আসামের নিউ বঙ্গাইগাঁও রেল স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে আটজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে রেল পুলিশ। পুলিশের দাবি, তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও ওই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার কথা স্বীকার করেন। তারা জানিয়েছেন, মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে তারা পায়ে হেঁটে দেশে প্রবেশ করেন। কাজের খোঁজে তারা চেন্নাই যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে আটক হওয়া এক যুবক জানান, "আমরা কাজের খোঁজে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল চেন্নাই যাওয়া। কারণ ওখানে কাজের সুযোগ আছে। আমরা সবাই একসঙ্গে হেঁটে পাহাড় পেরিয়ে একটা ভাঙা বর্ডার দিয়ে এদেশে ঢুকেছি। এজন্য আমরা মাথাপিছু ৯০০০ টাকা করে দিয়েছি কিছু এজেন্টকে।”
পুলিশ জানিয়েছে , ধৃতদের নাম— বাবু শেখ, আশরাফুল হক, আলামিন আলি, মামুন শেখ, মোহাম্মদ আলী, রাহুল আমিন, মুশারফ আলী এবং আশরুল হক। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের জামালপুর জেলার বাসিন্দা এবং তাদের বয়স ১৯ থেকে ২২ এর মধ্যে।
নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বাঙ্কার, ভিতরে ভর্তি ফেনসিডিলের শিশি
নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে তিনটি বাঙ্কার উদ্ধার। সেই বাঙ্কারে ভর্তি ছিল কাশির সিরাপ ফেনসিডিলের শিশি।
ছবি: Prajit Bhadra
সীমান্তের দুই কিলোমিটারের মধ্যে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দুই কিলোমিটারের মধ্যে নদিয়ায় তিনটি বাঙ্কারের খোঁজ পায় বিএসএফ। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তারা তল্লাশি করছিল। তখন তারা এই বাঙ্কার উদ্ধার করে। এছাড়া আরেকটি বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছিল। সেখানে মেটাল শিটও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ছবি: Prajit Bhadra
কীরকম বাঙ্কার?
মাটি কেটে এই বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। তারপর তার ভিতরে রাখা হয় ধাতুর তৈরি বাক্স। আর তাতে রাখা ছিল বাক্সভর্তি শিশি।
ছবি: Prajit Bhadra
এক কোটি ৪০ লাখের কাশির ওষুধ
এই বাঙ্কারে ধাতুর কাঠামোর মধ্যে ছিল ৬২ হাজার কাশির ওষুধ ফেনসিডিলের বোতল। এই ওষুধ মাদক হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলের চোরাবারবারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
ছবি: Prajit Bhadra
কী করে উদ্ধার হলো বাঙ্কার?
বিএসএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রতিটি বাঙ্কার ছিল ১৫ ফুট গভীর। সবমিলিয়ে ৬২ হাজার ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে, যার মূল্য এক কোটি ৪০ লাখ টাকার মতো। এই বাঙ্কারগুলি চোরাকারবারীরা জিনিস মজুত করার কাজে ব্যবহার করতো বলে তাদের মনে হয়েছে। বিএসএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
ছবি: Prajit Bhadra
পুলিশ-বিএসএফের অগোচরে কী করে বাঙ্কার?
