দক্ষিণ অ্যামেরিকার অ্যান্ডিজ পর্বতমালা৷ এখানে প্রকৃতির সবুজের অনেকটাই উধাও৷ কাজেই স্থানীয় চাষিদের টেকসই, পরিবেশ-সম্মত অথচ অনাগ্রাসী প্রযুক্তি সম্পন্ন চাষবাস শেখানোর চেষ্টা চলেছে৷
বিজ্ঞাপন
পরিবেশ-সম্মত চাষ শেখানোর চেষ্টা কলম্বিয়ায়
05:19
এ কাজে পানি বাঁচাতে হবে৷ তাই অ্যান্ডিজ পর্বতমালার চাষিখামারগুলোতে ক্রমেই আরো বেশি করে জল চোঁয়ানোর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে৷ খামারচাষিরা চারাগাছগুলোর গোড়ায় পানি দিচ্ছেন৷ গোটা প্রণালীটা লাগানোর জন্য যে এক হাজার ইউরো ধার নিতে হয়েছে, তা এক বছরের মধ্যেই উশুল হয়ে গেছে৷
মানুষজনকে তাদের মনোভাব বদলাতে হবে, বলে ব্যাংক উপদেষ্টা আনা ক্রিস্টিনার অভিমত৷ তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে পড়াশুনা করেছেন৷ দেখালেন, উপত্যকাগুলিতে গাছপালা কিভাবে ধীরে ধীরে উধাও হয়েছে৷
কন্টাক্টার ব্যাংকের গ্রাহক উপদেষ্টা আনা ক্রিস্টিনা জামোরা বলেন, ‘‘এখানে যেমন সব কিছু ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে আর কোনো সবুজ বাকি নেই৷ ওখানে এখনো মানুষ থাকে, কিন্তু কিছুই আর প্রায় গজায় না৷ পরিবারের মানুষজনের পেট ভরানোর মতো রুটি তৈরির ময়দাটা হয়, কিন্তু তার বেশি কিছু নয়৷’’
তরুণ ব্যাংক কর্মীরা ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে থাকেন, আবার তাঁরা পরিবেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টাও বটে – সেই হিসেবে তাঁরা জাতিসংঘের একটি কর্মসূচির অঙ্গ৷ সমগ্র অ্যান্ডিজ পার্বত্য এলাকার জন্য জার্মান তরফ থেকে এই কর্মসূচি সৃষ্টি করা হয়েছে৷ ব্যাংক কর্মীদের কাজ হলো, তারা দেখবেন ও শিখবেন৷
বৃষ্টির অভাব নেই
ডন গাব্রিয়েল চিকেইসা-এর এখানে বৃষ্টির কোনো অভাব নেই৷ তিনি চারপাশের জঙ্গল কাটতে দেননি৷ গাব্রিয়েল চিরকালই পানির অপচয় সম্পর্কে আদিবাসী ইন্ডিও-দের মতোই সচেতন৷ অ্যান্ডিজ পর্বতমালা অঞ্চলের অন্যান্য চাষিদের জলকষ্ট সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু শুনেছেন বটে, কিন্তু নিজে অভিজ্ঞতা করেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সে সমস্যা নেই, কেননা এখানকার পানি আসে ওপর থেকে, যেখানে চিরকালই পানি থাকে৷ আমরা সেই পানি জড়ো করি; সেই পানি আবার গাছের মূল, কাণ্ড, ডালপালা হয়ে সেখানেই ফিরে যায়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নিজেদের বাঁচাতে হলে এই প্রণালীটা উপলব্ধি করা দরকার৷’’
কলম্বিয়ার এই অংশে ব্যাংক উপদেষ্টা বললে গালিগালাজ শুনতে হয় না৷ কন্টাকটার ব্যাংকের উপদেষ্টারা গাড়িতে দূর পথ গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে, অথবা যারা গ্রাহক হতে পারেন, এমন মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন৷ চাষিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এই ব্যাংক কর্মীরা৷ আজকের বিষয় হলো, রাসায়নিক সারের বদলে অরগ্যানিক সারের ব্যবহার৷
সব চাষিই যে ঋণ নিতে প্রস্তুত, এমন নয়, তা সে ঋণ যতোই ক্ষুদ্র হোক না কেন৷ জোসে দে লা ক্রুজ নিজেই বহুকষ্টে টাকা বাঁচিয়ে তাঁর গরুটিকে কিনেছেন৷ জোসে বলেন, ‘‘একবার ঋণ নিলে ওদের কাছে বাঁধা পড়তে হয়৷ গরুর জন্যে ২০ লাখ পেসো ছাড়া আমি ৫০ হাজার পেসো সুদ দিতে যাব কোন দুঃখে?’’
