কসোভোয় ফের নির্বাচনের দাবি ফ্রান্স-জার্মানির
২ জুন ২০২৩কসোভোয় ন্যাটোর সেনা কেফোরের সঙ্গে সার্ব জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ অব্যাহত। বৃহস্পতিবারও উত্তর কসোভোর সার্ব অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সার্বরা। পুরসভার ভবনগুলির সামনে সেনা মোতায়েন হলেও সার্বরা তার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার মলডোভার ইউরোপিয়ান পলিটিকাল কমিউনিটির সম্মেলনেও আলোচনা হয়েছে। বস্তুত, বৈঠকের মাঝেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ পৃথক বৈঠক করেছেন। পরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জানিয়েছেন, দ্রুত কসোভো সমস্যা সমাধান প্রয়োজন। এবং তার জন্য প্রয়োজনে নতুন করে নির্বাচন করা হোক। নির্বাচনের নিয়ম আরো স্পষ্ট করা হোক। কসোভো এবং সার্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আবেদন জানানো হয়েছে।
অ্যামেরিকাও কসোভো সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছে। ন্যাটোর এক সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপে গেছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেছেন, সার্বিয়া এবং কসোভোকে আলোচনায় বসতে হবে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। এভাবে লড়াই চলতে দেওয়া যাবে না। এর প্রভাব আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পড়বে।
জার্মানি, ফ্রান্স, অ্যামেরিকা যা-ই বলুক, কসোভোর প্রধানমন্ত্রী তার ভাবনা থেকে সরতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, নতুন করে নির্বাচনের প্রশ্ন নেই। যে মেয়রেরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদেরকে কাজ করতে দিতে হবে। তার বক্তব্য, এত বড় বড় পুরভবনগুলি তৈরি হয়েছে কাজের জন্য। সেই ভবনগুলিকে ঘিরে রাখার কোনো অর্থ নেই।
কসোভোয় ৯০ শতাংশ আলবেনিয়ানের বাস। তবে উত্তর কসোভোর সার্বিয়া সীমান্তে বেশ কিছু সার্ব জনগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করেন। সম্প্রতি তারা পুর নির্বাচন বয়কট করেছিলেন। নির্বাচনের পদ্ধতিগত প্রশ্ন তুলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে। সার্ব অধ্যুষিত চারটি পুরসভায় তিন-চার শতাংশ করে ভোট পড়েছে। আর সেই ভোটে আলবেনিয়ান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তারা পুরসভায় ঢুকতে গেলে সার্বরা বাধা দেয়। সার্বদের বক্তব্য, এই নির্বাচন তারা মানছেন না। এই নিয়েই তাীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় বিক্ষোভরত সার্বদের ন্যাটোর বাহিনী কেফোরের তীব্র সংঘর্ষ হয়। তাতে বেশ কিছু কেফোরের জওয়ান গুরুতর আহত হন। বিক্ষোভকারীরাও আহত হয়েছেন। ন্যাটো এরপর ওই অঞ্চলে আরো ৭০০ সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)