1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতা বইমেলার শেষ দিন আজ

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

আজ রোববার শেষ হচ্ছে ৩৫-তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা৷ বাংলা এবং অন্যান্য ভাষার বইয়ের বাৎসরিক উৎসব৷

গত বছরের বইমেলার দৃশ্যছবি: DW

এবারের কলকাতা বইমেলা বেশ কিছু কারণে অভিনবত্বের দাবি রাখে৷ প্রথমত, এবার বইমেলায় ঢুকতে কোনো টিকিট কাটতে হয়নি৷ কারণ বইমেলার উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড-এর আর্জি মেনে নিয়ে তাদের বেসরকারি অব্যবসায়িক সংস্থা বা এনজিও হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার৷ সেই সুবাদে বেশ কিছু কর ও শুল্ক দেওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছিল গিল্ড৷ সেই আর্থিক সুবিধেটা বইপ্রেমীদের কাছেও পৌঁছে দিতে টিকিট তুলে দেওয়া হল বইমেলা থেকে৷

এছাড়া এবারই প্রথম বইমেলা আলোকিত হল সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে৷ সাধারণ মানুষকে বিকল্প শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করাই ছিল উদ্দেশ্য৷ পাশাপাশি এটাও বোঝা গেল যে গত বছর হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বইমেলা অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

তবে পরিকাঠামোগত বেশ কিছু অসুবিধে এবারও পীড়িত করেছে বইমেলাকে৷ তার মধ্যে এক যদি হয় বাইরের ব্যাপক যানজট এবং প্রবল ধুলো, অন্যটা অবশ্যই মেলাপ্রাঙ্গনে বইয়ের স্টলের বিন্যাসে পরিকল্পনার অভাব৷ অনেক বিক্রেতাকেই এ নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা গেছে৷ তবে বই বিক্রির হিসেবে তাদের অনেকটাই পুষিয়ে গেছে৷ যেমন বলছিলেন তালপাতা প্রকাশন সংস্থার গৌতম সেনগুপ্ত৷ প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন নবীন প্রকাশক হিসেবে এবার পুরস্কৃত হয়েছে তালপাতা৷ তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, নতুন ধাঁচের বইমেলার সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন নতুন প্রকাশকেরা৷ গৌতমবাবু জানালেন, এই মেলায় তাঁদের মত অন্য ধারার প্রকাশকদের অন্তত খুব সুবিধে হয়েছে৷ যাঁরা সিরিয়াস পাঠক, তাঁরা ঠিক খুঁজে এসে বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন৷

৩৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম দেশ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মাক্সমুলার ভবনের এবারের বইমেলায় না থাকা অনেকেরই চোখে পড়েছে৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