কলম্বিয়ার পক্ষে কর্নার থেকে গোল করেন মিনা৷ ৭৪ মিনিটের সময় করা তাঁর গোলে কলম্বিয়া গ্রুপ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷ এবারের বিশ্বকাপে এটি মিনার দ্বিতীয় গোল৷
ইনজুরির কারণে ৩১ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন কলম্বিয়ার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় খামেস রদ্রিগেজ৷
রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে আগেই বাদ পড়ে গিয়েছিল পোল্যান্ড৷ ফলে জাপানের বিপক্ষে জয়লাভ করে সম্মান নিয়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন পোলিশরা৷ ৫৯ মিনিটে তাঁদের সেই আশা পূরণ করেন বেডনারেক৷ কুরজাওয়ার করা ফ্রি-কিক থেকে গোল করে তিনি৷ ম্যাচ শেষে বেডনারেক বলেন, ‘‘বিশ্বকাপে আমরা সফল হতে পারিনি, তবে শেষ ম্যাচে জয়ের কারণে আমরা মাথা উঁচু করে দেশে ফিরতে পারব... আপনাকে প্রথম ম্যাচ থেকেই জেতা শুরু করতে হবে৷ তবে এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা, আমরা এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো৷’’
৭৪ মিনিটের সময় আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন পোল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার লেভান্ডোভস্কি৷ কিন্তু তিনি সফল হননি৷ ফলে বিশ্বকাপের তিন ম্যাচের একটিতেও গোল পেলেননা বাছাইপর্বে ১৬ গোল করা লেভান্ডোভস্কি৷
গ্রুপ এইচ-এর দুই ম্যাচ শেষে জাপান আর সেনেগালের পয়েন্ট সমান হয়ে যায়৷ দুটি দলের গোল ব্যবধান এবং গোল করার সংখ্যাও এক৷ এই অবস্থায় দ্বিতীয় পর্বে কে যাবে, তা নির্ধারণে ফেয়ার প্লে-র বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়৷ এতে দেখা যাচ্ছে, জাপান চারটি হলুদ কার্ড পেয়েছে৷ আর সেনেগাল পেয়েছে ছয়টি৷ তাই সেনেগালকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় পর্বে চলে গেল জাপান৷
ফলে ফিফার নতুন নিয়মের প্রথম বলি হলো সেনেগাল৷
১৯৮২ সালের পর এই প্রথম দ্বিতীয় পর্বে আফ্রিকার কোনো দল থাকছেনা৷
দ্বিতীয় পর্বে কলম্বিয়া ও জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে হচ্ছে, তা জানা যাবে আজই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম ম্যাচের পর৷ খেলাটি হবে কালিনিনগ্রাদে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)
মস্কোর হুন্দাই মোটরস্টুডিয়োতে গেল ৮ জুন উদ্বোধন হলো এমন এক জাদুঘরের, যেখানে এক ছাদের তলায় আছে পুরো বিশ্বকাপের ইতিহাস৷ ফুটবলের কিংবদন্তিরা আছেন, আরো আছে স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র, চলতি আসরের ৩২ দলের জার্সিসহ কত কী!
ছবি: DW/M.Nomanমস্কোর ফিফা ফুটবল জাদুঘরে কাঁচবন্দী এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলের জার্সি৷ তাতে যে লাল রঙের আধিক্য, সেটি তো বোঝাই যাচ্ছে৷
ছবি: DW/M.Nomanসমর্থকদের প্রমাণসাইজের পোস্টার দেয়ালে সাঁটানো৷ যেখানে একাকার জার্মানি-ব্রাজিল-পর্তুগাল৷
ছবি: DW/M.Nomanচলতি আসরের ৬৪ ম্যাচের ফলের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে জায়গা৷ শূন্যস্থানগুলো ভরে উঠছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে৷
ছবি: DW/M.Nomanযেনতেন বল নয় এটি৷ বিশ্বকাপের রাশিয়া-সৌদি আরব উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছে এই ‘টেলস্টার ১৮’ দিয়ে৷ স্বাগতিকদের জন্য যে এটি পয়া, ৫-০ ব্যবধানের জয়ই সে ঘোষণা দিচ্ছে৷
ছবি: DW/M.Noman২১ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টার ঝুলছে দেয়ালে৷ জাদুঘরে আসা দর্শনাথর্থীরা ইতিহাসকে মোবাইলবন্দী করার সুযোগ হাতছাড়া করেন কীভাবে!
ছবি: DW/M.Nomanফুটবলের মতোই গোলাকৃতির এক প্রজেক্টরে বিশ্বকাপের ইতিহাসের ভিডিও দেখানো হচ্ছে অবিরাম৷ সাদা-কালো সময় থেকে টুর্নামেন্টের রঙিন সময়ে বিবর্তনের ধারা বর্ণনা সেখানে৷
ছবি: DW/M.Nomanসময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলের বিবর্তনও কি হয়নি! ১৯৩০ থেকে শুরু করে ২১ বিশ্বকাপের বল দেখলে তা বোঝা যায় স্পষ্ট৷ দেয়ালের গায়ে তারকারাশির মতো আলো ছড়াচ্ছে সে বলগুলো৷
ছবি: DW/M.Nomanআরো পোস্টার, আরো সমর্থক, আরো রং৷ বিশ্বকাপ রংধনুর উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় সমর্থনের এই বৈচিত্র্যেই৷
ছবি: DW/M.Nomanফিফা জাদুঘরে এসেছিলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি রবের্তো কার্লোস৷ সর্বকালের অন্যতম সেরা এই উইংব্যাকের অটোগ্রাফ সংরক্ষিত আছে সেখানে৷
ছবি: DW/M.Nomanএকেকটি পোস্টার যেন বলছে একেক বিশ্বকাপের গল্প৷ আনন্দ-বেদনার কত মহাকাব্য লুকিয়ে এ পোস্টারগুলোয়!
ছবি: DW/M.Nomanসর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্কটা তাঁদের মধ্যেই সীমিত – পেলে ও দিয়েগো মারাদোনা৷ ফিফা ফুটবল জাদুঘরে তাঁদের উপস্থিতি না থাকলে চলে!
ছবি: DW/M.Nomanসোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার সর্বকালের সেরা ফুটবলার লেভ ইয়াসিন৷ তাঁর সঙ্গে ছবি তো প্রেরণা হয়ে থাকবে এই কিশোরের জন্য৷
ছবি: DW/M.Nomanমাঝে রবের্তো কালোসের অটোগ্রাফ৷ চারপাশে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসের প্রকাশ৷ ব্ল্যাকবোর্ডে চকের সেই আঁক মুছে ফেলা হয় নিয়মিত বিরতিতে; কিন্তু স্মৃতির বোর্ডে তা খোদাই হয়ে থাকবে চিরকাল৷
ছবি: DW/M.Nomanছিমছাম, পরিপাটি দোতলা এই ফিফা ফুটবল জাদুঘর৷ বিশ্বকাপ দেখতে মস্কোতে আসা সমর্থকদের অবশ্য দর্শনীয় স্থান হয়ে গেছে এটি৷
ছবি: DW/M.Noman