পশ্চিমের একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো, যে নারীরা হিজাব পরেন, তাঁরা পুরুষ শাসিত সমাজে নিপীড়িত৷ তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দেশ সিরিয়া থেকে আসা রিম দাওয়ার কাছে বিষয়টি এত সহজে ব্যাখ্যাযোগ্য নয়৷
বিজ্ঞাপন
‘‘তুমি নিপীড়িত!’’ আরববিশ্বের নারীদের সম্পর্কে পশ্চিমাবিশ্বের এটি একটি সাধারণ ধারণা৷ কিন্তু আসলেই কি আমরা নিপীড়িত?
আমার এক সিরিয়ান বান্ধবীর কথা মনে পড়ছে যিনি একবার আমাকে বললেন যে, পারফিউমের বোতলের ওপর লাগানো লেবেলগুলো তাঁর অপছন্দ৷
‘‘মেয়েদের আর ছেলেদের আলাদা পারফিউম বা সুগন্ধি থাকা উচিত নয়,’’ বলেন তিনি৷ ‘‘ছেলেদের সুগন্ধিগুলোই আমার বেশি ভালো লাগে৷’’
ঠাট্টা করছিলেন না তিনি৷ অবশ্যই পারফিউম অতটা জরুরি বিষয় ছিল না তাঁর কাছে৷ এর চেয়ে তিনি তাঁর অবস্থা নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন, একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চাইছিলেন৷
আমার ঐ বান্ধবী দুই সন্তানের জননী ছিলেন৷ খুব অল্প বয়সেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর৷ বছরের পর বছর ধরে তিনি সন্তানের ভরনপোষণের জন্য লড়েছেন এবং নিজেকে বঞ্চনার শিকার ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন৷ এতগুলো বছর একটা ঢঙের চাকরিও খুঁজে বেরিয়েছেন, কিন্তু মেলেনি৷
পুরুষতান্ত্রিকতা কীভাবে একজন নারীর চিন্তাজগতে প্রভাব ফেলে
সিরিয়ার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সবচেয়ে কঠিন সত্য হলো, নারীকে দমিয়ে রাখার প্রধান অস্ত্র হলো তাঁর কাজের সুযোগ সীমিত করে রাখা৷ আবার সেই একই ব্যক্তিরা যাদের চিন্তা চেতনা মধ্যযুগীয়, তাঁরাই আবার মানবাধিকার নিয়ে বুলি আওড়ান৷
টিনএজ বয়সে আমি অপরিপক্ক কবিতা লিখতাম৷ সমবয়সিদের মতো আমিও আমার প্রেমিকের নামের জায়গায় ‘সিরিয়া’ লিখতাম৷ প্রেমিকের নাম লেখার সাহস ছিল না৷ একটি দেশের ছায়ায় আমি তাঁকে লুকিয়ে রাখতাম, যাতে কেউ আঙুল তুলতে না পারেন এবং অসম্মানিত না করতে পারেন৷
ছেলেদের স্বাধীনতা ছিল মেয়েদের কল্পনা করার এবং তারা মনের সেই ভাব প্রকাশও করতে পারতেন, অথচ মেয়েদের সেই স্বাধীনতা ছিল না৷
মিশ্র নৈতিকতা
২০ বছর বয়সে আমি যখন জনসম্মুখে আমার বাইকে চড়ি, সেদিন যেসব চাহনি আর মন্তব্যের শিকার হয়েছিলাম, তা জীবনেও ভুলব না৷ আমি ছেলে হলে এমনটা কখনো হত না, কিন্তু মেয়েদের জন্য বাইক ছিল আয়ত্বের বাইরের বিষয়৷
বাইক তো শুধু শুরু৷ মেয়েরা একা থাকবেন, একা চলাফেরা করবেন অথবা রাতে একা হাঁটবেন, এগুলো তো কল্পনাই করা যায় না৷ অনেক জায়গায় তাদের ছেলে বন্ধু থাকবে, সেই স্বাধীনতাও নেই – স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়েই ছেলেমেয়ে আলাদা৷
জার্মানিতে শুধু আঙ্গেলা ম্যার্কেল নন, রাজনৈতিক অফিসগুলোতে যখন মেয়েদের দেখি, তখন আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়, কারণ সিরিয়ার সংসদ বা মন্ত্রণালয়গুলোতে এমনটি দেখেছি মনে পড়ে না৷
হিজাব পরা ফ্যাশন মডেল
উদ্বাস্তু-সন্তান ও মার্কিন নাগরিক হালিমা এডেন ফ্যাশনের জগতে এক পথিকৃৎ৷ নিউ ইয়র্ক, মিলান ও লন্ডনের ফ্যাশন শো-তে প্রথম যে মডেল হিজাব পরে রানওয়েতে নামেন, তিনি হলেন হালিমা৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
মার্কিন জাতীয় পতাকার রঙে হিজাব
ছবিতে লাল-সাদা-নীল রঙের হিজাব পরে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি হলেন ১৯ বছরের তরুণী হালিমা এডেন, যিনি ধর্মপ্রাণ মুসলিম৷ হালিমা শুধু হিজাবই পরেন না, তিনি মুসলিম নারীদের মতো শরীর ঢেকে রাখেন৷ তবুও ফ্যাশনের জগতে তাঁর সাফল্য দেখবার মতো...