মুরগির বিষ্ঠা থেকে সার
ইউরোপের তুলনায় এখানে সুদের হার সত্যিই বেশি৷ কিন্তু এক হাজার ইউরো খরচ করলে এমন একটা স্টোভ কিনতে পাওয়া যায়, যাতে মাত্র এক-চতুর্থাংশ কাঠ লাগে – অর্থাৎ কাজ কমে, আবার জঙ্গলের কাঠও বাঁচে৷ সবজি চাষি জুয়ান জিসাস আকস্তা আর তার পরিবারের পক্ষে সেটা একটা সাশ্রয় বৈকি৷ তবে তারা ইতিমধ্যেই ব্যাংকের ভালো খদ্দের বলে পরিচিত, তাই তাদের সুদের হার পাঁচ শতাংশের নীচে৷ শেষবার ঋণ নিয়ে জুয়ানের পরিবার মুরগি কিনেছেন৷ মুরগির বিষ্ঠা থেকে ভালো অরগ্যানিক সার হয়৷ জুয়ান বলেন, ‘‘আমরা যদি তা গরম থাকতেই মাটিতে ছড়াই, তাহলে ভালো সার হয়, আবার এ থেকে পয়সাও পাওয়া যায়৷’’
এই চাষি পরিবারের আসল কাজ হলো সবজির চাষ৷ তা যখন ভালো চলে না, তখন রোজগারের অন্য একটা পথ রইল৷ কন্টাকটার মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের পরিচালক গ্লোরিয়া লুচিয়া বুস্তস বলেন, ‘‘এটা হলো চাষিদের সাহায্য করার একটা পন্থা৷ এরকম আরো অনেক পন্থা আছে, যেমন পরিবেশ-সম্মত কাঠের উনুন, গোবরগ্যাস তৈরির সরঞ্জাম, কফি বিন শুকনোর সৌরশক্তি চালিত ড্রায়ার, পানি ধরে রাখার চৌবাচ্চা৷ এভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যও সরবরাহ করি৷’’
কলম্বিয়ায় কৃষিকাজের ভবিষ্যৎ এদের হাতে: নারিনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশ-সম্মত কৃষিকাজের পদ্ধতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাচ্ছেন৷ মাটিতে লাঙল না ঠেকিয়ে চাষ, এই আদর্শ ফিনকা বা খামারে তা শেখা যায়৷ ভবিষ্যতে চাষিরাও এখানে শিখতে পারবেন, টেকসই কৃষিকাজের সঙ্গে অনাগ্রাসী প্রযুক্তির গাঁটছড়া পড়ে কি করে, তা দেখতে পারবেন৷
পানির উপর হচ্ছে সবজি চাষ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের বেশিরভাগই বছরের পুরোটা সময় জলাবদ্ধ থাকে৷ এ সব গ্রামের মানুষেরা ভাসমান পদ্ধতিতে গাছের চারা এবং সবজি উৎপাদন করে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছেন৷
ছবি: DW
কৃষকের কৌশল
বছর জুড়েই জলাবদ্ধতা, সাথে কচুরিপানার মিছিল৷ ফলে পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক উপায়ে কৃষিকাজ কার্যত অসম্ভব৷ তবে বৈরী এই পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে নাজিরপুরের কৃষকরা নিজেদের কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষিকাজ৷
ছবি: DW
ভাসমান কৃষিক্ষেত্র
নাজিরপুরের মুগাঝোর এলাকার জলাভূমিতে ভাসমান কৃষিক্ষিত্র৷ নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ধাপ’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন এ সব এলাকার মানুষরা৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ‘কৃষি ঐতিহ্য অঞ্চল’ হিসেবেও স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে নাজিরপুরে উদ্ভাবিত ভাসমান পদ্ধতির এ চাষাবাদ৷
ছবি: DW
যেভাবে তৈরি হয় ধাপ
নাজিরপুরের পানিতে ডোবা নিম্নাঞ্চল কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যাওলা ও বিভিন্ন জল সহিষ্ণু ঘাসসহ নানান জলজ উদ্ভিদে ভরপুর৷ এ সব জলজ উদ্ভিদকে স্তূপ করে পচিয়ে তারা তৈরি করেন ভাসমান এক ধরণের ধাপ৷ এই ভাসমান ধাপের উপরেই চাষাবাদের এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তাঁরা৷
ছবি: DW
পুরনো ধারা
কৃষি জমির বিকল্প হিসেবে জলাশয়ে ভাসমান চাষাবাদ দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে এ অঞ্চলে৷ কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদ্ধতিতে কৃষির উৎপাদনশীলতা জমির চেয়ে ১০ গুণ বেশি৷
ছবি: DW
জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ
ধাপ পদ্ধতির এ চাষাবাদ হয় সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে৷ রাসায়নিক সারের ব্যবহার নেই বললেই চলে৷ ফলে উৎপাদন খরচও কম এবং স্বাস্থ্যকর৷
