কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কয়েক হাজার আটক
৯ জানুয়ারি ২০২২স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েরলান টুরগুমবায়েভ স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল খবর ২৪কে জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ থেকে গত কয়েকদিনে পাঁচ হাজার একশ' ৩৫ জনকে আটক করেছে৷
আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা কয়েকশ' পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে দাবি সরকারের৷
তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ পরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়৷ দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷ এখন সরকারছে, তারা আন্দোলন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে৷ বিশেষ করে দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাতিতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করছে তারা৷
তার আগে বিক্ষোভ থামাতে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ রাশিয়ার সহযোগিতা চান৷ তার অনুরোধে দেশটিতে কয়েক হাজার সেনা পাঠায় প্রতিবেশি রাশিয়া৷
বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতি
হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েরলান টুরগুমবায়েভ৷
রাজধানী নূর-সুলতানে দেয়া এক ভাষণে তিনি দাবি করেন, কয়েক দিনের বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন৷ আর আহত হয়েছেন অন্তত ১৩০০ জন৷
তার আগে সরকারের এক হিসেব অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তানক্ষীসহ মোট ৪০ জন নিহত হয়েছেন৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, বিক্ষোভের সময় অন্তত পুলিশের চারশ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ তাছাড়া ব্যংকসহ প্রায় এক হাজার দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়৷
যে কারণে বিক্ষোভ
জালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত সপ্তাহের শেষদিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ খুব দ্রুতই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে৷
ধারণা করা হয়, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারবায়েভের উপর ক্ষোভ থেকেই জনগণ জ্বালানি তেলের ইস্যুতে রাস্তায় নেমে আসে৷ ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে আলাদা হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন৷
এদিকে দেশটিতে চলমান আন্দোলন থামাতে বিক্ষোভকারীদের ‘দেখামাত্রই গুলি' করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ৷ বিক্ষোভকারীদের তিনি ‘দস্যু ও সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করেন৷
এর ফলে মানুষের মধ্যে সরকারবিরোধী ক্ষোভ আরো বাড়তে থাকে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের৷
আরআর/জেডএ (ডিপিএ, ইন্টারফ্যাক্স)