ছবি: Reuters/B. McDermid
মার্কিন ‘অ্যালিওর’ থেকে আর্বি ‘ভোগ’-এর প্রচ্ছদে
হালিমা সম্প্রতি মার্কিন মহিলা পত্রিকা ‘অ্যালিওর’-কে বলেছেন যে, তিনি ‘‘মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কে ভুল ও বস্তাপচা ধারণা’’ দূর করতে চান৷ ‘অ্যালিওর’ পত্রিকার জুলাই মাসের ইস্যুর প্রচ্ছদে রয়েছেন হালিমা, যেমন তিনি ‘ভোগ’ পত্রিকার আর্বি সংস্করণের আগস্ট মাসের ইস্যুর প্রচ্ছদে ছিলেন৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
হিজাব পরে রানওয়েতে
২০১৭ সালের গোড়া থেকে হালিমা আইএমজি মডেলস সংস্থার মডেল – হাদিদ ভগিনীদ্বয় অথবা জিসেল ব্যুন্ডসেন-এর মতো সুপারমডেলরা যে সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ৷ ছবিতে হালিমাকে মিলানে ম্যাক্স মারা কোম্পানির হয়ে মডেলিং করতে দেখা যাচ্ছে৷ ব়্যাপার কেনি ওয়েস্ট-এর ফ্যাশন লেবেল ‘ইজি’ অথবা আলবের্তো ফেরেত্তি-র হয়েও তিনি রানওয়েতে নেমেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Medina
উদ্বাস্তু থেকে ফ্যাশন মডেল
হালিমার জন্ম কেনিয়ার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে৷ ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় আসেন – আজ সেখানেই পড়াশুনা করছেন৷ হালিমা জন্মসূত্রে সোমালি৷ তাঁর পরিবার সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে কেনিয়ায় পলায়ন করেছিল৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
মিস মিনেসোটা হতে গিয়ে...
...২০১৬ সালে বিকিনির বদলে বুর্কিনি পরেন হালিমা৷ মিস মিনেসোটা হলো মিস ইউএসএ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্যায়৷ গোড়ার দিকেই বাদ পড়েন হালিমা, কিন্তু প্রতিযোগিতার আয়োজক আইএমজি মডেলস সংস্থা তাঁকে মডেল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে৷ মনে করা যেতে পারে, ২০১৫ সাল অবধি মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Imago
দু’পক্ষ থেকেই সমালোচনা
হালিমা যে মডেলিং করছেন, রক্ষণশীল মুসলিমদের সেটা পছন্দ নয়৷ অপরদিকে উদারপন্থি মুসলিমদের কাছে নারীদের পরিধেয়র উপর বাধানিষেধ গ্রহণযোগ্য নয়৷ হালিমা বলেন, সৌন্দর্যই তাঁর সব কথা নয়; এছাড়া হিজাব পরার ফলে তাঁকে ‘‘তুই বড় মোটা হয়ে গেছিস’’, ‘‘তুই বড় রোগা হয়ে গেছিস’’, এ সব কথা শুনতে হয় না৷
ছবি: Reuters/B. McDermid
6 ছবি1 | 6
বুর্কিনি ও হিজাবের বিরাট বিতর্ক
ইউরোপে যখন বুর্কিনি বিতর্ক মাথাচাড়া দিল, অনেক জায়গায় মুসলিম নারীদের পুরো শরীর ঢাকা সুইমস্যুট পরা নিষেধ করতে চাওয়া হলো, তখন আমার আরেক সিরিয়ান বান্ধবীর কথা মনে পড়ল৷
জার্মানিতে তাঁকে হিজাব নিয়ে বেশ হাস্যকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যেমন এর নীচে আসলেই চুল আছে কি না, এবং হিজাব পরে তাঁকে গোসল করতে হতো কিনা, এ সব৷
অনেকেই তাঁকে এটি খুলে ফেলতে বললেন, কারণ এখন তিনি জার্মানিতে এবং কেউ বাধা দেবার নেই৷ তাঁদের বোঝাতে তাঁকে খুব বেগ পেতে হত যে, তিনি নিজের পছন্দেই হিজাব পরেন, কেউ তাঁকে জোর করছে না৷
