বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও কাজাখ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমান ভাসিলেঙ্কো বলছিলেন যে, উভয় পক্ষ সরাসরি আলাপ-আলোচনা সম্পর্কে এখনও একমত হতে পারেনি৷ বলতে কি, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া যাবৎ বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের প্রতিনিধি ও সিরিয়া সরকারের মধ্যে কোনো একক পারস্পরিক আলোচনা সংঘটিত হয়নি৷
রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান আস্তানা আলাপ-আলোচনার আয়োজন করেছে৷ রাশিয়া ও ইরান আসাদ সরকারের মিত্র, তুরস্ক বিদ্রোহীদের সমর্থক৷ বহু ঘণ্টার আলোচনা সত্ত্বেও, তিন পৃষ্ঠপোষক দেশ আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের সামনে পেশ করার মতো একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সম্পর্কে একমত হতে পারেনি, বলে রবিবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টাস জানায়৷
আস্তানা বৈঠকের লক্ষ্য সম্পর্কেও দৃশ্যত দু'পক্ষের দুই মত৷ বিরোধী প্রতিনিধিদলের এক মুখপাত্র ইয়াহিয়া আল আরিদি রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে সোমবার বলেন, ‘‘আমরা কোনোরকম রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার দিকে যাব না এবং যুদ্ধবিরতি মেনে চলা, অবরুদ্ধ সিরীয়দের প্রতি মানবিক সাহায্য ও বন্দিমুক্তি'' ইত্যাদি বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা হবে৷ অপরদিকে আসাদ সংঘাতের একটি ‘‘সর্বাঙ্গীণ'' রাজনৈতিক সমাধানের ডাক দিয়েছেন৷
এখনও আশা করা হচ্ছে যে, আস্তানার আলাপ-আলোচনা থেকে জেনেভায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শান্তি আলাপ-আলোচনা আবার শুরু হতে পারবে৷ সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ মধ্যস্থ স্তাফান দে মিস্তুরা আস্তানার বৈঠকে উপস্থিত আছেন৷ অপরদিকে মস্কো সরকার নতুন ট্রাম্প প্রশাসনকে শেষ মুহূর্তে আস্তানা বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সে আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি৷ কাজেই আস্তানা আলাপ-আলোচনায় পশ্চিমা বিশ্ব পুরোপুরি অনুপস্থিত৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)
আলেপ্পো-ঝলমলে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর সিরিয়ার একটা শহর৷ সবসময় যেখানকার বাজার থাকতো সরগরম৷ আর এখন আলেপ্পো যেন এক ভুতূরে শহর৷ আলেপ্পোতে গৃহযুদ্ধের আগের ও পরের কিছু ছবি থাকছে ছবিঘরে৷
৭১৫ সালে নির্মিত উমায়াদ মসজিদকে সিরিয়ার ‘মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা’ বলা হতো৷ এমনকি জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাতেও এর নাম রয়েছে৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiসিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর ২০১৩ সালে হামলায় এই মসজিদও রেহাই পায়নি৷ প্রার্থনায় জায়গায়ও গোলাগুলি হয়৷ ২০১৬ সালের মার্চে একটি মিনার ধসে পড়ে৷ এখন জায়গাটি দেখলে একটা ধ্বংসস্তূপ মনে হয়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiপুরানো আলেপ্পোর এই হাম্মাম পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় স্থান বলে পরিচিত ছিল৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiগৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই জায়গাটির চেহারা দেখে বোঝাই যায় না কতটা আরামের জায়গা ছিল এটি৷ এখানে এখন পানি আর গোসল করার জিনিসের বদলে যুদ্ধের ভয়ংকর ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiআলেপ্পোর কেল্লা বিশ্বের অন্যতম বড় ও পুরানো কেল্লার তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ ১২শ’ শতাব্দীতে দুর্গটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়৷
ছবি: Reuters/S. Augerসময়ের সাথে লড়াই করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকা দুর্গটি নিজের অধিবাসীদের ঝগড়া-বিবাদ সহ্য করতে পারেনি৷ যুদ্ধের প্রভাবে দুর্গটি তার পুরোনো জৌলুস হারিয়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে তোলা এই ছবিটি৷ পুরানো শহর তার চাকচিক্যে ঐতিহ্যে ঝলমল করছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadikiএই ছবিটি ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বরের৷ পুরানো শহরের চাকচিক্যের ছিটেফোটাও এখন আর নেই৷ যেন এক ভুতূরে নগরী৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০০৯ সালের ডিসেম্বর, এই মল ক্রিসমাসের জন্য সাজানো হয়েছিল৷ ২০০৮ সালে নির্মিত এই শপিং মলের সাজ সজ্জা দেখতেই অনেক লোক এখানে যেতো৷
ছবি: Reuters/K. Ashawiগুগলে যদি এখন এই নামটি সার্চ করেন, তবে লেখা দেখবেন ‘চিরকালের জন্য বন্ধ’ ৷ ২০১৪ সালে হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মলটি৷
ছবি: Reuters/A. Ismailআল-জারাব বাজার এর প্রধান দরজা৷ পুরোনো আমলের এই বাজারে ছবিটি ২০০৮ সালে তোলা৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বাজারের এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷ বাজারের বেশিরভাগ অংশই বিধ্বস্ত হয়েছে হামলায়৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki