আগামী ৪০ দিনের মধ্যে কসোভোয় আবার নির্বাচন হবে। রায় আদালতের।
বিজ্ঞাপন
মাত্র একটি ভোটের জোরে কসভোয় সরকার গঠন করেছিলেন আবদুল্লাহ হোটি। ওই ভোটটি ছিল এতেমি আরিফির। আদালত জানিয়ে দিল, ওই ভোট বৈধ নয়। কারণ, এতেমি আরিফি শাস্তিপ্রাপ্ত। কসোভোর সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুসারে শাস্তিপ্রাপ্ত সদস্যের ভোট বৈধ নয়। তাই বিচারকেরা বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। এখন সরকারকে ৪০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করাতে হবে।
আদালত শাস্তি দেয়ার পরেও আরিফি বেশ কয়েক মাস ধরে গ্রেপ্তার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি ধরা দেন। আরিফের অনুপস্থিতি মানে পার্লামেন্টে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়া।
যেসব দেশের মানুষ কর দিতে বেশি আগ্রহী
যেসব দেশের মানুষ অবকাঠামোগত উন্নয়নে কর দিতে বেশি আগ্রহী তার তালিকা প্রকাশ করেছে ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব কমনস ও ইকোনোমিক্স৷ সেখানে দেখা গেছে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে জার্মানি৷ ১৪টি দেশের সেই তালিকায় বাংলাদেশও আছে৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/M. Weber
যেমন করে জরিপটি
নাগরিকদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর দিতে বেশি আগ্রহের ভিত্তিতে এ তালিকা তৈরি করতে ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব কমনস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স ও জাতিসংঘ যৌথভাবে কাজ করেছে৷ ১৪১টি দেশের ১৬ হাজার অধিবাসীর মতামতের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয়৷ এবং সূচক ধরা হয়েছে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/M. Weber
শীর্ষ দেশ জার্মানি
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত করের বোঝা বহনকারী দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে৷ ১৫ শতাংশ বেশি কর দিতে হয় এই দেশের জনগনকে৷ তার পরেও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কর দিতে আগ্রহী জার্মান জনগণ৷ জরিপে ১০ পয়েন্টের মধ্যে ৭ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে জার্মানি৷
ছবি: Reuters/A. Schmidt
দ্বিতীয় দেশ কম্বোডিয়া
ব্যাসেল ইনস্টিটিউটের করা তালিকার দ্বিতীয় দেশ কম্বোডিয়া৷ কৃষি ও পর্যটন নির্ভরশীল এই দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা উন্নত না হলেও জনগণের কর দেয়ায় আগ্রহীদের ভিত্তিতে তারা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে৷ জরিপে দেখা গেছে ৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট পেয়েছে দেশটির জনগণ৷
ছবি: Getty Images/AFP/T.C. Sothy
ছোট দেশের বড় অর্থনীতি
অস্ট্রিয়া ইউরোপের সবচেয়ে ছোট দেশগুলোর একটি৷ মাত্র ৮৩ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বেশ উপরেই রয়েছে৷ আর দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়বার মতো৷ সেই দেশের জনগন অবকাঠামোগত উন্নয়ণ কর দিতে আগ্রহী বলে ৬ দশমিক ৪ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তাঁরা৷
ছবি: Getty Images/A.Koerner
তালিকায় কসোভো!
সার্বিয়া থেকে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করেছিল ২০০৮ সালে৷ এর ২ বছর পর পশ্চিমা বিশ্বের স্বীকৃতি মেলে৷ ছোট একটি দেশের জনসংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২০ জন বসবাস করে এই দেশে৷ কিন্তু ব্যাসেল ইনস্টিটিউটের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশটি৷ ৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়েছে দেশটির জনগণ৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Nimani
বাংলাদেশ পঞ্চম!
এমনিতেই প্রচলিত আছে, কর দিতে অনাগ্রহীদের তালিকায় নাকি শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের জনগণ! ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, যার অন্যতম উৎস ভ্যাট৷ সেখানে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যের চেয়ে ৭২ হাজার ৩০৯ কোটি কম৷ অথচ বাংলাদেশের জনগণের অবকাঠামোগত কর দেয়ায় আগ্রহ খুবই প্রশংসনীয়৷ ১০-এর সাড়ে ৫ পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷
ছবি: Imago/Xinhua
সহিংসতার মধ্যেও কর দানে আগ্রহী
ব্যাসেল ইনস্টিটিউটের এই তালিকায় সবচেয়ে বিস্ময় জাগিয়েছে আফগানিস্তান৷ তালেবান হামলা, জঙ্গি সংঘাত সব ছাপিয়ে দেশটির জনগণ কর বিষয়ক আগ্রহের কারণে পেয়েছে ৫ দশমিক দুই পয়েন্ট৷ পাকিস্তানও পেয়েছে ৫ দশমিক ২ পয়েন্ট৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Gul
ছোট দেশের বেশি আগ্রহ
ব্যাসেল ইনস্টিটিউটের জরিপ বলছে, ছোট ছোট ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশগুলোর জনগণই নাকি অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর দিতে বেশ আগ্রহী৷ নেপাল, বসনিয়া-হারজেগোভিনা, আলবেনিয়া, সার্বিয়ার মতো দেশগুলো্র জনগণের চিকিৎসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের উন্নয়নে কর দিতে বেশ আগ্রহী৷ এই দেশগুলো ৪ দশমি ৯ থেকে চার পর্যন্ত পয়েন্ট পেয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/C. Kober
কর দিতে অনিচ্ছুক!
দেশের মানুষ অবকাঠামোগত উন্নয়নে কর দিতে আগ্রহী নয়, এমন দেশের তালিকায় আছে মন্টেনেগ্রো, ব্রাজিল এবং মেসিডোনিয়া৷ এই তিন দেশের জনগণের পয়েন্টের তালিকা তিনের ঘরে৷ এখানে মন্টেনিেগ্রো ৩ দশমিক ৯, ব্রাজিল ৩ দশমিক চার এবং মেসিডোনিয়া ৩ দশমিক ২ পয়েন্ট পেয়েছে৷ আগামী মার্চ মাসে ব্যাসেলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশিত হবে৷
ছবি: Getty Images/B. Mendes
9 ছবি1 | 9
সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যালবিন কুর্তির সরকার গত মার্চে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। তারপর সাংবিধানিক আদালতে কুর্তি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বর্তমান সরকার বেআইনি। সেই মামলার রায় এতদিনে এলো।
হোটির এজেন্ডায় অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল, কসোভো ও সার্বিয়ার মধ্যে অবাধ বাণিজ্য। যেখানে সীমান্তের কোনো পরিবর্তন হবে না।