ছবি: DW
ভাসমান বীজতলা
জলাভূমিতে প্রথমে কচুরিপানা, শ্যাওলা ও বিভিন্ন জলজ ঘাস স্তরে স্তরে সাজিয়ে দুই ফুট পুরু ধাপ বা ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়৷ এগুলো কয়েকদিন ধরে পচানো হয়৷ একেকটি ভাসমান ধাপ ৫০-৬০ মিটার লম্বা ও দেড় মিটার চওড়া হয়৷
ছবি: DW
চাষ করা যায় অনেককিছু
ভাসমান এ সব ধাপে সাধারণত লাউ, সিম, বেগুন, বরবটি, করলা, পেঁপে, টমেটো, শশা, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, মরিচ ইত্যাদি শাকসবজি ও মশলার চারা উৎপাদন করে থাকেন কৃষকরা৷ অনেক কৃষক আবার লাল শাক, ঢেঁড়স, হলুদ ইত্যাদিও চাষ করে থাকেন৷
ছবি: DW
নেই কোনো কৃষিঋণের ব্যবস্থা
মুগারঝোরের চাষীদের জন্য কৃষি ঋণের কোনো ব্যবস্থা নেই৷ স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে চরা হারে সুদ নিয়ে গরিব এ চাষীরা তাঁদের কৃষি কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন৷ স্থানীয় কৃষক আশুতোষ জানান, সরকার সহজশর্তে ঋণ দিলে তাঁরা ভাসমান এ চাষাবাদের আরও বিস্তৃতি ঘটাতে পারবেন৷
ছবি: DW
বিক্রি হয় কচুরিপানা
নাজিরপুরের মুগারঝোরে নৌকা বোঝাই কচুরিপানা নিয়ে ক্রেতার খোঁজে এক বিক্রেতা৷ এক নৌকা কচুরিপানা সাধারণত বিক্রি হয় ২-৩ হাজার টাকায়৷ এছাড়া নাজিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় এসব কচুরিপানার হাটও বসে৷
ছবি: DW
9 ছবি1 | 9
শিক্ষিত তরুণরা কৃষিকাজের দিকে ঝুঁকছেন
দক্ষিণ এশিয়ায় পড়াশোনা বা চাকরির আশায় অসংখ্য তরুণ যখন শহরমুখী, তখন কেনিয়ার বহু শিক্ষিত তরুণই কিন্তু লেখাপড়া শেষে চাকরি পাবার আশায় বসে না থেকে কৃষিকাজ ও পশুপালনের মতো কাজ করছেন৷ তাঁদের মতে, কৃষিকাজ এখন একটা ব্যবসা৷
ছবি: Jeroen van Loon
ক্যারিয়ার পরিবর্তন
ভালো চাকরি বলতে যেসব পেশাকে বোঝায়, তেমন চাকরি খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়ে কেনিয়ার অনেক শিক্ষিত তরুণ এখন কৃষিকাজ ও পশুপালনের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন৷ এই যেমন ছবির বাম দিকের তরুণটির নাম ফ্রান্সিস কিমানি৷ ৩০ বছরের এই তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পড়াশোনা শেষ করে কোনো চাকরি না পেয়ে এখন একটি খামার পরিচালনা করছেন৷ খামারে একশোর বেশি গরু ও প্রায় ২০০ ভেড়া ও ছাগল রয়েছে৷
ছবি: J. van Loon
কৃষক হয়ে বেশি আয়
খামার থেকে কিমানির আয় প্রতিমাসে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা৷ চাকরি করলে বেতন হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ পাওয়া সম্ভব ছিল না৷
ছবি: J. van Loon
নারীরাও এগিয়ে আসছেন
৩০ বছরের মেরি গিতাউ পড়াশোনা শেষে চাকরি পাচ্ছিলেন না৷ শেষে তিনিও কৃষিকাজ শুরু করে দেন৷ ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, টমেটো চাষের পাশাপাশি গিতাউ মুরগি, শুকর ও খরগোশ লালন-পালন করেন৷
ছবি: J. van Loon
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
অ্যাকুয়াপোনিক্স ব্যবস্থার মাধ্যমে একসঙ্গে স্ট্রবেরি ও মাছ চাষ করছেন দানিয়েল কিমানি৷ তিনি মনে করেন, চাষের ক্ষেত্রে নতুন এই ব্যবস্থা আরও জনপ্রিয় হবে৷ কেননা এর ফলে পানি ও জায়গার অভাব দূর করা সম্ভব৷ অ্যাকুয়াপোনিক্স ব্যবস্থায় একটি ট্যাংকের পানিতে মাছ চাষের পাশাপাশি পানির ওপরে কোনো কিছু জন্মানো যায়৷
ছবি: Jeroen van Loon
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার
কৃষিকাজে শিক্ষিত তরুণরা আশায় পণ্য বিক্রি ও বাজারজাতকরণে এসেছে নতুনত্ব৷ ‘মুকুলিমা ইয়ং’ নামের ওয়েবসাইটে তরুণ কৃষকরা তাদের পণ্যের ছবি দেন৷ ক্রেতারাও সেখান থেকেই পণ্য কেনেন৷ এক্ষেত্রে উৎপাদিত পণ্যের দামও কম পড়ে৷
ছবি: Jeroen van Loon
‘‘কেউ কি পাখি বিক্রি করছেন?