সীমান্তের এত কাছে পুলিশ ও বিএসএফের চোখ এড়িয়ে কী করে এই বাঙ্কার তৈরি হলো, তার জবাব পাওয়া যায়নি। যে তিনটি বাঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে দুইটি ছিল জঙ্গলের মধ্যে, একটি চালাঘরের তলায়। সেখানে মাটি সরানো হয়েছে, ধাতুর কাঠামো বসানো হয়েছে, অথচ, পুলিশ বা বিএসএফ তা টের পায়নি। বিএসএফ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই বাঙ্কারগুলিকে নাশকতার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ছবি: Prajit Bhadra
সুশান্ত ঘোষের খোঁজে পুলিশ
পুলিশ এখন সুশান্ত ঘোষের খোঁজ করছে। এই সুশান্ত ঘোষের নামে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর মাসখানেকের উপর সে ফেরার। সুশান্ত ঘেোষের জমিতেই এই বাঙ্কার তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, সুশান্ত কিছুদিন আগে ওই জমি কিনেছিল।
ছবি: Prajit Bhadra
অভিযোগ-পাল্টা অভিযেোগ
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছেন, বিএসএফের গোয়েন্দারা খবর দেয়ায় পর তারা এই বাঙ্কার উদ্ধার করতে পেরেছে। সীমান্তের এত কাছে বাঙ্কার হচ্ছিল, অথচ, পুলিশ কিছুই করেনি। তণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, সীমান্ত ও তার কাছের এলাকা নিরাপদ রাখার কাজ বিএসএফের। বিএসএফের কম্যান্ড জোনেই বাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে। এখানে পুলিশ যেতে পারে না।
ছবি: Prajit Bhadra
7 ছবি1 | 7
বঙ্গাইগাঁও থেকে চেন্নাইগামী একটি ট্রেনে উঠতে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। বঙ্গাইগাঁও জেলার পুলিশ সুপার মোহনলাল মীনা জানিয়েছেন, "তাদের কাছে আধার, ভোটার কার্ডসহ একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে, যা ভুয়া। আটজনের মধ্যে একজন আগেও ভারতে ঢুকেছেন এবং প্রায় এক বছর চেন্নাইতে থেকে কাজ করেছেন। তিনি হিন্দি, তামিল এবং অসমিয়া ভাষা বলতে পারেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাযন এবং বাকি সাত জনকে নিয়ে আবার অবৈধ পথে ভারতে ঢোকেন।"
মীনা জানান, সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং আশপাশের অঞ্চলে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ায় বাংলায় কথা বলা আসামের বহু শ্রমিক নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে ব্রহ্মপুত্র-মেল নিউ বঙ্গাইগাঁও রেল স্টেশনে থামে। শতাধিক শ্রমিক সেখানে এসে নামেন। সমাজ মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বাংলাদেশি নন। আসামে বসবাসকারী বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিক। যে যুবকদের আটক করা হয়েছে, তারাও ওই স্টেশনেই সে সময় ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশের নাগরিকেরা জানিয়েছেন, সীমান্ত পারাপারের একটি চক্রের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে ওই চক্র সীমান্ত পার করিয়ে দেয়। সীমান্ত পার হওয়ার পর নকল নথিপত্র বানিয়ে দেওয়া হয়। এই আটজন মাথাপিছু নয় হাজার টাকা দিয়েছিল শুধুমাত্র সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আটক হওয়া বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে এমন একটি জায়গা দিয়ে তারা ভারতে ঢুকেছেন যেখানে কাঁটাতারের বেড়া কিছুটা দুর্বল। একটি পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির ফলে ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। সেখান দিয়েই তাদের ঢোকানো হয়েছে। ওই জায়গায় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর কেউ ছিল না।
১৬ জন ভারতীয় মৎসজীবী আটক বাংলাদেশে, চিন্তায় পরিবার
মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলেন এই মৎসজীবীরা। কীভাবে তাদের ফেরানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পরিবার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কাকদ্বীপের ছবি
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের অনেক বাড়িরই বর্তমান ছবিটা এরকম। সংসারের মূল উপার্জনকারী বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে বন্দি, আর পরিবারের লোকেরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কী ঘটেছিল
গত ২২ নভেম্বর ১৬জন ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক করে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। অভিযোগ ওই মৎসজীবীরা বাংলাদেশের জল-সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন। জানা গেছে, বাংলাদেশর নৌবাহিনী সমুদ্রে নজরদারি চালানোর সময় দেশের জলসীমায় অবৈধ গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে ১৬ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আগেও ঘটেছে
দেড় মাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন ৭৯ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। তারাও সকলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সকলেই এখনো বাংলাদেশের জেলে বন্দি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পরিবারের বক্তব্য
