারটি পুরুষ সিংহ একটি জোট গঠন করে, যাতে সিংহীরা তাদের কাছে আসতে না পারে৷ অন্য জোট থেকে বাঁচতে একে অপরের উপর ভীষণ নির্ভরশীল তারা৷
ছবি: ARTIS/R. van Weeren
বাইসন
পুরুষ বাইসনদের মধ্যে সমকামিতা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার৷ কেননা স্ত্রী বাইসনদের সঙ্গে বছরে একমাত্র একবার মিলন হয় তাদের৷ তাই প্রজনন মৌসুমে পুরুষ বাইসনরা একে অপরের সঙ্গে দিনে বহুবার মিলিত হয়৷
ছবি: imago/Nature Picture Library
বানরদের ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’
ম্যাকাক প্রজাতির নারী ও পুরুষ বানর – উভয়ের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে৷ যেখানে পুরুষরা মাত্র একরাতের জন্য সমলিঙ্গের সঙ্গে মিলিত হয়, সেখানে স্ত্রী বানররা নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তোলে এবং একে অপরের সঙ্গে থেকে যায়৷
ছবি: picture alliance/robertharding
অ্যালবাট্রসদের বন্ধন
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের লেসন অ্যালবাট্রসরা তাদের সমকামী বন্ধনের জন্য ভীষণভাবে পরিচিত৷ এরা এতটাই বন্ধনে জড়িয়ে যায় যে পুরো জীবন একসাথে কাটিয়ে দেয়, যেন মনে হবে একটি সন্তান সহ স্বামী-স্ত্রীর সুখি পরিবার৷
ছবি: imago/Mint Images
যৌন-বিকারগ্রস্ত বনোবো
পিগমি শিম্পাঞ্জী বা বনোবোকে বলা হয় মানবজাতির সবচেয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রাণী৷ তারা খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে মিলিত হতে থাকে, এমনকি সমলিঙ্গের সঙ্গে৷ নিজেদের আনন্দের জন্যই এটা করে তারা৷ তবে এটা ঠিক তারা এটাকে নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করা এবং দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় হিসেবেও মনে করে৷ স্ত্রীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি৷
ছবি: picture-alliance/F. Lanting
প্রতি ৫টির মধ্যে একটি রাজহাঁস সমকামী
অনেক পাখিদের মতো রাজহাঁসরাও একগামী এবং বছরের পর বছর ধরে তারা এক সঙ্গীর সঙ্গে কাটিয়ে দেয়৷ এদের মধ্যে অনেকেই সঙ্গী হিসেবে সমলিঙ্গের হাঁসকে বেছে নেয়৷ শতকরা ২০ ভাগ রাজহাঁস সমকামী এবং তারা প্রায়ই পরিবার গঠন করে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/P. Frischknecht
সিন্ধুঘোটক
পুরুষ সিন্ধুঘোটক চার বছর বয়সের আগে যৌনসক্ষমতা লাভ করে না৷ এর আগ পর্যন্ত তাদের প্রায় সবাই সমকামী থাকে৷ যখন তাদের চার বছর হয় তখন হয় তারা উভগামী হয়, না হলে কেবল প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী সিন্ধুঘোটকদের সঙ্গে মিলিত হয়৷
ছবি: imago/Nature in Stock
ভেড়াদের পছন্দ
গবেষণায় দেখা গেছে, একটি পুরুষ ভেড়ার পালের ৮ ভাগ ভেড়াই সঙ্গী হিসেবে পুরুষদের পছন্দ করে, এমনকি প্রজননের সময়ও৷
ছবি: Getty Images/M. cardy
10 ছবি1 | 10
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এলজিবিটি মানুষরা এই কার্নিভালে যোগ দিতে এসেছিলেন নানা ধরনের হস্তশিল্পের পশরা নিয়ে৷ সেইসব ঝুটো গহনা আর সাজগোজের জিনিস নিয়ে লোকের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো৷ বেশ কয়েকজন বিদেশিকে দেখা গেল, যাঁরা এলজিবিটি গোষ্ঠীভুক্ত এবং এসেছেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে৷ এছাড়া কৌতুহলী লোকজন, এলাকার বাসিন্দা, পথচলতি মানুষ তো এসেইছেন দিনভর৷ এর থেকে কি মনে হয় এলজিবিটিদের সম্পর্কে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে? কৌস্তভ এখনই অতটা আশাবাদী নন৷ কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিতভাবেই ঘটছে বলে তিনি জানালেন৷ ভিজিবিলিটি বাড়ছে৷ এখন অনেক বেশি দৃশ্যমান হচ্ছেন এলজিবিটি মানুষজন৷ তাঁরা ভয় পাচ্ছেন না, সঙ্কোচ কাটিয়ে উঠছেন৷ এটা শুনতে যতই সাধারণ বা সামান্য মনে হোক, এমনটা ঘটছে এবং সমাজও খুব ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এঁদের দেখতে৷ এবং কখনও কখনও এগিয়ে এসে কথাবার্তা বলতেও শুরু করছে৷ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, বললেন কৌস্তভ৷
সমকামী বিয়ে বৈধ যে সব দেশে
এ পর্যন্ত কোন কোন দেশের জনগণ সমকামীদের মধ্যে বিয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন বা কোন দেশে সমকামী বিয়ে বৈধতা পেয়েছে, সে তথ্যই তুলে ধরা হলো ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Becerra
নেদারল্যান্ডস
বিশ্বে সর্বপ্রথম সমকামী বিয়ে বৈধ হয় এই দেশে৷ ২০০০ সালে বৈধতা পাওয়ার পর ২০০১ সালে সমকামী বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/T. Linkel
কলম্বিয়া
২০১৬ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rubio
আয়ারল্যান্ড