তাঁর মাথা ঢাকা থাকলেও তাঁর মন ছিল খোলা এবং তিনি উচ্চাকাঙ্খী ও শিক্ষিত ছিলেন৷
যাই হোক, অনেক জার্মান বা ইউরোপীয়র কাছে হিজাব হলো নিগ্রহের প্রতীক৷
আমি কেন হিজাব পরি না
জার্মানিতে আমাকেও প্রায়ই ব্যাখ্যা করতে হয়েছে, আমার বন্ধুর মতো আমিও কেন হিজাব করি না৷
আমি সালামিয়াহ নামক একটি তুলনামূলক উদার শহরে বেড়ে উঠেছি, যেখানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ছিল না৷ তবে আমি যখন হামার মতো অন্য অঞ্চলে গিয়েছি তখন সেখানকার পোশাকের রীতিকে সম্মান জানিয়েছি৷
নারীদের কেউ কেউ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে হিজাব করেন৷ অনেকে তাদের বেড়ে ওঠার ধরন বা বিশ্বাসের ভিন্নতার জন্য করেন না৷ কিন্তু আমার কাছে, হিজাব হলো একজন নারীর পছন্দ এবং কোনো পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চাপিয়ে দেয়া নিপীড়ন নয়৷
ক্ষমতাসীন পুরুষরা আমাদের আরো অনেক স্বাধীনতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন৷ আমার সমাজে চুল দেখানো কোনো সমস্যা না হলেও আমাদের অন্য স্বাধীনতাগুলো ছিল সীমিত৷
‘হাল ছাড়ব না’
পেছনে তাকিয়ে তবু উৎসাহ পাই এই দেখে যে, সিরিয়ার সমাজ লিঙ্গ সমতা তৈরিতে সামান্য হলেও উন্নতি করেছে৷
যদিও কোনো আইন পরিবর্তন হয়নি এবং এখনও পুরুষরাই সমাজের ওপরের স্তরে রয়েছেন, আমার পুরুষের সুগন্ধি পছন্দকারী বান্ধবীদের মতো নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন সিরিয়ান নারীদের সংখ্যা বাড়ছে৷
আমি আশা করি, আরো নারী তাঁদের কণ্ঠস্বর ফিরে পাবেন এবং শুধু স্বাধীন অনুভই করবেন না বরং স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবনও উপভোগ করবেন৷
এদিকে আমার বান্ধবী তাঁর সন্তানদের যুদ্ধ থেকে রক্ষা করতে সিরিয়া ছাড়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সন্তানদের বাবা অনুমতি দিচ্ছেন না৷
তবে বান্ধবী এত সহজে হাল ছাড়বেন না৷ তিনি আমাকে বলেছেন, ‘‘আমি নিগৃহীত হতে পারি, তবে হাল ছাড়ব না৷’’
আমি তাঁর বেদনা বুঝতে পারি, কারণ আমিও শুধু নারী হবার কারণেই সিরিয়ায় নিগ্রহের শিকার হয়েছি৷ এখানে জার্মানিতে, আমি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও স্বাধীনভাবে যা ভালো লাগে করতে পারি৷ তবে আপাতত বাইক চালানো বন্ধ রেখেছি, কারণ ক’দিন আগে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি৷
রিম দাওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরিয়ার সালামিয়াহতে৷ তিনি ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিজে মাস্টার্স করতে জার্মানি এসেছেন৷ এখন ডয়চে ভেলের অ্যারাবিক বিভাগে কাজ করছেন৷ কলামটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২১.০৯.২০১৯ তারিখে৷
মেয়েদের মাথা ঢাকা
খ্রিষ্টধর্ম, ইহুদি বা ইসলাম ধর্ম, সব ধর্মেই নারীদের মাথা ঢাকার প্রথা আছে – কোথাও বেশি, কোথাও কম৷ কিন্তু এই সব প্রথার মধ্যে সাদৃশ্যটা কোথায়? মাথা ঢাকার ব্যাপারে মহিলারাই বা কী ভাবেন?
