1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কসমেটিক্স-এ জীব-জন্তু নিষিদ্ধ

ফ্রেই লুইসা / আরবি১৮ জুলাই ২০১৩

পশু নির্যাতন উত্পাদনের নিরাপত্তার জন্য জরুরি? কসমেটিক্স সামগ্রী তৈরি করতে প্রাণীর ওপর যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়, তার পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক বহুদিনের৷

Titel: Tierversuche für Kosmetika Beschreibung: Substanzen werden in das Kaninchenauge geträufelt um zu sehen, ob die Substanz z.B. augenreizend wirkt Datum: 27.05.2013 Copyright: Ärzte gegen Tierversuche e.V. Bild (samt Copyright Freigabe) geliefert von Dipl. Biol. Silke Bitz, Wissenschaftliche Mitarbeiterin/Pressesprecherin, Ärzte gegen Tierversuche e.V., Freiburg für DW/Luisa Frey.
ছবি: Ärzte gegen Tierversuche e.V.

সম্প্রতি কসমেটিক্স সংক্রান্ত নতুন এক আইন কার্যকর হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে, যা পশু অধিকারবাদীদের কিছুটা হলেও উজ্জীবিত করবে৷ ১১ জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-তে নতুন এই আইনটি চালু হলো৷ ‘‘এটি একটি মাইলফলক৷ কিন্তু এই আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ রয়েছে অসংখ্য ফাঁক ফোকড়ও৷'' বলেন জীববিজ্ঞানী ও ডক্টর্স এগেনস্ট অ্যানিমেল এক্সপেরিমেন্টস-এর মুখপাত্র সিলকে বিটৎস৷

এই নতুন আইন, মার্চ মাস থেকে চলা কসমেটিক্স সংক্রান্ত বিধিবিধানকে আর একটু জোরালো করলো৷ নতুন এই আইনে পশুর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে পণ্য তৈরি করা হয়, তা বাজারজাত করাও চলবে না৷ এর ফলে উত্পাদকরা অন্য কোথাও গিয়েও এই পরীক্ষা চালাতে পারবেননা৷

প্রতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে গবেষণার কাজে (১২ মিলিয়ন) ১ কোটি ২০ লক্ষের মতো পশু পাখি ব্যবহার করা হয়ছবি: picture-alliance/CTK Rene Volfik

এই আইন যথেষ্ট নয়

পশু অধিকারবাদী বিটৎস অবশ্য মনে করেন, পশু নির্যাতন প্রতিরোধে এই আইন যথেষ্ট নয়৷ কেননা যে সব উত্পাদক কসমেটিক্স সামগ্রী রপ্তানি করতে চান তাঁদের জন্য বিশেষ অনুমোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই আইনে৷ এমনকি অনেক সময় ইচ্ছা না থাকলেও জীবজন্তুর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয় তাঁদের ৷

বিটৎস-এর ভাষায়, ‘‘যেমন কোনো কসমেটিক্স প্রতিষ্ঠান যদি চীনে পণ্য রপ্তানি করতে চায়, তাহলে তাকে প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালাতেই হয়৷ কারণ এমনটিই চায় চীনের কর্তৃপক্ষ৷''

আর একটি সমালোচনার বিষয় হলো, ডিটারজেন্ট বা সাবান জাতীয় জিনিসের বেলায় এই আইন প্রযোজ্য হবে না৷ বরং উল্টোটাই৷ এই ধরনের সামগ্রী প্রস্তুত করতে জীবজন্তুর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোটা প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়৷ এটা দুঃখজনক বলে মনে করেন জার্মান পশু রক্ষা সমিতির মুখপাত্র ইর্মেলা রুডেল৷ তাঁর কথায়, ‘‘কসমেটিক্স শিল্পকারখানাগুলি পরে এই উপকরণগুলি তাদের পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না৷''

ডিটারজেন্ট উত্পাদকরাও খুশি নয়

অন্যদিকে ডিটারজেন্ট উত্পাদকরাও খুব খুশি নয় এই পরিস্থিতিতে৷ উৎপাদনের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিকল্প পদ্ধতির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের৷ পশুঅধিকারবাদী বিটৎস এই প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, ‘‘প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করা কসমেটিক্স-এর উপকরণ মানুষের জন্য এক অজানা ঝুঁকিও বয়ে আনতে পারে৷ মানব দেহে এই সবের প্রতিক্রিয়া অন্যরকমও হতে পারে৷''

কোনো কোনো বিকল্প পদ্ধতি মানুষের জন্য বেশ উপযোগী৷ বিকল্প পদ্ধতির মূল্যায়ন ও নিবন্ধন কেন্দ্রের মিশাইল ও্যলগেশ্ল্যাগার বলেন, ‘‘বিকল্প এক পদ্ধতিতে মানুষের ত্বকের সেল ব্যবহার করে গবেষণাগারে ত্বকের মডেল তৈরি করা হয়৷ এই মডেলের ওপর পরীক্ষা করে বোঝা যায়, চামড়ার ওপর উৎপাদন দ্রব্যগুলির ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হয় কিনা৷''

কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য এই পদ্ধতির প্রয়োগ সম্ভব নয়৷ কেননা এতে প্রয়োজন পড়ে ভ্রুণের স্টেম সেল৷ যে পদ্ধতির প্রয়োগ জার্মানিতে নৈতিক দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত সম্ভব নয়৷ সেক্ষেত্রে গবেষকরা ইঁদুরের সেল ব্যবহার করেন৷ তবে বয়স্কদের স্টেম সেল ব্যবহার করেও এই কাজটি করা যায়৷

পশু অধিকারবাদী বিটৎস অবশ্য মনে করেন, পশু নির্যাতন প্রতিরোধে এই আইন যথেষ্ট নয়ছবি: Bundesinstitut für Risikobewertung

বয়স্কদের সেল থেকে স্টেমসেল

ও্যলগেশ্ল্যাগার জানান, ‘‘কয়েক বছর ধরে জার্মানিতে বয়স্কদের সেল থেকেও স্টেমসেল তৈরি করা হচ্ছে, যা অনেকটা ভ্রুণ-সেলের মতোই৷ এই কোষ সহজেই তৈরি করা যায়৷ চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজেও লাগানো হচ্ছে এই পদ্ধতি৷''

প্রতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে গবেষণার কাজে (১২ মিলিয়ন) ১ কোটি ২০ লক্ষের মতো পশু পাখি ব্যবহার করা হয়৷ তবে কসমেটিক্স সামগ্রীর গবেষণায় এই সংখ্যাটা খুব কম৷ মাত্র ২০০০ অর্থাৎ ০.০২ শতাংশ৷

এক গুরুত্বপূর্ণ সংকেত এই আইন

ডক্টর্স এগেনস্ট অ্যানিমেল এক্সপেরিমেন্টস-এর মুখপাত্র বিটৎস বলেন, ‘‘বিশেষ করে রাজনীতির তরফ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ সংকেত এই আইন৷ যদিও তা বিশাল আধারে এক ফোঁটা বারির মতো৷ সবে তো যাত্রা শুরু হলো৷''

কসমেটিক্স শিল্প-কারখানাগুলি নতুন নতুন বিকল্প পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে চালিকা শক্তি হতে পারে, মনে করেন পশু রক্ষা সমিতির ইর্মেলা রুডেল৷ তিনি বলেন, ‘‘এই সব পদ্ধতি রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধপত্র ইত্যাদি উত্পাদনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যাবে৷ এতে করে অন্যান্য ক্ষেত্রেও পশুর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনেকটা কমে আসবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