1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাউন্সিল অফ ইউরোপের ৬০ বছর

৫ মে ২০০৯

আয়ারল্যান্ড থেকে রাশিয়ার পূর্ব উপকূল – এই বিশাল এলাকা জুড়ে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর নজর রেখে চলেছে ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’৷ ৫ই মে ঐ প্রতিষ্ঠান ৬০ বছর পূর্ণ করল৷

ছবি: picture-alliance / dpa

ইউরোপীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই৷ ইউরোপের অনেক নাগরিকের মনেই এই সব প্রতিষ্ঠান বা তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই৷ এই বিভ্রান্তির যথেষ্ট কারণও রয়েছে৷ যেমন ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’, ‘ইউরোপীয়ান কাউন্সিল’ বা ‘কাউন্সিল অফ দ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান৷ অথচ এদের নামের মধ্যে এত মিল থাকায় অনেকেই এই সব প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করে সনাক্ত করতে পারেন না৷ ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর নিজস্ব পরিচয় নিয়ে আরও এক বিভ্রান্তির কারণ রয়েছে৷ কারণ এই পরিষদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা ও সঙ্গীত – দুটিই ব্যবহার করে৷ অর্থাৎ নীল পতাকার উপর ১২টি সোনালী নক্ষত্রের অর্থ অনেক কিছুই হতে পারে৷ ইউরোপের সবচেয়ে পুরানো প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’ ৫ই মে ৬০ বছর পূর্ণ করল৷

প্রেক্ষাপট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর ১৯৪৯ সালের ৫ই মে ইউরোপের ১০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা লন্ডনে মিলিত হয়ে ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর জন্ম দেন৷ তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপ মহাদেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা৷ আজ ঐ পরিষদের কাজ হল সদস্য দেশগুলিতে মানবাধিকারের উপর নজর রাখা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের তুলনায় ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর কাঠামো কিন্তু আনুষ্ঠানিকতার বেড়াজালে ততটা আবদ্ধ নয়৷

ইতিমধ্যে ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭৷ গোটা ইউরোপ মহাদেশ ও রাশিয়া জুড়ে বিস্তীর্ণ এই এলাকা জুড়ে এই পরিষদ সক্রিয় রয়েছে – ব্যতিক্রম শুধু বেলারুশ ও ভ্যাটিকান৷ বেলারুশ ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এ যোগদানের আবেদন জানিয়েছে বটে, কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর কারণে সেদেশ পূর্ণ মর্যাদা পাচ্ছে না৷ ভ্যাটিকান সিটি পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় সন্তুষ্ট রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো ও জাপানও পর্যবেক্ষক দেশের মর্যাদা পেয়েছে৷

প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব

মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আইনী শাসন কাঠামো গড়ে তোলার কাজে সহায়তা এবং সামাজিক উন্নয়ন – ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর মন্ত্রী পরিষদে ও সংসদীয় অধিবেশনে এই সব বিষয়গুলি প্রাধান্য পেয়ে থাকে৷ ১৯৯৮ সাল থেকে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতও এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে৷ সেখানে সদস্য দেশগুলির বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়ে৷ রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রজাতন্ত্রগুলিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক অভিযোগই এই আদালতে বিবেচিত হয়৷ ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’ ও ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের প্রায় ২,০০০ কর্মী এই সব আবেদন খতিয়ে দেখেন৷ তুরস্ক বা ফ্রান্সে হেজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা, জার্মানির পূর্বাঞ্চলে জমির মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি – এমন অনেক বিষয় নিয়ে বিরোধ মেটাতে তৎপরতা দেখায় এই প্রতিষ্ঠান৷ ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর পর্যবেক্ষকরা সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন৷

‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’ ও ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করা সদস্য দেশগুলির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বটে, কিন্তু বাস্তবে তাদের এই কাজে বাধ্য করা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে৷ যেমন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সন্ত্রাসী সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের গোপন কারাগারে পাচার করার ক্ষেত্রে ইউরোপের কিছু দেশ সহায়তা করেছিল – এই অভিযোগের আলোকে ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’এর মন্ত্রী পরিষদ ইউরোপের কিছু প্রশাসনের নিন্দা করে৷ কিন্তু বিষয়টি আজও পুরোপুরি স্পষ্ট হয় নি৷

লেখক: ব্যার্ন্ট রিগার্ট, অনুবাদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