ছবি: Jüdisches Museum Berlin/Yves Sucksdorff
হিজাব
যে সব মুসলিম মহিলারা মাথা ঢাকেন, তাঁরা সবাই যে শুধু ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন, এমন নয় – বলে ভিয়েনা নিবাসী তুর্কি শিল্পী নিলবর গ্যুরেজ-এর অভিমত৷ তাঁর একটি ভিডিও পার্ফর্মেন্সের নাম ‘সোয়ুনমা/আনড্রেসিং’ (২০০৬) – যার চারটি ছবি এখানে দেখতে পাচ্ছেন৷ ভিডিওতে শিল্পী একটির পর একটি ‘পর্দা’ সরাচ্ছেন ও সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের মহিলাদের নাম করছেন৷
ছবি: Nilbar Güres
পরচুলা
‘কভার্ড’ (আবৃত) শীর্ষক এই আত্মপ্রতিকৃতিতে আনা শ্টেনশ্লেগার দু’টি পরচুলা পরে রয়েছেন৷ ছবিটি তোলা হয় ২০০৯ সালে৷ আনা নিজে ধর্মনিষ্ঠ ইহুদি৷ সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত ইহুদি মহিলারা তাঁদের চুল ঢাকতেন একটি ‘টিকেল’ বা মাথা ঢাকার কাপড় দিয়ে৷ পরচুলাও তো মাথা ঢাকে – এই হলো আনার আত্মপ্রতিকৃতির বক্তব্য৷
ছবি: Anna Shteynshleyger
ধর্ম এক, কিন্তু মাথা ঢাকার পন্থা নানা
হিজাব, নিকাব, আল-আমিরা, শায়লা, এশার্প – মুসলিম মহিলাদের মাথা বা চুল ঢাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিধান আছে৷ দেশ হিসেবেও ‘পর্দা’ আলাদা হতে পারে, যেমন ইরানের মহিলাদের ‘চাদর’ বা ইন্দোনেশিয়ার মহিলাদের ‘কেরুডুং’ ও ‘টুডুং’৷ ছবিতে যে প্রদর্শনীটি দেখা যাচ্ছে, সেখানে এই বৈচিত্র্যই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে৷
ছবি: Jüdisches Museum Berlin/Yves Sucksdorff
গির্জায় মাথা ঢাকা
বার্লিনের একটি রুশ সনাতনপন্থি গির্জার এই দৃশ্যটি তুলেছেন আলোকচিত্রী মারিয়া মিহাইলোভা৷ ‘মাস’ বা প্রার্থনাসভার জন্য চুল ঢাকার প্রথা খ্রিষ্টধর্মের অপেক্ষাকৃত ছোট সম্প্রদায়গুলির মধ্যে আজও বজায় থাকলেও, ক্যাথলিক বা প্রটেস্টান্ট গির্জাগুলিতে তা আর প্রায় দেখা যায় না৷
ছবি: Marija Mihailova
চুল দিয়ে লজ্জা ঢাকা?
আরব দেশগুলিতে লম্বা কালো চুল নারীর সৌন্দর্যের একটি অপরিহার্য উপাদান বলে গণ্য হয়৷ ইরানি শিল্পী মন্দানা মোঘাদ্দাম তাঁর ‘প্রথম চেলগিস’ শীর্ষক ২০০২ সালের ‘মূর্তি’-টিকে শুধুমাত্র চুল দিয়ে সাজিয়েছেন – কিন্তু এমনভাবে যে, মেয়েটিকে দেখবার উপায় নেই৷ এর পিছনে রয়েছে এক অপহৃত কিশোরী সম্পর্কে একটি ইরানি রূপকথা: রূপকথার কিশোরীর নাকি ৪০টি বিনুনি ছিল৷
ছবি: Mandana Moghaddam
শুধু স্বামীর জন্য চুল?
ইদিশ ভাষায় ‘টিকেল’ হলো ধর্মনিষ্ঠ ইহুদি মহিলাদের মস্তকের পরিধান৷ ২০০১ সালে তোলা এই আলোকচিত্রে লিওরা লাওর জেরুসালেমের উগ্র সনাতনপন্থি মেয়া শেয়ারিম এলাকার মহিলাদের দেখিয়েছেন৷ প্রথা অনুযায়ী বিবাহের পর শুধুমাত্র মহিলার স্বামীই তাঁর চুল দেখতে পাবেন৷ কাজেই বিয়ের পর মহিলারা কাপড়, নানা ধরনের টুপি বা পরচুলা দিয়ে মাথা ঢাকেন৷
ছবি: Leora Laor
মাথা ঢাকা, চুল ঢাকা?
নিউ ইয়র্কের কোনি আইল্যান্ডের সৈকতের একটি দৃশ্য৷ ছবিটি তোলেন ফেডেরিকা ভালাব্রেগা, ২০১১ সালে৷ ছবিতে যে ইহুদি মহিলাদের দেখা যাচ্ছে, তারা সবাই মাথা ঢেকে রেখেছেন, যদিও তার তলা থেকে মাথার চুল বেরিয়ে রয়েছে৷ এভাবেই মাথা ঢাকার প্রথার নানান ব্যাখ্যা ও নানা সংস্করণ চালু আছে...৷
ছবি: Federica Valabrega
‘বুর্কিনি’
বোরকা আর বিকিনি, এই দু’টি শব্দ মিলিয়ে যে বস্তুটির সৃষ্টি, তা যে বিতর্ক সৃষ্টি করবে, তা তো জানাই৷ মুসলিম মহিলাদের সমুদ্রস্নানের জন্য সৃষ্ট এই পরিধেয়টি আবার পশ্চিমের অনেক নারীবাদীর কাছে অগ্রহণযোগ্য৷