কলকাতা বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ এবার বাংলাদেশ দিবস৷ বইমেলার শেষদিনে হবে এই বাংলাদেশ দিবস৷
বিজ্ঞাপন
যদি লোক আসার হিসাব ধরা হয় তো কলকাতা বইমেলা বিশ্বের বৃহত্তম৷ গত বছর বইমেলায় পা রেখেছিলেন ২৪ লাখ লোক৷ ২১ কোটি টাকার বই কেনাবেচা হয়েছিল৷ বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলায় এ বার শেষদিনে হবে বাংলাদেশ দিবস৷ কলকাতা বুক ফেয়ারের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ''আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর৷ বাংলাদেশ দিবসে সেই উপলক্ষে থাকবে বিশেষ আলোচনা৷''
কলকাতা বইমেলায় এ বার বাংলাদেশের বিপুল উপস্থিতি থাকবে৷ বইমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''একটা গোটা প্যাভিলিয়ন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকাশকদের জন্য৷ সেখানে ৩৮ থেকে ৪০টা স্টল হতে পারে৷ ফলে বাংলাদেশের বই প্রচুর পরিমাণে পেতে কোনও অসুবিধা হবে না৷''
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভেলিয়নটি প্রতিবছরই কোনো ঐতিহ্যশালী স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি হয়৷ ৪৩তম কলকাতা বইমেলায় এবার ঢাকার ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন প্যালেসের আদলে তৈরি হয়েছে বংলাদেশের প্যাভেলিয়ন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
স্মারক স্থাপত্য
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রোজ গার্ডেন প্যালেস একটি ঐতিহাসিক স্মারক৷ ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লিগের পত্তন হয় এ বাড়িতে৷ তারই আদলে কলকাতা বইমেলায় এবার বাংলাদেশের প্যাভেলিয়ন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিও ক্লাসিকাল
রোজ গার্ডেন প্রাসাদের নিও–ক্লাসিকাল স্থাপত্যে মিশে গেছে ইওরোপীয় শিল্পরীতি, যা ধরা পড়ে এর করিন্থিয়ান স্তম্ভগুলিতে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিখুঁত নকল
শোলা এবং থার্মোকলের সাহায্যে তৈরি এই প্যাভেলিয়নের শিল্পকৃতি এত নিখুঁত যে, দূর থেকে আসল বলে ভ্রম হতে পারে!
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
আলাদা আকর্ষণ
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের বইয়ের বাড়তি আকর্ষণ৷ তাই সবসময়ই ভিড় থাকে প্যাভেলিয়নের ভেতরে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ইতিহাসের খোঁজে
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের স্টলটি এবার বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে ইতিহাস-সন্ধানী পাঠকদের৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ইসলামি গ্রন্থ
বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলটিতেও বরাবরই নিবিষ্ট পাঠকদের ভিড় থাকে৷ তাঁরা ধর্ম বিষয়ে আরও গভীরে জানতে চান৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
জীবন্ত ইতিহাস
বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নের সুবাদেই প্রতি বছর সেদেশের এক একটি ঐতিহাসিক, ঐতিহ্যশালী ইমারত সম্পর্কে জানার সুযোগ পান পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা৷
বাংলাদেশের বইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বইপ্রেমীদের একাংশ উন্মুখ হয়ে থাকেন৷ যেমন প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''বাংলাদেশে ভাষাচর্চা, বাংলা বানান, ব্যকরণ নিয়ে অসাধারণ কাজ হচ্ছে৷ আমাদের থেকে ওরা এ ব্যাপারে এগিয়ে আছে৷ কয়েক বছর আগে বাংলা শব্দের ব্যুৎপত্তি অভিধান বেরিয়েছিল৷ দুর্দান্ত কাজ৷ আমি তো বাংলাদেশের স্টলে গিয়ে এই ধরনের বই দেখা ও কেনার জন্য মুখিয়ে আছি৷''