২০১৫ সালে গণভোটের মাধ্যমে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায় এই দেশে৷
ছবি: picture-alliance/empics/N. Carson
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী বিয়ে বৈধ হয় ২০১৫ সালে৷
ছবি: Getty Images/S. Platt
স্কটল্যান্ড
২০১৪ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধ হয়৷
ছবি: Reuters/R. Cheyne
ফিনল্যান্ড
২০১৫ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধ হয়৷
ছবি: dapd
লুক্সেমব্যর্গ
২০১৪ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/J. Pigozne
গ্রিনল্যান্ড
২০১৫ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: Reuters/L. Jackson
ফ্রান্স
২০১৩ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: Reuters/R. Duvignau
ইংল্যান্ড, ওয়ালস
২০১৩ সালে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায় এখানে৷
ছবি: Getty Images
ব্রাজিল
২০১৩ সালে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: AFP/Getty Images
উরুগুয়ে
২০১৩ সালে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায় এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. I. Mazzoni
ডেনমার্ক
২০১২ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: Reuters/A. Kelly
আইসল্যান্ড
২০১০ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/K. Irlmeier
পর্তুগাল
২০১০ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J.M. Ribeiro
আর্জেন্টিনা
২০১০ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: Imago/Agencia EFE/M. Arduin
সুইডেন
২০০৯ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/robertharding
নরওয়ে
২০০৮ সালে এখানে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: AFP/Getty Images/O. Morin
দক্ষিণ আফ্রিকা
২০০৬ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: DW
স্পেন
২০০৫ সালে এখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিউজিল্যান্ড
২০১৩ সালে এখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/Air New Zealand
বেলজিয়াম
২০০৩ সালে এখানে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Ghirda
ক্যানাডা
২০০৫ সালে দেশটিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷
ছবি: Getty Images/D.Pensinger
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় সমকামীদের বিয়ে বৈধতা পেয়েছে। ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রতিনিধি পরিষদে এ-সংক্রান্ত বিল পাস হয়৷ এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৬টি এবং বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৪টি ভোট৷ এর আগে ১৫ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস বা এবিএস ঘোষণা করে যে, দেশটির জনগণ সমকামী বিয়ের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন৷ সমকামী বিয়ে বৈধতা আইনে গণভোটের পক্ষে ভোট দেন ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan
অস্ট্রিয়া
২০১৭ সালে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সমকামী বিয়ের অধিকারের পক্ষে রায় দেয়৷ ২০১৯ সাল থেকে তা কার্যকর হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Bruna
জার্মানি
২০১৭ সালের ৩০শে জুন জার্মানিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়৷ অর্থাৎ ইউরোপের ১৫তম দেশ হিসেবে জার্মানিতে সমকামী বিয়ে বৈধতা পেল৷ জার্মান পার্লামেন্টে এর পক্ষে ৩৯৩টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে পড়ে ২২৬টি ভোট৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী পার্টি সমকামী বিয়ের বিপক্ষে থাকলেও, সংসদীয় নির্বাচনের ক’মাস আগে হঠাৎ করেই ম্যার্কেল ঘোষণা করেন যে, এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে৷
ছবি: Reuters/A. Schmidt
মাল্টা
২০১৭ সালের জুলাই মাসে মাল্টায় সমকামী বিয়ে বৈধতা পায়, যদিও এর বিরোধিতা করেছিল ক্যাথলিক চার্চ৷
ছবি: Reuters/D. Zammit Lupi
বলিভিয়া
২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধন করে সমকামী বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বলিভিয়া৷ কিন্তু ২০১৬ সালে তারা ট্রান্সজেন্ডারদের নানারকম অধিকার দেয়াকে সমর্থন করে৷ দুই বছরের আইনী লড়াইয়ের পর ২০২০ সালে দেশটিতে এক সমকামী যুগল বিয়ের স্বীকৃতি পায়৷
ছবি: Reuters/D. Mercado
তাইওয়ান
২০১৯ সালের ১৭ মে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তাইওয়ানের সংসদ সমকামী বিয়েকে আইনগত বৈধতা দিয়ে একটি বিল পাস করে৷ ফলে সে দেশের সমকামীরা এখন তাদের বিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন৷