জানা গিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য রওনা দিয়েছিল এফবি ঝড় নামক ট্রলারটি। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট এলাকা থেকে ট্রলারটি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। এরপর ২২ নভেম্বর তাদের আটক করা হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে মৎস্যজীবীদের পরিবার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
তেজেন্দ্রের পরিবার
কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার বাসিন্দা তেজেন্দ্র মাঝি ছিলেন ওই ট্রলারে।পরদিন সকাল ন’টা নাগাদ পরিবারের কাছে খবর আসে বাংলাদেশ প্রশাসন ধরে নিয়ে গিয়েছে তেজেন্দ্রকে। পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করেন ট্রলারের মালিকের সঙ্গে। ট্রলার মালিক তাদের জানান, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ওখানে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে যতটুকু খবর পাওয়া গেছে, তেজেন্দ্ররা কলাপাড়া থানায় আছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বাংলাদেশ সূত্র
তেজেন্দ্রের স্ত্রী মঞ্জরী দাসের বাপের বাড়ি বাংলাদেশ। মঞ্জরী জানান, তার বাপের বাড়ির লোকেরা চেষ্টা করেও দেখা করতে পারেননি ওই মৎসজীবীদের সঙ্গে। তেজু মাঝি নামে পরিচিত মঞ্জরীর স্বামী ‘ঝড়’ নামের ট্রলার নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশের জলসীমায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বন্দি সুরজিৎ
শিপ্রা দাসের স্বামী সুরজিৎ দাসও এখন বাংলাদেশের নৌবাহিনীর হাতে বন্দি। তার ট্রলারের নাম ‘জয় জগন্নাথ’। শিপ্রা জানাচ্ছেন, তারা বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন ট্রলার কোম্পানির সঙ্গে কিন্তু কেউ ফোন ধরছেন না। ম্যানেজারকে ফোন করলে তিনি ফোন সুইচ অফ করে দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় দিশাহারা শিপ্রারা সরকারি মদতের আশায় মুখ্যমন্ত্রীদপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ছেলেকে ছাড়া বাঁচব কী করে
“আমার ছেলেকে ছাড়া বাঁচব কী করে” বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রসেনজিৎ দাসের মা চিনু দাস। ট্রলার মালিকেরা বলছেন ‘চেষ্টা করছি’, ব্যাস ওইটুকুই। কাকদ্বীপেরই অক্ষয়নগরের বসন্তপুরে থাকেন প্রসেনজিৎ দাস। অভাবের সংসারে হাল ধরতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরেন তিনি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ
সোমবার এই ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা তিনি কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র এখনো কোনো সদর্থক উত্তর দেয়নি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
9 ছবি1 | 9
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে ঢোকার আগেই নিজেদের নামে ভুয়া আধার এবং ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তিরা। তাদের কাছ থেকে পাওয়া ভুয়া নথি পাঠানো হয়েছে সীমান্ত বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে।
সীমান্ত পারাপারের চক্র
বঙ্গাইগাঁওয়ে ঘটনার পর দিনই বুধবার আসামের করিমগঞ্জ জেলায় দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক বাংলাদেশি নাগরিকের নামে জাল নথি তৈরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তারা। এক মৃত ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্ট ব্যবহার করে তাকে ভুয়া নথি তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানা গেছে। ধৃতদের নাম বুরহান উদ্দিন ও ফাইজুর রহমান। দু'জনেই করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে জমা দেওয়া একটি পাসপোর্টের আবেদন যাচাই করার সময়ই প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে।
বিজ্ঞাপন
শ্রীভূমির পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাস ডিডাব্লিউকে জানান, পাসপোর্টের আবেদনটি ফারুক আহমেদের নামে জমা দেওয়া হয়েছিল।
"আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে যে নথিগুলি জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি জাল। ওইসব নথি এক মৃত ভারতীয় নাগরিকের নামে তৈরি করা হয়েছিল, যার পরিচয় ব্যবহার করে একজন বাংলাদেশিকে নাগরিক প্রমাণের চেষ্টা চলছিল,” বলেন দাস।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ''যাচাই প্রক্রিয়ার সময় দেখা যায় যে ফারুক আহমেদের নামে থাকা ভোটার কার্ড, জন্মসনদ, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড— সব নথিই জাল। ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। একজন মৃত ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে ভোটার কার্ডসহ একাধিক পরিচয়পত্র তৈরি করে তা একজন বাংলাদেশির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাসপোর্ট যাচাইয়ের সময়েই আমরা তা ধরে ফেলি।”