1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতা বইমেলা এবারে আরও আকর্ষক হয়ে উঠছে

১৭ নভেম্বর ২০১১

কলকাতা বইমেলাতেও এবার পরিবর্তনের হাওয়া৷ কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানালেন এবারের একেবারেই অন্য ধাঁচের বইমেলার কথা৷

কলকাতা বইমেলায় ডয়চে ভেলের স্টলে শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)ছবি: DW

এবারের কলকাতা বইমেলার অতিথি দেশ হচ্ছে ইটালি৷ ইতিহাস থেকে ভাস্কর্য, শিল্প থেকে আধুনিকতা কিংবা ফুটবলের জন্য বিখ্যাত, ইউরোপের বেশ গুরুত্বপূর্ণ দেশটিকে এবারের বইমেলায় অতিথি হিসেবে পেয়ে কলকাতা বইমেলার আসর অবশ্যই খুশি৷ সে প্রসঙ্গ জানিয়ে কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স  গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, এবারের মেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি নিয়ে৷ যার মধ্যে অন্যতম, বইমেলার জন্য এক বিশেষ পরামর্শ পরিষদ প্রসঙ্গে৷

গত অগাস্টে পশ্চিমবঙ্গের নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিল গিল্ড৷ সে সময়েই তাঁর অনুমতি নিয়ে গিল্ডের তরফে এক বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, যাতে নামজাদা লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সহ শিল্পী যোগেন চৌধুরী প্রমুখেরা অংশগ্রহণ করছেন৷ তাঁদের পরামর্শ মোতাবেক মেলাকে এবারে কতগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্যে ভাগ করা হয়েছে৷ মেলার একেকটি ক্লাস্টার বা দিকের নাম রাখা হয়েছে সাহিত্য বা শিল্পজগতের অবিস্মরণীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাল রেখে৷ যেমন আনন্দ পাবলিশার্সের স্টল পাওয়া যাবে আরণ্যক -এ৷ যা কিনা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি৷ সেরকমই গীতাঞ্জলি, বুড়ো আংলা কিংবা পথের দাবি৷ এরকম লব নামের ক্লাস্টার থাকবে মেলায়৷

বইমেলার আয়োজকদের কয়েকজন, ডয়চে ভেলের স্টলে (ফাইল ছবি)ছবি: DW

বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় শোনালেন, বাংলাদেশের নামজাদা কিছু কথা সাহিত্যিক এবারের মেলায় হাজির থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ বললেন, মহাকরণে যখন বাংলাদেশের পরাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন, তখন কলকাতা বইমেলাও চাইছে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে৷ বাংলাদেশকে আরেকবার অতিথি দেশ হিসেবে বইমেলায় আনা যায় কিনা, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ৷ তাঁরা চাইছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সময়েই হয়তো সামনের বছর বা তার পরের বছর বাংলাদেশকে বিশ্বের বড়মাপের এই বইমেলার অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সে সময়ে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি নিয়েও দুই নেত্রীর মধ্যে আলোচনা হবে৷ বইমেলার আয়োজকরা সে সময়েই বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