1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতা পুরসভা নির্বাচন: লড়াইয়ের সমীকরণ

পায়েল সামন্ত কলকাতা
২৭ নভেম্বর ২০২১

১৯ ডিসেম্বরের কলকাতা পুরসভা নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সব পক্ষ৷ কতটা ফেভারিট তৃণমূল, বিজেপি থেকে ভোট ফেরাতে পারবে বামেরা? চলছে এমন আলোচনা৷

কলকাতা পৌরসভা নির্বাচন
ছবি: Payel Samanta/DW

ফের ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে৷ এবার স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ পুরসভা নির্বাচন৷ বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতায় ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে৷ ১৯ ডিসেম্বর ১৪৪ ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ করা হবে৷ ভোটার সংখ্যা ৪০ লক্ষের উপরে৷ মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি, দৌড়ে রয়েছে বামেরাও৷

রাজ্য সরকার সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দেয়, তারা ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট চায়৷ কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে চেয়েছিল৷ এই নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে৷ তারই মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করেন৷ তিনিও সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করার পরামর্শ দেন৷ কমিশন রাজ্যের প্রস্তাব ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করলেও হাওড়ায় আপাতত ভোট হচ্ছে না৷ হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল বিধানসভার গত অধিবেশনে পাশ হলেও রাজ্যপাল এখনও তাতে স্বাক্ষর করেননি৷ তার সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত ভোট হবে না হাওড়ায়৷

রজত রায়

This browser does not support the audio element.

এমনই পারিপার্শ্বিক সংঘাতের মধ্যে আরো এক রাজনৈতিক লড়াইয়ের সাক্ষী হতে চলেছে কলকাতা৷ বাম আমলেও এই মহানগর ছিল কংগ্রেসের মজবুত ঘাঁটি৷ মোটামুটি সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার সব আসনে শাসক দল জিতেছে৷ সম্প্রতি পরপর উপনির্বাচনে বিপুল জয় সত্ত্বেও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব ঘোষিত ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি থেকে কিছুটা সরে এসেছে তারা৷ ঘোষিত ১৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ছয় বিধায়ক ও এক সাংসদ রয়েছেন৷

কী কারণে নীতির সঙ্গে আপোস করল তৃণমূল? বিশিষ্ট সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এতগুলি আসনে ভাল প্রার্থী খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ এছাড়া দলের ভেতর একটা টানাপোড়েন তো থাকেই৷ একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে, পুর প্রশাসন চালাতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রশাসকদের প্রয়োজন হয়৷'' বিশিষ্ট সাংবাদিক রজত রায়ের মতে, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলি এ ধরনের নীতি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ঘোষণা করে৷ তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে কোনো সাংগঠনিক পদ নেই? যদি সত্যিই দলের এই নীতিতে বিশ্বাস থাকত, তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে সেটাকে এড়িয়ে পছন্দসই নেতাদের একাধিক পদ দিতে পারত না৷’’

পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো নির্বাচনে সাংগঠনিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ৷ তৃণমূলকে টেক্কা দিতে বিজেপি তাদের ভোট সেনাপতিদের দায়িত্ব দিয়েছে৷ প্রত্যেকটি ব্যুরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক একজন নেতাকে৷ তৈরি হয়েছে প্রচার কমিটি৷ প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী থেকে সাংসদ অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়রা দায়িত্ব পেয়েছেন৷ প্রার্থী আবেদন চেয়ে বাক্স রাখা হয়েছিল বিজেপির সদর কার্যালয়ে৷ ১৪৪ আসনে পাঁচশোর বেশি আবেদন জমা পড়েছে৷ সূত্রের খবর, বিজেপির প্রার্থী তালিকায় গুরুত্ব পেতে পারেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা৷ শনিবার এ নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপি৷ দ্রুত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তারা৷

শুভাশিস মৈত্র

This browser does not support the audio element.

বিধানসভা ভোটের মতো এই নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হচ্ছে না৷ দুই শিবির আলাদাভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ শুক্রবার বামেরা ১২৭ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে৷ ১৭টি আসন তারা কংগ্রেস ও সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির জন্য ফাঁকা রেখেছে৷ বামেদের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে শুভাশিস মৈত্র বলেন, ‘‘শান্তিপুরের উপনির্বাচনে এককভাবে লড়ে সিপিএম ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ খড়দহে ফল ভালো হয়েছে৷ সে কারণে হয়তো বামেরা একা লড়তে উৎসাহী৷ তাছাড়া বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে খোয়ানো ভোট ফেরানোর আশাও করছে তারা৷ বিশেষত বিজেপির কোনো স্থায়ী ভোট ব্যাংক নেই এবং এখন তারা কিছুটা ব্যাকফুটে৷’’

যদিও কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কল্লোল মজুমদার বলেছেন, ‘‘আমরা ৭২ আসনে জিতে বোর্ড গঠনের দাবি করছি না৷ ৪০-৪৫ আসনে লড়াইয়ের জায়গায় আছি৷’’ যদি নেতৃত্বই এ কথা বলেন, তা হলে ভোটাররা কতটা আস্থা রাখবেন বামেদের উপর? রজত রায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বামেরা হেরেই আছে বলা যায়৷ তবে তারা তরুণ ও সক্রিয় নেতৃত্বকে সামনে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ তাতে কোনো ফল হয় কিনা সেটা দেখার৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