এমন সব প্রশ্নের দেখা মেলে ‘মুকুলিমা ইয়ং’ সাইটে৷ ৩৫ বছর বয়সি জোসেফ মাচারিয়া মাত্র এক বছর আগে সাইটটি শুরু করেছিলেন৷ এখন তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি৷
ছবি: J. van Loon
‘আমরা সবাই কৃষক হতে পারি’
দানিয়েল কিমানির মতে, ‘‘আমরা সবাই আইনজীবী হতে পারবো না৷ তবে আমরা সবাই কৃষক হতে পারি৷’’ এই কথার মাধ্যমে কিমানি তাঁর আশার কথা শুনিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, কেনিয়াতে আরও বেশি সংখ্যক তরুণ কৃষিকাজের দিকে ঝুঁকবে৷ বর্তমানে কেনিয়ার প্রতি চারজনের মাত্র একজন কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷
ছবি: Jeroen van Loon
কৃষিকাজ এখন একটা ব্যবসা
‘মুকুলিমা ইয়ং’ সাইটের প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ মাচারিয়া বলেন, ‘‘কৃষিখাত এখন শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর একটা উপায় নয়, এটা একটা ব্যবসা৷’’ তাঁর মতে, তরুণরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সহজেই কৃষি সংক্রান্ত তথ্য পেতে পারে৷
ছবি: Jeroen van Loon
8 ছবি1 | 8
ভারতে ভয়ানক খরা, পানির জন্য হাহাকার
গত কয়েক বছর কম বৃষ্টি হওয়ায় আবার ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে ভারতে৷ খরায় আক্রান্ত প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ৷ পানির জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে ছুটছে মানুষ৷ গবাদি-পশু মরছে তৃষ্ণায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
পানির জন্য ঘর ছাড়ছে মানুষ
প্রচণ্ড খরায় বিপর্যয় নেমে এসেছে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে৷ অনাবৃষ্টিতে তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রকৃতি৷ অনেক গ্রামে পানীয় জলের অভাবে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং শিশুদের গ্রামের বাড়িতে রেখে শহরের দিকে ছুটছে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মক্ষম মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky
পানির মহাসংকট
খরায় যে রাজ্যগুলো সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র তাদের অন্যতম৷ পানি সংকটের কারণে কৃষিকাজেও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক৷ ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে রাজ্যের এক হাজারেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন৷ পানির অভাবে অনেক গবাদি পশুও মারা গেছে৷ এছাড়া কর্ণাটক রাজ্যের পরিস্থিতিও ভয়াবহ৷ ওপরের ছবিতে তেলেঙ্গানার খরায় আক্রান্ত এক কৃষক৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
দূষিত পানি পান
কোলের শিশুর বুক ফেটে যাচ্ছে তেষ্টায়৷ মা পানি পেয়েছেন৷ কিন্তু সেই পানিতে অনেক ময়লা৷ শাড়ির আঁচলে ময়লা ছেঁকে সন্তানের মুখে ঢালছেন মা৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Kanojia
কুয়োতেও পানি নেই
কুয়ো থেকে পানি তোলার আপ্রাণ চেষ্টা৷ খরায় পানি নেমে গেছে অনেক নীচে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
কাদা মেখে একটু আরাম
নদীর পানি গরম৷ তাই কাদা তুলে সেই কাদা গায়ে মেখে শুয়ে আছে ওরা৷
ছবি: Reuters/J. Dey
গবাদি পশু বাঁচানো দায়
মানুষই পানি পায় না, গরুর তেষ্টা মেটাবে কে! ওপরের ছবিতে পানির তৃষ্ণায় জ্ঞান হারিয়েছে একটি গরু৷ গরুটির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছে এক কৃষক৷
ছবি: Getty Images/AFP/NJ. Kanojia
সুযোগের সদ্ব্যবহার
রাস্তার পাশের পানির পাইপ ফুটো হয়েছে৷ সেই ফুটো দিয়ে বেরিয়ে আসছে পানি৷ পাশের গ্রাম থেকে মেয়েরা ছুটে এসেছে পানি নিতে৷