কলকাতা বইমেলা: মেলার চেয়েও বেশি কিছু
চলতি কথায় বলা হয়, ‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন’৷ সেই ত্রয়োদশ পার্বনটি যে এই বইমেলা, সে নিয়ে কিন্তু কোনো তর্ক নেই৷ আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার মেনে যে মেলার শুরু হয় জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
হাসিমুখের সারি
বই ভালবাসেন যাঁরা, বইমেলায় এলেই তাঁদের মুখ হাসিতে ভরে যায়৷ পছন্দের বইটি খুঁজে পাওয়ার তৃপ্তি থাকে চোখে-মুখে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বাংলার ছবি
এবারের কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভেলিয়নটি তৈরি হয়েছে বাংলার চিরন্তন পোড়ামাটির একচালা মন্দিরের আদলে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কবিতার গাড়ি
ভ্যান রিকশার অদলবদল করে সাজানো কবিতার গাড়ি৷ নতুন বই কেনার পাশাপাশি কবিদের স্বকণ্ঠে কবিতা পাঠ শোনার সুযোগ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বাউল গান
বইমেলার পশ্চিমবঙ্গ প্যাভেলিয়ন৷ তার সামনে বসছে বাউল গানের আসর৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ভ্রাম্যমান
সব বই যে দোকান থেকে বিক্রি হয়, তা নয়৷ এরকম অনেকেই মেলার মাঠে ঘুরে ঘুরে বই, ছোট পত্র-পত্রিকা বিক্রি করেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
চেনা ছবি
নামি প্রকাশকের স্টলের বাইরে ক্রেতাদের সারিবদ্ধ অপেক্ষা৷ যত দিন এগোয়, এই সারি দীর্ঘ হতেই থাকে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সুখাদ্যে ঝোঁক
বইমেলায় সমান জনপ্রিয় রকমারি খাবারের দোকান৷ বই কেনার ফাঁকে খাওয়াদাওয়া চলে জমিয়ে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এবং অন্যরকম
সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে! প্রচলিত বৈজ্ঞানিক ধারণার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজস্ব মত প্রতিষ্ঠার এই চেষ্টা চলছে বহু বছর ধরে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ছোটর দাপট
ছোট পত্র-পত্রিকার নিজস্ব রাজ্যপাট৷ নামেই ছোট, কিন্তু বিশ্বাসে এবং জনপ্রিয়তায় মোটেই ছোট নয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
প্রান্তজনেরা
ছবি আঁকিয়েদের কোনো অজ্ঞাত কারণে সরিয়ে রাখা হয় মূল মেলা থেকে৷ রাস্তার ধারে বসেন ওঁরা, কিন্তু মাথা ঝুঁকিয়ে নয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
পড়শিদেশের বই
বাংলাদেশের বই নিয়ে বিপুল আগ্রহ দেখা যায় প্রতি বছরই৷ এবারও তার ব্যতিক্রম নয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মেলার স্মৃতি
ওঁরা বই কেনেন, বাড়তি হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যান নিজেদের ছবি৷ বইমেলায় সেল্ফি তোলাও এখন বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
12 ছবি1 | 12
এ বার বইমেলায় থিম কান্ট্রি হল রাশিয়া৷ ৪৪ বছরে এই প্রথম রাশিয়া থিম দেশ হচ্ছে৷ আর সেই উপলক্ষে রুশ সরকার একটা নতুন প্রকল্প চালু করেছেন৷ দিল্লিতে রুশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি টটোরভ জানিয়েছেন, রুশ বই এর বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে আবার তারা সাহায্য করছেন৷ বইমেলায় এরকম কয়েকটি বই প্রকাশিত হবে৷ ভবিষ্যতেও তা চলবে৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে সে দেশের সাহিত্যের ঢালাও বাংলা অনুবাদ হত এবং সেগুলির মানও খুব ভালো ছিল৷ কিছুদিন বনধ থাকার পর আবার সেই অনুবাদ শুরু হবে, এটা নিঃসন্দেহে সুখবর৷